swivel chair swivel chair

পার্সোনালিটি এবং প্রোডাক্টিভিটির এক দারুণ কম্বিনেশন

প্রতিদিনই আমাদের কিছু না কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন নিতে হয়। এই ডিসিশনগুলোই বলে দেয় আমাদের ব্যক্তিত্ব, রুচি, চিন্তাধারা, লাইফস্টাইল ইত্যাদি কেমন। তবে সবচেয়ে বেশি এবং সবচেয়ে জরুরি ডিসিশনগুলো আমরা নেই অফিসে বসে; হোক তা পেশাগত কিংবা আজ বাসায় ফিরে কী করতে হবে তার লিস্ট। এ কারণেই অফিস কিন্তু নেহায়েত ৯টা – ৫টা আসা যাওয়ার জায়গা নয়। আপনার অফিসের সময়টা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হলে একে সাজাতে হবে স্মার্টলি। হাতিল ফার্নিচার এক্ষেত্রে কী ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে আজ সে নিয়েই আলাপ হবে। 

সবার আগে কমফোর্ট 

আনকমফোর্টেবল চেয়ারে বসে কাজ করার ব্যাপারটা আমরা যতটুকু বুঝতে পারি, তার চাইতেও অনেক বেশি ক্ষতিকর। একটানা অনেকটা সময় অতিরিক্ত নিচু কিংবা অতিরিক্ত উঁচু চেয়ারে বসে কাজ করলে কাঁধ, ঘাড় এবং পিঠ ব্যথা হবেই হবে। আর চেয়ারের ব্যাক সাপোর্ট এবং হ্যান্ডেল আর্গোনমিক না হলে শুরু হবে কোমর ব্যথা। এমন অবস্থায় চাইলেও মনোযোগ দিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। সে কারণেই হাতিল-এর সুইভেল চেয়ার বহুদিন ধরে রিসার্চ করে এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যেন আপনার শরীর বসার সাথে সাথেই রিল্যাক্সড হয়। একই ধরনের রিসার্চের মাধ্যমে তৈরি করা হয় ফিক্সড চেয়ারগুলোকেও। আপনার পাশাপাশি আপনার অফিসের অন্যান্য এমপ্লয়ি, ক্লায়েন্ট এবং গেস্টদেরও রিল্যাক্সড থাকা প্রয়োজন। তবেই না হবে প্রোডাক্টিভ মিটিং! 

swivel chair

গোছানো অফিস মানে প্রোডাক্টিভ অফিস 

যদিও আমাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো এখন ক্লাউড স্টোরেজে থাকে, তবুও অফিস ডেস্ক পরিপাটি না থাকলে আমাদের ক্রিটিকাল থিংকিং ভীষণভাবে স্লো হয়ে পড়ে। আপনি সি-স্যুট অফিশিয়াল হোন কিংবা টিম লিড অথবা বিগিনার লেভেলের কেউ, এক্সিকিউটিভ টেবিল কিংবা কম্পিউটার টেবিল আর্গোনোমিক হলে তবেই কেবল আপনার চেয়ার এবং টেবিলের হাইটে ব্যালেন্স থাকবে। বিশাল টেবিলে পেন হোল্ডার, কার্ড হোল্ডার, চায়ের কাপ, ল্যাপটপসহ অন্যান্য জরুরি জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখা যায় আর দেখতেও ভীষণ এলিগ্যান্ট লাগে। সি-স্যুট এবং হেড অফ ডিপার্টমেন্টের জন্য হাতিল-এর ডিরেক্টর টেবিলগুলো একদম পারফেক্ট। আপনার পার্সোনালিটি আর রেস্পন্সিবিলিটি দু’টোই আপনা থেকেই কথা বলবে। 

