ভালোবাসার নীড়ে মুহূর্তগুলো হোক একান্তই আপন

মায়া আর শুভ্রর ছোট্ট সংসার। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই একজনের প্রস্তুতি চলে ব্যাংকে যাওয়ার। আর অন্যজনের গন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে। মায়া মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী, পাশাপাশি একজন আর্টিস্ট। পড়ালেখার চূড়ান্ত অধ্যায় শেষ করেই তার ছোট বুটিক হাউজে মনোযোগ দিবে পুরোপুরিভাবে, এমনটাই পরিকল্পনা মায়ার। অন্যদিকে শুভ্র ফাইন্যান্সিয়াল দিকটি দেখার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে বহুআগেই। দুজনের এই সম্পর্কটা যে বন্ধুত্বের। আর এই বন্ধুত্বের মায়াতেই একটু একটু করে গড়ে উঠেছে মায়া-শুভ্রর ভালোবাসার নীড়। যেখানে প্রতিটি মুহূর্তই যে স্পেশাল, দুজনের একান্ত আপন।

মুহূর্তগুলো আপন হয়ে ওঠার পেছনের গল্পে বন্ধুত্বের পাশাপাশি ছিল একজন আরেকজনকে বোঝার চমৎকার আগ্রহ, একে-অপরের প্রতি আস্থা, আর দুজনের পছন্দের দারুণ এক মিল। ঠিক এমনভাবেই গড়ে ওঠা তাদের ভালোবাসার নীড়ে খুব শখের আর কী কী ছিল? চলুন অল্প অল্প করে জেনে নেই বাকি কথাগুলো!  

মায়ার পছন্দ একটু ট্রেডিশনাল ধাঁচের ডিজাইন। রং-তুলির আঁচড়ে গড়ে তোলা তার প্রতিটি কাজেও যেমন থাকে ট্রেডিশনাল আর্টওয়ার্ক এর ছোঁয়া, তেমনি ঘর সাজানো, বিশেষ করে বেডরুম এর ফার্নিচার কেনার ক্ষেত্রেও তার পছন্দের তালিকায় ছিল হাতিল এর Tiara, Sweetheart, Mirage ডিজাইনের বেডগুলো। তবে শুভ্রর মতে কাঠের ট্রেডিশনাল ডিজাইনের সাথে কিছুটা ট্রেন্ডি ভাবও যদি যুক্ত করে দেওয়া যায়, তবে তো মন্দ হয় না! যেই ভাবা সেই কাজ। তার পছন্দের তালিকায় থাকা Getafe, Elegant, Myth   ডিজাইন এর কিং এবং কুইন সাইজের বেডগুলো কিন্তু, অবশেষে দুজনেরই পছন্দ হয়ে গেলো।

bed

অন্যদিকে মায়ার একটাই কথা, রুমে আর যাই থাকুক না কেন, ড্রেসিং টেবিল না থাকলে নাকি চলবেই না! তার মতে রুম যত ছোট বা বড়ই হোক না কেন, আয়না নাকি রুমের সৌন্দর্যকে এক কথায় দ্বিগুণ করে তোলে। আর প্রতি মুহূর্তে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখা যেন এক ধরনের সাহিত্য চর্চা করা। ব্যাস, মায়া-শুভ্রর এবারের খোঁজ শুরু হল বেডের সাথে মানানসই একটি সুন্দর ড্রেসিং টেবিল। হাতিল এর Manila, Crush, Cinderella, Vesper এর মধ্যে থেকে কোনটি যে ফাইনাল করবে, দুজনেই যেন বেশ একটা দ্বিধায় পড়ে গেলো। পছন্দ সবগুলো হলেও, অবশেষে এর মধ্য থেকেই একটি ফাইনাল করে ফেললো। 

dressing table

ওয়্যারড্রোব কেনার ক্ষেত্রে দুজনেরই মতামত “জায়গাটা কিন্তু বড় হওয়া চাই”! একে তো মায়া আর্টিস্ট, হুটহাট করেই অনেক পোশাক বানিয়ে ফেলে, যা পরবর্তীতে কোথায় রাখবে ভেবেই হিমশিম খেয়ে যায়। অন্যদিকে শুভ্র বেশ গোছানো, পরিপাটি স্বভাবের ছেলে। এলোমেলো করে রাখা পোশাক একদমই পছন্দ না। আর তাই তো, নিজেরটার পাশাপাশি মায়ার জন্য পোশাক রাখার স্পেসটা মনমতো করতে হাতিল এর দারুণ সব ডিজাইন সে তালিকায় রাখলো। ট্রিপল ডোরের Carlson, Chapman, Bradshaw, Lomami ডিজাইনের পাশাপাশি ডাবল ডোরেরও চমৎকার সব অপশন পেয়ে গেলো। কিন্তু স্পেসটা যেহেতু একটু বড় দরকার তাই পছন্দও করে নিলো রুমের বাকি ফার্নিচারের সাথে মিলে যায় এমনই একটি ট্রিপল ডোরের ডিজাইনের ওয়্যারড্রোব। 

wardrobe

রুমটা ঘুরে দেখে দুজনের মনটাই খুশিতে ভরে উঠলো। সিমপ্লিসিটি আর অ্যাস্থেটিক ডিজাইনের কম্বিনেশনে রুমের ডেকোরেশনটা একদম মনের মতো হয়েছে। কিন্তু, ঠিক সে মুহূর্তেই শুভ্র খেয়াল করলো, বেডসাইড টেবিলই তো কেনা হয়নি এখনো! কী করে ভুলে গেলো? সকালে ঘুম থেকে ওঠার অ্যালার্ম ঘড়িটা যে ওখানেই রাখতে হবে। আর সাথে দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনীয় জিনিস এবং পছন্দের বইও যে রাখা যাবে এই বেডসাইড টেবিলে। শুভ্র কিছুটা বইয়ের পোকাও বটে! 

স্টাইলিশ ডিজাইন আর এক্সক্লুসিভ প্যাটার্নে বানানো হাতিল এর Daffodil, Bouquet, Cosmos বেডসাইড টেবিলগুলো যেন একটার চেয়ে আরেকটা বেশি সুন্দর। যা হোক, দুজনের পছন্দমতোই অবশেষে বেডের ডিজাইনের সাথে মিল রেখে বেডসাইড টেবিলটাও ঘরে চলে আসলো।       

bed side table

মায়া আর শুভ্রর ছোট্ট ভালোবাসার নীড় যেন এবার একেবারেই মনের মতো হয়ে উঠলো। সাদা রঙের পর্দা ঘেরা জানালাটা দিয়ে দখিনা বাতাস ঘরে ঢুকছে, এক কাপ চা হাতে এভাবেই তারা তাদের স্বপ্নের ঘর সাজানোর মুহূর্তগুলো মনে করছিলো। সাধারণ এই মুহূর্তগুলোই যে দুজনের কাছে বিশেষ এবং একান্তই আপন।  

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।