কথায় আছে, “ফার্স্ট ইম্প্রেশান ইস দা বেষ্ট ইম্প্রেসান।”
মেহেরিন ও অংকুর নিউলি ম্যারিড কাপল। হোটেল হপিং-এ বেশ কয়েকটি হোটেল ঘুড়ে শেষমেশ চোখ আটকে গেলো সানসেট স্যান্ডস রিসোর্ট এ। একটি চমৎকার হোটেল লবি, যেখানে পা রাখা মাত্রই নাকে আসলো গরম গরম কফির সুঘ্রান এবং চোখে পড়ল এক জোড়া দারুণ ভাইব্রেন্ট লবি চেয়ার। চেয়ার গুলোর কারণেই মূলত লবিটি এত চমৎকার লাগছে।
মেহেরিন এর আফসোস, বাসা সাজাতে তাড়াহুরা না করে লিভিং রুম এর জন্য হাতিল এর এই Solitaire-114 মডেল টাই তো নিতে পারতাম। ডিজাইন টি কিন্তু খুব ই ইউনিক এবং ইন্ট্রেস্টিং। অংকুর এর ও মনে হল এবার ঢাকা গিয়ে হাতে সময় বের করতেই হবে। কেন না এত প্ল্যান থাকতেও নতুন সংসার সাজানো তে কিছুটা খামখেয়ালি হয়ে যাচ্ছে।
বিয়ের যাত্রা টা ছিল একটা যুদ্ধের মত। এতসত ইনকনভেনিয়েন্স আর চ্যালেঞ্জ এর পর ছোট পরিসরে বিয়ে টা হয়ে তো গেলো, তবে সংসার গুছিয়ে ঢাকাতে তাদের ছোট্ট নীড় সাজানো গোছানোর কাজ টাও কিন্তু নিজেদেরই সাড়তে হচ্ছে।
অংকুর গেমার, তাই তার বরাবর ই শখ ছিলো যে, যত কিছুই হোক তার গেমিং সেটআপ এর জন্য ডেডিকেটেড রুম থাকবে, এবং সেই রুম এই থাকবে তার ওয়ার্কস্টেশান। তবে বাসা সাজানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সফেস্টিকেটেড টাচ ই তার পছন্দ।
বেশ বড়সড় একটি রুমই সে নিয়েছে , এবং ডিসাইড করেছে তার “মি টাইম” এর জন্য সে একটি সফেস্টিকেটেড পিস দিয়ে কর্নার টি সাজাবে। তাছাড়া ব্যাস্ত দিন শেষে দুজন কফি হাতে যেন জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যায়। যেমন ভাবা তেমন ই কাজ, বিন ব্যাগ বা অন্য কিছু নয়, নিয়ে এলো হাতিল এর লবি চেয়ার Leo-122 । জাম্বো এই কিউট পিস টা মেহেরিন ও খুব ই পছন্দ হয়েছে, যদিও বা সেই রুম এ তার এন্ট্রি লিমিটেড। তবে বাসা তো দুজনেরই। তাই প্রত্যেকটি ঘরই সাজিয়ে নিতে হবে দুইজন এর মনের মত করে।
কথোপকথন, সে তো হয় চপার ও স্নোইর। ঠিক এখানে বসেই দুজন মিয়াউ মিয়াউ করে কত যে কিছু বলতে থাকে। মেহেরিন এর বিড়াল চপার ও স্নোইরের কিন্তু একদম প্রিয় স্পট হয়ে গেলো এই অসাধারণ পিসটি। তার কারণ এর আরামদায়ক ফিচার। এই লবি চেয়ার এ ঘুমানোর জন্য রীতিমত মারামারি লেগে যায় তাদের।
মেহেরিন এর মা স্কুল শিক্ষিকা। মিসেস সাবেরা শবনম, খুবই সিম্পল ও সাধাসিধে পছন্দ তার। নিজ বাসা থেকে বেশি দূর না হওয়াতে বেশ আগ্রহ নিয়েই মেয়ের সংসার গুছানোতে হেল্প করতে চলে আসেন। মেহেরিন এর সময় স্বল্পতা, তাই মা কেও তার খুব দরকার। তাকে দেখানো হলে কেন যেন কোন কনটেম্পোরারি ডিজাইনই তার মন কাড়ছে না, তবে মন কেড়েছে Monopoly-103. কিন্তু সংসার টা তো আর তার না, তাই মেয়ের পছন্দের জায়গাটি তার মেয়ে সাজাক সে এটাই চান।
তবে ওয়েবসাইট দেখতে গিয়ে ফার্নিচার পিসগুলি তার বেশ নজর কাড়লো। তার বাসায় রুমে বড় সড় একটি বারান্দা। তিনি অসংখ্য সব সুন্দর প্ল্যান্ট দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন, তবে বসার জন্য বিশেষ কিছু অ্যাড করেননি। মেহেরিন কে বললেন, তার বারান্দার জন্য একটি Monopoly-103 এনে দিতে। ফার্নিচার পিস এ মেয়ের শৌখিনতা দেখে যেন নিজেও নতুন কিছু ভাবতে একটু উৎসাহ পেতে শুরু করলেন।
মেহেরিন এক এক করে Hummingbird-121, Uno-108, Franklin-111, এবং Browning-125 ও দেখালো , তবে Monopoly ই তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। দেরি না করে সময় বের করে তাই মা-মেয়ে মিলে অংকুরকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল সরাসরি শোরুম ভিজিটে।
দুজন এর ব্যাস্ততার ভেতর মিসেস শবনম এর সহযোগিতা ব্লেসিংই বটে। মা কাছে থাকলে সব কিছুই সহজ হয়ে যায়। বাসা গুছানো, রান্নাবান্না, বিভিন্ন লাইফ হ্যাক, আর কিচেন ট্রীক্স, মা থাকলে এসব নিয়ে আর চিন্তা কিসের। তবে মেহেরিন এর নতুন সংসার সাজাতে গিয়ে যেন পুরোনো দিন গুলো মনে পড়ে যাচ্ছে মিসেস শবনম এর। আর এখন এত সব নতুনত্বের ভিড়ে নিজের সংসারেও নতুন কিছু সংজোজনের দারুণ সব আইডিয়া পেয়ে গেলেন মেহেরিন-অংকুর এর কাছে।
এভাবেই হাটি হাটি পা পা করে এখন চপার ও স্নোই কে নিয়ে মেহেরিন-অংকুর এর এই কিউট হ্যাপি ফ্যামিলি!