dinner wagon dinner wagon

ক্রকারিজ কিংবা এপ্লায়েন্স একসাথে গুছিয়ে রাখতে এক্সিলেন্ট

বাসা ডেকোরেট করতে গেলে আমরা সাধারণত ডাইনিং রুমে সবার শেষে হাত দেই। এক সময় ডাইনিং রুমটা সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার ব্যাপারে কেউ খুব একটা নজর দিতো না। কিন্তু যুগ পালটেছে। ডাইনিংয়ের সৌন্দর্য ইদানিং লিভিং রুম কিংবা বেডরুমের চাইতেও কিছুটা বেশি! 

ডাইনিং রুম সাজানো গোছানো থাকা জরুরি কেন? 

পরিবারের সবাই দিনের শুরুটা করে ডাইনিং রুমে। আজকাল আর আগের মতো সবাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে একসাথে ব্রেকফাস্ট করতে বসে না। যে যার সুবিধামতো সময়ে পছন্দমতো খাবার খেয়ে শুরু করে ব্যস্ত দিনগুলো। তবু ডাইনিং রুমে না এসে কারো দিন কিন্তু শুরু হয় না! তেমনি দিনের শেষে সব ব্যস্ততার ক্লান্তি মুছে যায় যখন প্রিয়জনদের সাথে আমরা একসাথে ডিনার করতে বসি। সারাদিনের সব গল্প, পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সব আলোচনা আর ঘোষণা তো এখানেই হয়! নতুন আর ছোটো সংসারে অতিরিক্ত ফার্নিচার এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অনেকে ডাইনিং টেবিলেই ছোট্ট সন্তানের লেখাপড়ার আয়োজন করে দেন। 

showcase

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আধুনিক ও পুরনো সব বাসাতেই ডাইনিং রুমটা থাকে বাড়ির মাঝখানে। একে কেন্দ্র করেই এর চারপাশে ফুলের মতো নিজেকে মেলে ধরে পুরো বাসাটা। ফলে ডাইনিং রুমটা পরিষ্কার ও পরিপাটি করে গোছানো থাকলে পুরো বাসাটাই সুন্দর লাগে আর বাসার মানুষজনেরও মনটা ফুরফুরে থাকে। তাহলে, ডাইনিংকে যদি বাসার প্রাণ বলি, খুব কি ভুল বলা হবে? 

 

ছিমছাম একটি ডাইনিং রুম পাবেন কীভাবে? 

একদম জরুরি অল্প কিছু ফার্নিচার দিয়ে সাজানো ডাইনিং রুম প্রত্যেক গৃহকর্ত্রীরই স্বপ্ন। ডাইনিংয়ে যথেষ্ট খোলা জায়গা আর আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকলে খাওয়াদাওয়া আর আড্ডা দিতেও ভালো লাগে। কিন্তু ডাইনিং রুমের তো নিজস্ব কিছু জিনিসপত্র আছে। যেমনঃ থালাবাসন, হটপট, কাটলারিসহ অন্যান্য ক্রোকারিজ এবং ওভেন, ব্লেন্ডারের মতো ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্স। এগুলো গুছিয়ে রাখার জন্য চাই কেবিনেট, শোকেসসহ স্মার্ট কিছু স্টোরেজ সিস্টেম। তাই বলে যেনতেন একটা কেবিনেট এনে রেখে দিলেই তো আর ডাইনিং রুম অভিজাত, গোছানো আর আধুনিক হয়ে যাবে না, তাই না? ডাইনিং রুমের স্টোরেজ সিলেকশনের আগে একটু ভাবতে হবে। যেমনঃ 

  • আপনার কি ছোটো শোকেস দরকার নাকি বড়সড়? 
  • আপনার ডাইনিং রুমের সাইজের সাথে শোকেসের সাইজটা মিলছে তো? 
  • গ্লাস ডোর নাকি উডেন কাভার- কোনটা বেশি মানাবে? 
  • ডাইনিং রুমের কোন জায়গায় রাখবেন জিনিসটা? 
  • বিশেষ কোনো স্টোরেজ সুবিধা চান কি শোকেসে? 
  • কেবিনেট করার সুযোগ আছে? 

dinner wagon

এই বিষয়গুলোতে আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন। তাহলেই ডাইনিংকে পরিপাটি করার কাজ সহজ হয়ে যাবে। কারণ, ছোটো ডাইনিং রুমে বিশাল আকারের শোকেস দেখতে বেঢপ দেখায়, হাঁসফাঁস লাগাটাও স্বাভাবিক। আবার বড়সড় ডাইনিং স্পেসে ছোট্ট একটা শোকেস ঠিক মানায় না, জিনিসপত্র রাখার জায়গাও কম থাকে। ডিজাইনের নতুনত্ব আর আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে হাতিল সবসময়ই এগিয়ে থেকেছে। ল্যাকার ফিনিশিং এর এই শোকেসগুলো অ্যান্টিক বার্নিশ কিংবা ন্যাচারাল বার্নিশ দুইভাবেই পাওয়া যায়। কাস্টমারদের মতে, এই শোকেসগুলো নিখুঁত থাকে যুগের পর যুগ। আর জানেনই তো, ডিজাইনের দিক থেকে হাতিল ফার্নিচার কখনো পুরনো হয় না। আপনার মন যেমনটা চাইছে, হাতিল-এ ঠিক তেমন ডাইনিং স্টোরেজ পেয়ে যেতে পারেন। ঘুরে দেখতে তো বাধা নেই! 

