লিভিং রুম দেখেই বাসার নান্দনিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। শহরের আধুনিক ফ্ল্যাটগুলো যেহেতু মাঝারি অথবা ছোটো হয়, তাই লিভিং রুম সাজানোর বেলায় বেশ বুঝেশুনে ফার্নিচার বেছে নেয়া খুব জরুরি। সময়ের সাথে ফার্নিচারের ডিজাইনই শুধু পালটায়নি, পালটে গেছে একেক ফার্নিচারের অর্থ বা মিনিং। এখনকার যুগে লিভিং রুমের সবচেয়ে নজরকাড়া অংশ হলো সেন্টার টেবিল। অথচ এক দশক আগেও সেন্টার টেবিল শুধু মেহমানদের আপ্যায়নের সময়ই মনোযোগ পেতো! সুতরাং আর দশটা সাধারণ টেবিলের চাইতে ভিন্ন ডিজাইন আর মজবুত গড়নের একটা সেন্টার টেবিল কিন্তু সহজেই আপনার স্টাইল স্টেটমেন্টে পরিণত হতে পারে।
ভালো একটা সেন্টার টেবিল কী কী কাজে লাগে?
ভাবুন তো, কারো বাসায় গিয়ে লিভিং রুমে ঢুকতেই আপনার চোখে প্রথম কোনটা পড়ে? অর্থাৎ মনোযোগ কেড়ে নেয়ার মতো কোন জিনিসটা থাকে? নিশ্চয়ই, সেন্টার টেবিল! এবং এটা কিন্তু এমনি এমনি ঘটে না। যেকোনো রুমের সেন্টারেই আগে সবার চোখ পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু সেখানে নেহায়েত সাদামাটা একটা টেবিলের জায়গায় যখন ইউনিক ডিজাইনের একটা টেবিল থাকে, তখন নিজের অজান্তেই “বাহ!” বলে ওঠেন অতিথিরা। এক নজরেই বোঝা যায় বাসার কর্তা ও গিন্নী দারুণ রুচিশীল! বছরের পর বছর আপনার চায়ের আসরের প্রিয় মুহূর্তগুলোর সাক্ষী হয়ে ওঠে এই এক টুকরো স্টাইলিশ আর টেকসই ফার্নিচার। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেন্টার টেবিলের ডিজাইন যেন সোফা সেট এবং রুমের ইন্টেরিয়রের সাথে মানানসই হয়।
Faro-187: টেকসই স্টাইলের এক অপূর্ব উদাহরণ
আন্তর্জাতিক মানের আপহোলস্টারি ফ্যাব্রিক দিয়ে ঢাকা চারকোণা বক্স শেপের সেন্টার টেবিল কিন্তু মার্কেটে অহরহ দেখা যায় না। ইউনিক এই সেন্টার টেবিল Faro-187 কেন অনন্য সেটিই জানি চলুন –
স্টাইলটাই আলাদা
Faro-187 কিন্তু একদম মিনিমাল ডিজাইনের। চারকোণা হওয়ায় ছোটো, বড়, মাঝারি যেকোনো লিভিং রুমে মানিয়ে যায়। মিনিমাল হওয়ার কারণে ইন্টেরিয়র ডেকোর যেমনই হোক, একদম ন্যাচারাল দেখায়। আর বক্স শেপের কারণে জায়গা থাকে প্রচুর। সাধারণ সময়ে শোপিস আর ফেভারিট ম্যাগাজিন রাখতে পারবেন আর অতিথি এলে সেগুলো সরিয়ে কাপ-পিরিচ, প্লেট ইত্যাদির জন্য যথেষ্ট স্পেস থাকে এই টেবিলে। বাছাইকৃত কাঠের উষ্ণতার সাথে ক্ল্যাসিক ফ্যাব্রিকফিনিশের মেলবন্ধন আপনার ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্বের সিগনেচার হয়ে উঠবে অনায়াসেই!
যখন যেখানে যেভাবে প্রয়োজন, হোক আয়োজন
এই সেন্টার টেবিলটি কাঠের মজবুত ফ্রেমের ওপর ফ্যাব্রিকের পুরু কাভার দিয়ে তৈরি হওয়ায় যেকোনো জায়গায় সহজেই সরানো যায়। কালার কম্বিনেশনেও ভ্যারিয়েশন আনার অপশন রয়েছে, ফলে আপনার রুমের অ্যাস্থেটিকসের সাথে মানিয়ে নেয়াও সহজ। আপনি একা একাই যেকোনো সময় সরিয়ে পছন্দসই জায়গায় নিতে পারবেন। আধুনিক ভার্সাটাইল বাসা মানেই তো কয়েক মাস পরপর ফার্নিচারের পজিশন বদলানোর সুবিধা!
আধুনিক প্রযুক্তিতে যুগের পর যুগ টেকসই
হাতিল-এর অন্যসব ফার্নিচারের মতোই Faro-187 তৈরি হয়েছে সারাবিশ্ব থেকে যাচাই বাছাই করে আনা কাঁচামাল দিয়ে দেশের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির ফ্যাক্টরিতে। পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করেই তৈরি হয় বলে এই সেন্টার টেবিলে আছে আমাদের শত শত আর্টিসানের ক্রিয়েটিভিটি, যত্ন আর শ্রম। আপহোলস্টারি ফ্যাব্রিকের রঙ, বাঁধাই আর কাঠের ফ্রেমের গড়ন একদম প্রথম দিনের মতোই নতুন আর মজবুত থাকে যুগের পর যুগ। এ যেন আপনার লিভিং রুমের অসংখ্য স্মৃতির এক ব্যতিক্রমী অ্যালবাম!
শেষে এসে
সেন্টার টেবিল কেউই বছর বছর কেনে না। তাই লিভিং রুমের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফার্নিচারটি একটু সময় নিয়ে রিসার্চ করে, নিজের প্রয়োজন আর পছন্দ বুঝে কেনাই স্মার্টনেস। শুধু একটা টেবিল দিয়েই যদি রুমের ইন্টেরিয়রকে ইউনিক করে তোলা যায় আর অতিথি এলে আপ্যায়ন করা যায় নিশ্চিন্তে, তাহলে সেটাই তো কেনা উচিত! কারণ, দিনশেষে প্রতিটি ফার্নিচারই একেকটি লং টার্ম ইনভেস্টমেন্ট।
তাহলে, আপনার পছন্দের সেন্টার টেবিল বেছে নিতে হাতিল শোরুমে আসছেন কবে?