আয়নাতে নিজেকে দেখে ভালো লাগার মতো সুন্দর অনুভূতি খুব কমই আছে। আমরা সবাই নিজেকে যেমন স্মার্ট দেখতে চাই, তেমনি চাই নিজের বাসাটাকেও স্মার্টলি সাজাতে। তবে একেকজনের কাছে স্মার্টনেসের এক্সপ্রেশন একেকরকম। একই ফার্নিচারে ভার্সাটাইল নানা ধরনের ফিচার যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে Flaming-161 আপনার জন্যই। বাংলাদেশের ফার্নিচার মার্কেটের সবচেয়ে ইউনিক আর ভার্সাটাইল এই ড্রেসিং টেবিল কীভাবে আপনার স্মার্ট লাইফস্টাইলকে রিপ্রেজেন্ট করে সেটিই আলাপ করবো আজ।
আয়না, সাথে আরও নানান বায়না
আপাদমস্তক লম্বা এই ড্রেসিং টেবিলে বিশাল আয়নার পাশাপাশি আছে আরও চারটি ফিচার। প্রথম দেখায় আয়নার সামনে কোনো টেবিল না দেখে ভড়কে যাবেন না কিন্তু! কারণ, আয়নাটা দরজার মতো খুললেই ভেতরে পাবেন আরও চারটি শেলফ। লিপস্টিক, আইলাইনার ইত্যাদি রাখার পাশাপাশি পারফিউম, ফেইস পাউডার, বডি লোশনসহ আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সব স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টস আর মেকআপ আইটেম রাখতে পারবেন একদম স্বাচ্ছন্দ্যে।
মজার ব্যাপার হলো, আর দশটা অর্ডিনারি ড্রেসিং টেবিলের মতো মিররের সামনে টেবিল না রেখে এই ফার্নিচারে টেবিলটা ডিজাইন করা হয়েছে ভেতরে। সেকেন্ড শেলফের কাভারটি খুললেই পেয়ে যাবেন আপনার গ্লাস-টপ টেবিল! প্রয়োজনীয় আইটেমগুলো এখানে রেখে কাজ শেষ হয়ে গেলে আবার গুছিয়ে রাখা যাবে শেলফগুলোতে। সবকিছু পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখতে যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্যই এই ইনোভেটিভ ডিজাইন এনেছে হাতিল।
এখানেই শেষ নয়। মিরর ডোরের ব্যাকসাইডে রয়েছে বিশাল এক হ্যাঙ্গার সেটআপ। আপনার ইয়াররিং, নোজরিং, পেন্ডেন্টের কালেকশন যত বড়ই হোক না কেন, আলাদাভাবে সাজিয়ে রাখতে পারবেন অনায়াসে। এ তো গেল মিররের ইন্টেরিয়র নিয়ে আলাপ। সুইভেল চেয়ার কিংবা ডোরের মতোই এই ড্রেসিং টেবিলকে ঘোরালে পেছনে পাবেন টপ-টু-বটম লম্বা একটি ল্যাডার কাম হ্যাঙ্গার। আপনার ব্যাগের কালেকশন এখানে ঝুলিয়ে রাখার পাশাপাশি টাওয়েল, স্কার্ফ কিংবা অন্যান্য ছোটোখাটো কাপড়ও ফোল্ড করে ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন। ডেইলি ইউজ করা হয় এমন জিনিসগুলো ধুলো ময়লা থেকে আড়ালে কিন্তু হাতের কাছেই রাখার এর চেয়ে স্মার্ট সলিউশন আর আছে কি?
এছাড়াও এই ড্রেসিং টেবিলের ফাউন্ডেশন ডিজাইন করা হয়েছে শু র্যাকের আদলে। ফ্লোর থেকে এক ফুট ওপরে মিরর শেষ হয়ে যায়। নিচের ফাঁকা স্পেসটাতে আপনার রেগুলার ইউজের জুতো কিংবা ঘরে পরার স্যান্ডেল গুছিয়ে রাখতে পারবেন। আর লম্বা মিররে নিজেকে দেখতে পারবেন পুরোটাই। একটা ড্রেসিং টেবিলে এত ফিচার এতদিন শুধু কল্পনাতেই ছিল, এখন আপনার ঘরেই থাকবে!