শোকেস সাধারণত ঘরের এক কোণেই রাখা হয়। চারকোণা শোকেস যেমন যেকোনো বাসার জন্য স্ট্যান্ডার্ড, তেমনি কর্ণার শোকেসগুলো ত্রিভুজ ধরনের হয়। এতে কিছুটা জায়গাও বাঁচে আর দেখতেও ব্যতিক্রমী। তবে ওভেন টেবিল এবং অন্যান্য ফার্নিচার মিলিয়ে কর্ণারে রাখতে না পারলেও সমস্যা নেই। ডাইনিং টেবিলের চেয়ার নাড়াচাড়া করতে সমস্যা হবে না এমন যেকোনো জায়গায় যথেষ্ট স্পেস থাকলে সেখানেই রাখতে পারেন আপনার শখের শোকেসটি।

dinner wagon

ইদানিং কমবেশি সবাই কিচেনে কেবিনেট ব্যবহার করেন। তেমনি ডাইনিং রুমেও কেবিনেট রাখতে পারেন। তবে এমন জায়গায় কেবিনেট বসাতে হবে যেখানে সহজেই হাত পৌঁছায় আর রুমের আলো চলাচলে কোনো বাধা না হয়। খোলামেলা আর পরিপাটি ডাইনিং রুমই তো আধুনিক স্টাইলিশ ডাইনিং রুম! 

এখন প্রশ্ন হলো, এত হিসাবনিকাশ করে ডাইনিং রুমের স্টোরেজ আর ডেকোরেশন ঠিক করে কী লাভ? চলুন দেখি- 

১। গোছানো বাসাতেই প্রশান্ত মন 

আপনার শখের ডিনার সেট, বিয়েতে পাওয়া ক্রোকারিজ, শোপিস সবকিছু থাকবে হাতের নাগালে, এক জায়গায় গোছানো। বারবার ধুলাবালি পরিষ্কার করা লাগবে না। চোখের আরাম, খাওয়াদাওয়ারও আরাম। 

২। ডাইনিং স্পেসটা কাজে লাগবে 

আধুনিক বাসাবাড়িতে ডাইনিং রুম খুব একটা বড় হয় না। এই জায়গার মধ্যে কোথায় ওভেন রাখবেন, কোথায় ডিনার সেট, কোথায় চামচগুলো সাজানো থাকবে তা নিয়ে একটা চিন্তা থেকে যায়। সবকিছু এক জায়গায় থাকলে ডাইনিং রুমে চলাফেরা এবং বসার জন্য যথেষ্ট জায়গা পাওয়া যায়। 

৩। মেহমানদারিতে স্মার্টনেস 

মনে করেন আপনার বাসার অতিথিরা একসাথে খেতে বসেছেন। এই সময় যদি প্রয়োজনীয় বাটি চামচ থালাবাসন নেয়ার জন্য বারবার কিচেনে যেতে হয়, তাহলে দাওয়াতের হোস্টের কষ্টও বেশি হয় আর স্মার্টনেসও নষ্ট হয়। বরং আপনার চমৎকার শোকেস আর কেবিনেট থেকে হাত বাড়িয়ে সবকিছু ম্যানেজ করতে পারলে কত ভালো লাগবে, ভেবে দেখুন! 

৪। বারবার ধোয়ামোছা আর পরিষ্কারের ঝামেলা কম 

স্টোরেজে সব ক্রোকারিজ আর কাটলারি থাকে ধুলাবালি থেকে দূরে। তাই প্রয়োজনের সময় থালাবাসন, বাটি, চামচ, ডিনার সেট ইত্যাদি ধুয়ে মুছে কিংবা খুঁজে খুঁজে আনার বাড়তি ঝামেলা থাকে না। এখন একটু রিল্যাক্সড হয়ে মেহমানদের সাথে গল্প করুন! 

showcase

৫। ইন্টেরিয়রের স্ট্যান্ডার্ড বাড়িয়ে তোলা 

ডাইনিং স্টোরেজ সাধারণত আপনার ডাইনিং রুমের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, ডাইনিং রুমে ঢুকে সবাই প্রথমে এগুলোই দেখে। তাই স্মার্ট ডিজাইন আর স্মার্ট পজিশনে রাখা শোকেস আর কেবিনেট আপনার বাসার স্ট্যান্ডার্ডটাই উঁচু করে দেয়! 

 

ডাইনিং রুম সাজানো ও গোছানোর ক্ষেত্রে একেকজনের পছন্দ একেকরকম। এবং নিজের পছন্দমতো নিজের বাসাকে সাজাতে পারলে তবেই সেটা দেখতে সুন্দর আর আরামদায়ক লাগে। স্টোরেজ আর অন্যান্য ফার্নিচার নিজের ইচ্ছেমতো এদিক সেদিক সরানোই যায়। কিন্তু ফার্নিচার কেনার জন্য নিশ্চয়ই প্রতিবছর বাজেট বরাদ্দ রাখা স্মার্টনেস নয়! এই লং টার্ম ইনভেস্টমেন্টগুলো তাই একটু খোঁজখবর নিয়ে বুঝেশুনেই করা উচিৎ। আপনার বড় বাজেটটা যেন পারফেক্ট ফার্নিচারের জন্যই ব্যয় হয়, সে উদ্দেশ্যেই হাতিল-এর শত শত কর্মচারী ও কর্মকর্তা দিনরাত কাজ করে চলেছেন বিশ্বমানের টেকসই ও স্টাইলিশ ফার্নিচার তৈরিতে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।