বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে বসবাসের স্থান নিতান্তই অপ্রতুল। একসময় মানুষ থাকার জন্য বড় এবং খোলা মেলা বাসার খোজ করলেও, দিন দিন বসবাসের স্থান কমে আসার কারনে এখন শুধু মাত্র মাথা গুজার জন্য হলেও ছোট ছোট এপার্টমেন্টের দিকে ঝুঁকছে। তবে মানুষের নান্দনিক মননশীলতার তো আর পরিবর্তন হয়নি, কারন মানুষ সর্বদা সুন্দরের পুজারি, তাই ছোট এপার্টমেন্ট হলেও সেটা সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার জন্য মানুষের আসবাবপত্রের চাহিদা তে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমান সময়ে মানুষ মাল্টি ফাংশনাল এবং স্পেস সেভিং ফার্নিচারের দিকেই বেশি আগ্রহী হচ্ছে কারন কম জায়গার মধ্যে এসব ফার্নিচারই বাসার এস্থেটিক বজায় রেখে মানুষের সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে সক্ষম। আজকে আমরা এমন ৫ টি অতি প্রয়োজনীয় ফার্নিচার নিয়ে কথা বলব যা ছোট এপার্টমেন্টে বসবাসকারীদের স্পেস ম্যাক্সিমাইজেশনের মাধ্যমে একটি কম্ফোর্টেবল লিভিং এনভায়রোমেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে। এই ফার্নিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে স্ট্যাকড স্টুলস, শেলফ, বেডসাইড টেবিল, বেঞ্চ এবং ফোল্ডেবল সোফা। আমরা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এদের ব্যবহার এবং বেনিফিট নিয়ে আলোচনা করব। আপনি যদি নতুন ফ্লাট মালিক হন যিনি নিজের বাসাকে ফার্নিচারে সজ্জিত করার মাধ্যমে এপার্টমেন্ট স্পেসকে অপ্টিমাইজ করতে চাচ্ছেন, তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
স্ট্যাকড স্টুলস
স্ট্যাকড স্টুলস হলো এমন এক ধরনের ফার্নিচার যা সহজেই একসাথে গুছিয়ে রাখা যায় যার মাধ্যমে বাসার অনেক স্পেস সেইভ হয়। প্র্যাকটিক্যাল ইউজ এবং মাল্টিফাংশনালিটির জন্য এই ধরনের স্টুলস সেট গুলো বাংলাদেশী ছোট এপার্টমেন্টধারিদের পছন্দের ফার্নিচার হয়ে উঠেছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশের বিভাগীয় শহর গুলোতে বসবাসকারীদের জন্য একটু খোলামেলা বাসা অনেকটাই অলীক স্বপ্নের মত, এবং যারা ছোট এপার্টমেন্টে থাকেন, তাদের জন্য বাসায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ফার্নিচার রাখা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। স্ট্যাকড স্টুলসগুলোর ইফিশিয়েন্সি এবং ফাংশনালিটির কারনে এগুলো ব্যাবহারের পর আবার গুছিয়েও রাখা যায় যার কারনে বাসার স্পেস অনেকটাই সেইভ হয়। পাশাপাশি, এই ধরনের স্টুলস এবং টেবিল সেট বেশ ভার্সেটাইল হয়ে থাকে, তাই শহরাঞ্চলে বসবাসকারিদের জন্য এটি একটি আদর্শ ফার্নিচার। কাঠ, প্লাস্টিক, এল্যুমিনিয়াম – অনেক ধরনের ম্যাটেরিয়াল দিয়েই স্ট্যাকড স্টুলস তৈরি করা হয় এবং আপনি চাইলে বাসার ইন্টেরিওর এস্থেটিকের সাথে মিল রেখেও স্ট্যাকড স্টুলস তৈরি করে নিতে পারেন।
স্ট্যাকড টুলস ব্যবহারের উপকারিতা