executive table

স্মার্ট স্টোরেজে স্মার্ট ওয়ার্কপ্লেস 

শুধু টেবিল দিয়েই তো আর অফিস কিংবা পার্সোনাল কেবিন গোছানো যায় না! মডার্ন অফিসে ডকুমেন্টের হার্ডকপি না রাখা হলেও প্রিন্টিং কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনে ব্ল্যাংক পেপার, ফাইল, ফোল্ডার ইত্যাদি রাখা লাগেই। পাশাপাশি, পার্সোনাল কেবিনে নিজের ডেইলি মেডিসিন, দু’চারটা শোপিস, ফোন চার্জার, রিস্ট ওয়াচ কিংবা অন্য যেকোনো জরুরি আর শখের জিনিস রাখতে ভালো লাগে সবারই। এক্ষেত্রে হাতিল-এর সাইড র‍্যাক আর ড্রয়ার ইউনিট সবচেয়ে মানানসই। ছোটো কিংবা বড় টিম যেখানে একসাথে বসে, সেখানে মাল্টিপারপাজ শেলফ কিংবা আলমিরা থাকলে সবার জরুরি জিনিসগুলো অল্প জায়গায় নিরাপদে রাখা যায়। আবার এডমিন কিংবা এইচআর টিমের জন্য পারফেক্ট হলো ফাইল ক্যাবিনেট অথবা স্টোরেজ র‍্যাক। অফিসের ওয়্যারহাউজের জন্যও স্টোরেজ র‍্যাক একটা স্মার্ট সলিউশন। 

multipurpose shelf

যেমন অফিস, তেমন স্টাইল 

সব অফিসের টিম এবং স্পেস এক সমান হয় না। অফিস স্পেস ছোটো হলে হাতিল-এর ওয়ার্ক স্টেশনগুলো আপনার স্পেস বাঁচাবে এবং টিমের সবাই কাছাকাছি থাকার কারণে টিমের বন্ডিংও বেটার হবে। পার্সোনাল টেবিল-চেয়ারের মতোই কনফারেন্স টেবিলও আর্গোনমিক হওয়া অত্যন্ত জরুরি। দিনে অনেকগুলো মিটিং করা এবং দীর্ঘ সময় ধরে মিটিং চলা মডার্ন কালচারে নতুন কিছু নয়। সেক্ষেত্রেও ব্যাক পেইন এভয়েড করতে চাইলে এমন টেবিলই সিলেক্ট করা উচিত যেখানে টিমের সবাই একসাথে বসতে পারবে এবং রিল্যাক্সড হয়ে আলাপ চালিয়ে যেতে পারবে। ছোটো টিম কিংবা ছোটো অফিসের জন্য কনফারেন্সট টেবিল না নিয়ে চাইলে মিটিং টেবিলও বেছে নিতে পারেন। মিটিং টেবিলের আরেকটি পারফেক্ট জায়গা হলো আপনার পার্সোনাল স্টুডিও। ছোটো স্পেসে অফিসের কাজ আর মিটিং দু’টোই চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট স্পেস আর কমফোর্ট দেয় এই টেবিল। 

অফিসের ইমেজ আরেকটি বিষয়ের ওপর ডিপেন্ড করে; রিসেপশন এরিয়া এবং ওয়েইটিং জোন। আপনার গেস্টদের ফার্স্ট ইমপ্রেশন আর কমফোর্টের জন্য ভিজিট করতে পারেন এই অংশটাও। 

reception table

শেষে 

নিজের স্বপ্নের ক্যারিয়ার পেতে হলে প্রোডাক্টিভ হতেই হবে। প্রতিদিন প্ল্যান করে স্মার্টলি সাজানো অফিসে কাজ করলে একদিন দেখবেন আপনার পার্সোনালিটি আপনা থেকেই প্রোডাক্টিভ হয়ে গেছে! রিল্যাক্সড ব্রেইনে রাইট ডিসিশন নিয়ে চটপট কাজ সেরে ফেলার মাধ্যমে আপনার কনফিডেন্স যেন আরও বেড়ে ওঠে, আর কাজের পেছনে ছুটতে ছুটতে আপনার ব্যাক পেইন যেন না হয় – হাতিল টিম সবসময় সেই চেষ্টাতেই থাকে!  

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।