স্পেস – যত ছোটো, ঠিক ততটাই বড়
ভার্সাটাইল মাল্টিপারপাজ ফার্নিচারের ডিমান্ড মডার্ন ইন্টেরিয়রেই সবচেয়ে বেশি। ‘Less is more’ নীতিতে সাজানো মডার্ন বাসাগুলোতে অল্প ফার্নিচার থাকে; কিন্তু প্রতিটি ফার্নিচারই সিলেক্ট করা হয় এমনভাবে যেন এক ফার্নিচারকেই কয়েকটা আলাদা আলাদা কাজে ব্যবহার করা যায়। Flamingo-161 ছোটো কিংবা বড় যেকোনো ইন্টেরিয়রেই পারফেক্ট। ভার্টিকাল শেপের কারণে খুবই সামান্য স্পেস দরকার হয়। আর একইসাথে হ্যাঙ্গার, শেলফ, মিনি শু র্যাক এবং ড্রেসিং টেবিলের কাজ করে বলে অনেকগুলো খুচরো ফার্নিচারের স্পেসও বেঁচে যায়। আমাদের মনের মতোই এই ড্রেসিং টেবিল রাখতে স্পেস কম লাগলেও এর নিজের স্পেস অনেক বড়!
এলিগ্যান্স আর অ্যাস্থেটিকে পরিপাটি বাসা
স্লিক ডিজাইনের এই ড্রেসিং টেবিলে এমন একটা আর্টিস্টিক ব্যাপার আছে যে, রুমে বাকি সব ফার্নিচারের মাঝেও এক ধরনের অ্যাস্থেটিক টাচ অ্যাড হয়। স্কিনকেয়ার, মেকআপ, অর্নামেন্টস, ব্যাগ সব এক জায়গায় থাকে বলে প্রতিদিন রেডি হওয়ার সময় এদিক-সেদিক খুঁজতেও হয় না। ভয় নেই ছোটোখাটো জিনিস হারিয়ে যাওয়ার। ঘর ঝাড়ু দেওয়া কিংবা ফার্নিচার মোছার সময় এটা-সেটা সরানোর ঝামেলা নেই। অর্থাৎ, আপনার ফার্নিচারের ভেতর এবং বাহির একই রকম গোছানো থাকবে। পরিপাটি রুমে ব্রেইন রিল্যাক্সড থাকে, জরুরি কাজের সময় ফোকাস ঠিক থাকে, আর রেডি হওয়ার সময় চট করে সবকিছু হাতের কাছে পাওয়া যায়। এমন স্মার্ট রুমে যখন অ্যাড হয় বিশ্বমানের উডেন ম্যাটেরিয়ালে তৈরি উডেন ফিনিশের আভিজাত্য, তখন আপনার কনফিডেন্স দ্বিগুণ তো হবেই!
ছোট আয়নায় বড় গল্প
আপনার পার্সোনালিটি, লাইফস্টাইল, রুচিশীলতা সবকিছু শুধু যে মিররেই দেখা যায় তা কিন্তু নয়। ড্রেসিং টেবিলের সিলেকশনেও এগুলোর রিফ্লেকশন থাকে। আমরা সব সময়ই চেষ্টা করি আপনার জীবনের ছোটো ছোটো মোমেন্টগুলোকে আরও সহজ, সুন্দর আর এলিগ্যান্ট করতে। হোক তা সকালে নিজেকে প্রথমবার দেখা কিংবা অফিস অথবা পার্টিতে যাওয়ার প্রিপারেশন, আয়নার সামনে আপনার কনফিডেন্স থাকুক ১০০-তে ১০০!