বাংলাদেশের ছোট অ্যাপার্টমেন্ট মালিকদের জন্য স্ট্যাকড স্টুলস অনেকভাবে বেনিফিশিয়াল হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে-
- স্পেস সেভিং ক্যাপাবলিটিঃ আগেই বলা হয়েছে যে বাসার স্পেস সেইভ করার জন্য এই ধরনের ফার্নিচারের ডিজাইন করা হয়েছে। অব্যবহৃত অবস্থায় এগুলো সহজেই গুছিয়ে রাখা যায়, তাই ছোট এপার্টমেন্টগুলোর জন্য এটি আদর্শ ফার্নিচার।
- ভার্সেটাইল ইউজঃ স্ট্যাকড স্টুলসগুলো নানাবিধ কাজে ব্যবহার করা যায় বিধায় ফার্নিচার হিসেবে এটি সবাই পছন্দ করে। এর বহুমুখী ব্যবহারের মধ্যে অন্যতম হলো – ড্রয়িং রুমে ছোট খাটো ফ্যামিলি মিটিং, হুট হাট দরকারে ওয়ার্কটেবিল হিসেবে ব্যবহার এবং বারান্দা কিংবা লবিতে সিটিং এরেঞ্জমেন্টের জন্য এটি বেশ কার্যকর ফার্নিচার।
- স্টোরেজ কনভিনিয়েন্সঃ যেহেতু একসাথে রাখা যায় তাই এই স্ট্যাকড স্টুলসগুলোকে পরিপাটী করে গুছিয়ে রাখা বেশ সহজসাধ্য একটি কাজ। অনেক স্ট্যাকড স্টুলের নিচে চাকা লাগানো থাকে, ফলে যে কোন বয়সের মানুষই এটা ব্যবহার শেষে গুছিয়ে রাখতে সক্ষম।
- স্টাইলিশ ডিজাইনঃ স্ট্যাকড স্টুলসগুলো নানা ধরনের ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি করা যায় , তাই আপনার বাসার ফার্নিচার স্কীমের সাথে মিল রেখে ইচ্ছা মত কালার এবং ম্যাটেরিয়ালের স্ট্যাকড স্টুলস এনে ঘর সাজাতে পারেন।
- এফোর্ডেবলঃ স্ট্যাকড স্টুলস একটি এফোর্ডেবল ফার্নিচার কারন এর প্রাইস রেঞ্জ সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই আছে। বাজেটের মধ্যে এটি নিঃসন্দেহে একটি সেরা ফার্নিচার।
শেলফ
শেলফ – হলো এমন একটি ফার্নিচার যা রান্নাঘর থেকে শুরু করে লিভিং রুমেও ব্যবহার হয়ে থাকে এবং কালের পরিক্রমায় যে কোনও বাসার অন্যান্য আসবাবপত্রের মত একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। এর মুল কারন হলো একটি শেলফ – ফাংশনাল এবং নান্দনিক উভয় ধরনের সুবিধা প্রদান করে। শেলফ বলতে মূলত একটি অনুভূমিক পৃষ্ঠকে বোঝায়, যা সাধারনত কাঠ বা ধাতু দিয়ে তৈরি। এই শেলফগুলো আগে বিভিন্ন কিছু স্টোর করা জন্য ব্যবহৃত হলেও বর্তমান সময়ে এর ফাংশনালিটিতে ডাইভার্সিফিকেশন এসেছে এবং এখন বিভিন্ন আইটেমগুলি শোকেস করার জন্যও শেলফ ব্যবহৃত হয়। আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে তাকগুলি আপনার বাড়ির বিভিন্ন স্থানে বসানো করা যেতে পারে।
শেলফ সাধারণত এমন জায়গায় রাখা হয় যেখানে স্থান সীমিত হলেও অতিরিক্ত স্টোরেজের প্রয়োজন আছে। উদাহরণ স্বরূপ, বই, শোপিস আইটেম, বা পরিবারের ফটোফ্রেম সাজিয়ে রাখার জন্য বসার ঘরেই শেলফ ইনস্টল করা যেতে পারে। আবার, রান্নাঘরে খাবার, মশলা এবং অন্যান্য রান্নার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্যও শেলফ ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি বাথরুমে, তোয়ালে, প্রসাধনী সামগ্রী এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সংরক্ষণ করতেও শেলফ ব্যবহার করা যেতে পারে।
