কাঠের বেঞ্চ : আসবাবে বৈচিত্র্য

ষাটোর্ধ্ব জসিম সাহেবের কাছে দিনে সবচেয়ে সুন্দর সময় ভোরবেলা। তার সকাল শুরু হয়ে ভোর ৬টায়। ঘুম ভাঙতেই মুখ ধুয়ে প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বেরিয়ে যান তিনি। হাঁটতে হাঁটতে চলে আসেন পার্কে। জসিম সাহেবের ভোরবেলা হাঁটার অভ্যাসটা বেশ অনেক দিনের। প্রায় দশ বছর। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর থেকেই হাঁটাহাঁটি শুরু। প্রথম দিকে ভোরে উঠতে হাঁটতে যেতে কিছুটা বিরক্ত অবশ্য তার লাগত। তবে আস্তে আস্তে তৈরি হওয়া অভ্যাসের সঙ্গে পুরো ব্যাপারটা উপভোগ করতে শুরু করেন তিনি। প্রতিদিন পার্কে এসে তিনি জুটিয়েছেন তার বয়সী বেশ কিছু বন্ধু। তবে পার্কে জসিম সাহেবের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কাঠের বেঞ্চগুলো

বাড়িতে একসময় ছিল শুধু চেয়ারসোফা এসে দখল করল বসার ঘরের চেয়ারের জায়গা। কিছুদিন পর এল নানা রঙের ডিভান। ইদানীং নাতিনাতনিরা ব্যবহার করে বিন ব্যাগ। তবে জসিম সাহেবের সব সময়ই প্রিয় কাঠের বেঞ্চগুলো। সুযোগ পেলে বিকেলেও হাঁটতে হাঁটতে পার্কে চলে আসেন জসিম সাহেব। বিকেলে অবশ্য পার্কে তিনি হাঁটেন কম, বেঞ্চে বসে সবুজ দেখেন বেশি। একসময় ঝিমানো চলে আসে তার। ইচ্ছে হয় বেঞ্চেই ঘুমিয়ে পড়তে। তবে পার্ক তো আর নিজের বাসা না, চাইলেই ঘুমিয়ে পড়লাম। সুযোগ হলে পার্কের বেঞ্চগুলো সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে যেতেন জসিম সাহেব। তবে সেই উপায় তো নেই। তাই ঘুমচোখে সন্ধ্যাবেলা বাড়ির পথ ধরেন তিনি।

জসিম সাহেবের কাঠের বেঞ্চপ্রীতির ব্যাপারটা বেশ কিছুদিন ধরে টের পাচ্ছে ছোট মেয়ে নীলিমা। তাই ছুটির দিনে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে হাতিলের শোরুমে হাজির হলো নীলিমা। ‘উডেন বেঞ্চ’ সেকশনে বাড়ির জন্য কাঠের বেঞ্চ দেখে বেশ অবাক জসিম সাহেব। তিনি এখন ‘বেগল-১৯৯’ ও ‘কেসারোল-২০০’ বেঞ্চ দুটির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। মাথা চুলকে ভাবছেন, এত সুন্দর বেঞ্চ দুটির মধ্যে কোনটা ছেড়ে কোনটা তিনি কিনবেন।

 

কী হবে কাঠের বেঞ্চ দিয়ে?

আসবাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটু দিক প্রয়োজনীয়তা। তবে কাঠের বেঞ্চের আলোচনা করতে গেলে আগে আপনাকে সৌন্দর্যের ব্যাপারটা আগে বলতে হবে। ঘর সাজানোর আধুনিক কলাকৌশলে সোফা, ডিভান ও বিন ব্যাগ বেশ অনেকটা অংশজুড়ে আছে। তবে বাড়িতে কাঠের বেঞ্চের ব্যবহার খুব বেশি দেখা যায় না আসলে। বাড়ির সাজসজ্জায় ক্লাসিক ব্যাপারটা ধরে রাখতে কাঠের বেঞ্চের বিকল্প নেই বলা যায়। বসার ঘর কিংবা বেলকনি সব জায়গাতেই নজর কাড়বে কাঠের বেঞ্চ। এর বাইরেও যেকোনো ঘরেই খাপ খাইয়ে নেয় কাঠের বেঞ্চ।

