fsc certified wood fsc certified wood

ফার্নিচার ম্যানুফ্যাকচারিং-এ এফএসসি সার্টিফায়েড কাঠ ব্যবহারের সুবিধা

ফার্নিচার তৈরির ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে কাঠ সংগ্রহের জন্য বনাঞ্চলের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। যার ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ক্ষতি হবে না, আবার উৎপাদন প্রক্রিয়াকেও চলমান রাখা সম্ভব হবে, এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ফার্নিচার উৎপাদনে পরিবেশ রক্ষায় ফরেস্ট স্টুয়ার্ডশিপ কাউন্সিল বা এফএসসি সার্টিফায়েড কাঠের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার ব্র্যান্ড হাতিল, ফার্নিচার তৈরিতে গুণগতমান ধরে রাখার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর তাই, ফার্নিচার তৈরিতে এফএসসি সার্টিফায়েড কাঠ ব্যবহার করে দেশের প্রথম ফার্নিচার ম্যানুফ্যাকচারিং ব্র্যান্ড হিসেবে হাতিল, পরিবেশকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করা এবং একই সাথে কাঠ সংগ্রহের জন্য এই সময়োপযোগী উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে। ফার্নিচার ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসে এফএসসি সার্টিফায়েড কাঠ ব্যবহারের সুবিধা সমূহ সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।  

পরিবেশের জন্য উপকারী

ফার্নিচার তৈরিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই কাঠের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কাঠ সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারককে তার প্রয়োজনের পাশাপাশি পরিবেশগত দিকটিকেও বিবেচনায় রাখতে হয়। আর তাই, গাছ কেটে বন উজাড় না করে বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, সাথে ব্যবসায়িক দিকও পরিচালনা করার লক্ষ্যে বন সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংরক্ষিত বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করা আবশ্যক। এই ক্ষেত্রে, এফএসসি সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াটি বন সংরক্ষণ এবং দায়িত্বশীলভাবে কাঠ সংগ্রহের বিষয়কে নিশ্চয়তা দিয়ে আসছে। এছাড়াও, এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে এবং বনের পরিবেশগত ভারসাম্য অক্ষুণ্ণ রাখতে সাহায্য করে। আর এ কারণেই, হাতিল ফার্নিচার তৈরিতে এফএসসি সার্টিফায়েড কাঠ ব্যবহারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এমনকি গাছ লাগানোর বিষয়েও বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের উৎসাহিত করছে।

fsc certified wood

স্থায়িত্ব এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার লক্ষ্যে পদক্ষেপ

ফার্নিচার তৈরিতে এফএসসি সার্টিফায়েড কাঠের ব্যবহার যে শুধুমাত্র পরিবেশগত দিককে বিবেচনা করে করা, তা কিন্তু নয়। বরং, এটি সামাজিক দায়বদ্ধতার অন্যতম একটি কারণ। কেননা, যেনতেন ভাবে বন উজাড় না করে, বরং নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সংরক্ষিত বন থেকে কাঠ সংগ্রহের মাধমেই হাতিল ফার্নিচার তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে। ফলে, এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি স্থায়ী সমাধান নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে কাজ করার চমৎকার একটি উদ্যোগ।  

হাতিল-এর কাঠ সিজনিং প্রক্রিয়া

ফার্নিচার তৈরির প্রক্রিয়ায় কাঠের সিজনিং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এটি কাঠের আর্দ্রতা কমাতে সাহায্য করে, যেন তা দিয়ে মজবুত ফার্নিচার তৈরি করা যায়। এই প্রক্রিয়াটি কাঠের ফাটল এবং আকৃতিগত অসামঞ্জসতার মতো সম্ভাব্য সমস্যার প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে। আর তাই, দক্ষতার সাথে কাজটি করতে হাতিল অ্যাডভান্সড সিজনিং টেকনিক এবং সে সাথে আধুনিক মেশিন ব্যবহার করে আসছে। এতে করে কাঠের দীর্ঘস্থায়িত্বতা বজায় থাকে এবং কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই কমফোর্টেবল ফার্নিচার তৈরি সম্ভব হয়। 

The Significance of Sustainability in Hatil's Success: FSC Certification and Environmental Initiatives

প্লাইউডে বেন্টউড এবং ক্রস-বন্ডিং-এর ব্যবহার 

হাতিল-এর অ্যাডভান্সড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রযুক্তির অন্যতম একটি হচ্ছে প্লাইউডে বেন্টউড এবং ক্রস-বন্ডিং প্রক্রিয়ার ব্যবহার। বেন্টউড প্রযুক্তির মাধ্যমে, হাতিল এর ফার্নিচার ডিজাইনিং আরও মডার্ন এবং এলিগ্যান্ট হয়ে উঠেছে। যা নিঃসন্দেহে গ্রাহকদের বেশ আকৃষ্ট করছে। এছাড়া ক্রস-বন্ডিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এর্গোনমিক ডিজাইন প্রক্রিয়ায় প্লাইউডের ফার্নিচারকে আরও বেশি মজবুত এবং টেকসই করে তুলেছে।   

স্থায়িত্ব 

এফএসসি সার্টিফায়েড কাঠের সাথে সঠিক সিজনিং, আধুনিক রোবোটিক্স এর ব্যবহার এবং ফার্নিচার ডিজাইনিং-এ অ্যাডভান্সড পদ্ধতির কারণে, হাতিল সময়ের সাথে সাথে অত্যন্ত টেকসই ফার্নিচার তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে। কেননা, হাতিল এর লক্ষ্যই হচ্ছে এর গ্রাহকদের জন্য টেকসই এবং আরামদায়ক ফার্নিচার তৈরি করা, যা এর স্থায়িত্বকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবে। তবে এ সকল প্রক্রিয়ার পাশাপাশি, হাতিল  রিসাইক্লিং এবং উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে পরিবেশগত বর্জ্য কমিয়ে আনার বিষয়কেও বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে।

 

আর তাই নির্দ্বিধায় বলাই যায়, ফার্নিচার তৈরির প্রসেসে এফএসসি সার্টিফায়েড কাঠের ব্যবহার, আধুনিক মেশিনারি, সে সাথে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে হাতিল প্রোডাক্টের গুণগত মান যেমন বজায় রাখছে, তেমনি পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।