আপনার বাড়ির ছোট সদস্যের পছন্দে গুরুত্ব দিয়ে কত কিছু করা হয়। আসবাব বাছাইতেও তাদের ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হয়। বাড়ির সবচেয়ে বয়স্ক সদস্যের পছন্দের ব্যাপারটাও ঠিক একইভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাদের পছন্দের আসবাবগুলোর মধ্যে একটি হলো কাঠের বেঞ্চ। নিশ্চয়ই ভাবছেন খুব একটা আরামদায়ক নয় কাঠের বেঞ্চ। একসময় কাঠের বেঞ্চ বলতে শুধু কাঠ দিয়ে বানানো বেঞ্চ বোঝাত। তবে বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় নানা রকম আরামদায়ক কাঠের বেঞ্চ। কুশনের সঙ্গে ফেব্রিক জড়ানো দারুণ সব কাঠের বেঞ্চ বদলে দিয়েছে কাঠের বেঞ্চের পুরো নকশা।

 

হাতিলের কাঠের বেঞ্চ

আসবাবের দুনিয়ায় সেরা নকশা ও মজবুত কাঠের কথা ভাবলে হাতিলের নাম ওপরের দিকেই থাকে। কাঠের বেঞ্চ তৈরিতেও হাতিল বেশ রুচিশীল। ক্লাসিক নকশার আরামদায়ক দুটি কাঠের বেঞ্চ মিলবে হাতিলে। ‘বেগল-১৯৯’‘কেসারোল-২০০’ বেঞ্চ দুটি হাতিলের কাঠের বেঞ্চ। গল্পের জসিম সাহেব বেশ কনফিউজড বেঞ্চ দুটি নিয়ে। এই দুই কাঠের বেঞ্চ সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে জসিম সাহেবের সঙ্গে সঙ্গে আপনাদেরও কনফিউশন ঘুচবে।

বেগল-১৯৯

 

বেগল-১৯৯ : ১১৫০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্য ও ৪৩০ মিলিমিটার প্রস্থের এই কাঠের বেঞ্চটির নকশা বেশ সাধারণ। এই বেঞ্চের অ্যান্টিক রং ও সাধারণ নকশা এটিকে বেশ রুচিশীল আসবাবের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ৪৫৫ মিলিমিটার উচ্চতার এই কাঠের বেঞ্চ বেশ অল্প জায়গাতেই নিজেকে সেট করে ফেলে। যার কারণে বেঁচে যায় ঘরের অনেকটা জায়গা। আমদানিকৃত ক্লিন ড্রাইড বিচ কাঠের তৈরি এই বেঞ্চ। উন্নতমানের হার্ডওয়্যার ব্যবহার করে হয়েছে বেঞ্চটিতে। এটাতে ব্যবহার করা কুশনটিও বেশ আরামদায়ক। ভিন্ন পাঁচটি রং ও নকশার ফেব্রিক থেকে বেছে নেওয়া যাবে পছন্দের রং ও নকশার ফেব্রিক। দশ কেজি ওজনের এই বেঞ্চ তুলনামূলক বেশ হালকা। ফেব্রিকের নকশাভেদে বেগল-১৯৯ কাঠের বেঞ্চটির মূল্য ১১৮০০ থেকে ১২৩২৫ টাকা।

কেসারোল-২০০

কেসারোল-২০০ : অ্যান্টিক রঙের এই বেঞ্চটি ‘বেগল-১৯৯’-এর মতো আমদানিকৃত ক্লিন ড্রাইড বিচ কাঠের তৈরি হলেও নকশার দিক থেকে একদমই ভিন্ন। বেশ স্টাইলিশ এই বেঞ্চটি আপনার বসার ঘরের চেহারাই পাল্টে দিতে পারে একদম। এই বেঞ্চটি ডাইনিং টেবিলের সঙ্গেও ব্যবহার করা যায়, চেয়ারের বিকল্প হিসেবে। আরামদায়ক ও মোটা কুশনে তৈরি এই বেঞ্চের ওজন ১৫ কেজি। হাতিলের সব পণ্যের মতো এটাতেও ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের হার্ডওয়্যার ফিটিংস। ১১৫০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্য ও ৪৫০ মিলিমিটার প্রস্থের এই বেঞ্চটি উচ্চতায় ৪৫০ মিলিমিটার। পাঁচটি ভিন্ন রং ও নকশার ফেব্রিক বাছাই করার সুযোগ পাওয়া যাবে এই বেঞ্চ কেনার ক্ষেত্রে। ফেব্রিকের রং ও নকশা অনুযায়ী ১৫০৫০ থেকে ১৫৪৮৮ টাকায় পাওয়া যাবে কেসারোল-২০০ কাঠের বেঞ্চটি।

বেশ ভালো জানাশোনা হয়ে গেল হাতিলের কাঠের বেঞ্চ দুটি সম্পর্কে। জসিম সাহেবের মতো কনফিউশনে না থেকে হাতিল থেকে দ্রুত বেছে নিন আপনার পছন্দের কাঠের বেঞ্চটি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।