শেলফ বসানোর জন্য প্লেস নির্বাচন করার সময়, আপনি যে আইটেমগুলি স্টোর করতে চাচ্ছেন সেগুলোর সাইজ এবং ওজন বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার আইটেমগুলো যদি ওজনে ভারী হয় সেক্ষেত্রে আপনার শেলফটিকে সাপোর্ট করার জন্য মজবুত অ্যাঙ্কর ব্যবহার করার দরকার পড়তে পারে।
শেলফ ব্যবহারের উপকারিতা
বাসা ছোট হোক কিংবা বড়, শেলফের মাল্টিফাংশনাল ইউজের কারনে যে কেউ বেনিফিশিয়াল হতে পারে। তবে ছোট এপার্টমেন্টগুলোতে শেলফ ব্যাবহারে সুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো –
- স্পেস সেভিংঃ বাসার বিভিন্ন জিনিশ যেমন – শোপিস, বই, রান্নার জিনিস, মগ, গাছ ইত্যাদি রাখার জন্য শেলফ একটি আইডিয়াল সলিউশ্যন, বিশেষ করে ছোট অ্যাপার্টমেন্ট বা সীমিত জায়গা আছে এমন রুমগুলোতে। ওয়াল-মাউন্ট করা শেলফে আপনি আপনার জিনিসপত্র রেখে স্টোরেজ স্পেস ম্যাক্সিমাইজ করতে পারেন।
- অর্গানাইজড রাখাঃ শেলফগুলো আপনার জিনিস্পত্রকে অর্গানাইজড রাখতে সাহায্য করে। শেলফ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার টুলস এবং আইটেমের জন্য একটা প্রোপার ম্যান্টেইনড সেকশন তৈরি করতে পারেন যেখান থেকে প্রয়োজন অনুসারে যে কোন আইটেম খুজে নেয়া আপনার জন্য সহজ হবে।
- ডেকোরেশনঃ শেলফ আপনার বাড়িতে একটি ডেকোরেটিভ আইটেম হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। বিভিন্ন শোপিস, গাছপালা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ডিসপ্লে করার মাধ্যমে এটি আপনার বাড়ির অভারল এস্থেটিক বাড়াতে সাহায্য করে।
- ইনস্টল করা সহজঃ শেলফ ইনস্টল করা তুলনামূলকভাবে সহজ, বিশেষ করে যদি আপনি ওয়াল-মাউন্ট হিসবে ব্যবহার করেন। এছাড়াও যারা DIY এর মাধ্যমে বাসার ইন্টেরিওর ইম্প্রুভ করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত ফার্নিচার।
- ইজি কাস্টমাইজেশনঃ শেলফকে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজ করতে পারেন। দেয়ালের সাইজ এবং কালার অনুসারে আপনি রিকোয়ারমেন্টস দিতে পারেন, এবং সেই অনুসারেই কারিগিরেরা এটি তৈরি করে দিবে।
বেডসাইড ডেস্ক
একটি বেডসাইড ডেস্ক হলো এমন একটি ছোট টেবিল বা ডেস্ক যা বেডরুমের বিছানার পাশে রাখা হয়। এটি ল্যাম্প, বই, ফোন এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্রকে সহজে স্টোর এবং অ্যাক্সেস করার জন্য একটি কনভিনিয়েন্স প্রদান করে যা সাধারণত বিছানায় থেকেই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। একটি বেডসাইড ডেস্ক সাধারণত একটি কমপ্যাক্ট এবং স্পেস সেভিং ফিচারকে মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয় যা যেকোনো বেডরুমের আকার এবং ডেকোরেশনের সাথে সহজেই ব্লেন্ড হয়ে যেতে সক্ষম। একটি বেডসাইড ডেস্কের মুল কাজই হলো হাতের নাগালে একটি ফাংশনাল এবং স্টাইলিশ স্টোরেজ সিস্টেম প্রোভাইড করা।
বেডসাইড ডেস্ক ব্যবহারের উপকারিতা
ফাংশনাল স্টোরেজ ছাড়াও বেডসাইড ডেস্ক একটি ভার্সেটাইল ফার্নিচার হবার কারনে এর নানাবিধ সুফল রয়েছে। তন্মোধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো –
- স্পেস-সেভিংঃ বেডসাইড ডেস্ক হল একটি স্পেস-সেভিং ফার্নিচার যা কম ফ্লোর স্পেস দখল করে বেশি স্টোরেজ স্পেস প্রদান করে। এটি ছোট এপার্টমেন্টগুলোর জন্য উপযুক্ত, যেখানে প্রতিটি ইঞ্চি ম্যাটার করে।
- কনভিনিয়েন্ট স্টোরেজঃ আপনি বিছানায় অবস্থান করাকালীন যে সকল জিনিস ব্যবহার করেন যেমন ফোন, ল্যাপটপ, বই পড়া, গ্লাস ইত্যাদি রাখার জন্য বেডসাইড ডেস্ক একটি কনভিনিয়েন্ট স্টোরেজ স্পেস। আপনি হাত বাড়ালেই সহজে এখান থেকে জিনিসগুলো এক্সেস করতে পারবেন।
- বহুমাত্রিক ব্যবহারঃ স্টোরেজ ছাড়াও অন্যান্য কাজেও বেডসাইড ডেস্ক ব্যবহার করা যায়। আপনি মাঝে মধ্যে এটাকে টেম্পোরারি টেবিল হিসেবে এটা ব্যবহার করতে পারেন , যেমন মেকাপ করার সময়, কিংবা ফ্ল্যাট সারফেসে কোন কাজ করার সময়।
- এস্থেটিক বজায় রাখাঃ বেডসাইড ডেস্কগুলো সাধারনত নানা ডিজাইনে এবং স্টাইলের হয়ে থাকে যা রুমের সামগ্রিক ডেকোরেশনকে কমপ্লিমেন্ট করতে সাহায্য করে। ক্লাসিক, কনটেম্পরারি কিংবা মিনিমালিস্টিক – যেমনই হোক না কেন, আপনি নিজের পছন্দ অনুসারে বেডসাইড ডেস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
- স্লিপ কোয়ালিটি বৃদ্ধি করাঃ একটি বেডসাইড ডেস্ক আপনার বেডরুমের জড়তা কমিয়ে আপনার শোবার ঘরকে ডি-ক্লাটার এবং শান্ত পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে যা পরিপুর্ন ঘুমের জন্য কার্যকরি ভুমিকা পালন করে।।
ব্যাকলেস বেঞ্চ
ব্যাকলেস বেঞ্চ হলো এমন একধরনের বসার লম্বা টুল যার কোন ব্যাকরেস্ট নেই। এটা তৈরি করা হয়েছে ইনডোর এবং আউটডোর – যেকোন পরিবেশে সিম্পল এবং ফাংশনাল সিটিং সলিউশ্যন হিসেবে যেন কাজ করতে পারে, সেই কথা মাথায় রেখে। নিঃসন্দেহে ব্যকলেস বেঞ্চ ছোট এপার্টমেন্টের জন্য ফার্নিচার হিসেবে একটি প্রয়োজনীয় ফার্নিচার কারন এটি যে কোন রুম এমনকি বারান্দাতেও সেট করা যায়। বাস্তবিকই এটি একটি ভার্সেটাইল ফার্নিচার যার মিলিমালিস্টিক ডিজাইন এবং ফাংশনালিটির কারনে বাসার যে কোন স্থানেই একে শোভা দেয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে, এভেইলেবল স্পেস কতখানি সেটা নিরুপন করাও বেশ গুরুত্বপুর্ন। যেমন, যারা বারান্দাতে বসে সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য বারান্দাতে ব্যাকলেস বেঞ্চ সেট করাটাই আদর্শ হবে কারন প্রকৃতির পাশাপাশি তাজা হাওয়াও পাওয়া যাবে। এছাড়াও, যারা কফি কিংবা চা খেতে খেতে প্রকৃতি দেখতে চান তারাও এইভাবে বারান্দাতে ব্যাকলেস বেঞ্চ রাখতে পারেন। এছাড়ার বাসার ভেতরে বেডরুমে বিছানার সামনে, কিংবা ড্রয়িংরুমে এক্সট্রা বসার প্লেস হিসেবেও এটি ইউজ করতে পারেন।
ব্যাকলেস বেঞ্চ ব্যবহারের উপকারিতা
এপার্টমেন্টের ভেতরে হোক কিংবা বাহিরে, ব্যকলেস বেঞ্চের নানান উপকারিতার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো –
- ভার্সেটাইলিটিঃ ব্যাকলেস বেঞ্চের অনেকগুলো সিগনিফিক্যান্ট বেনিফিটের মধ্যে অন্যতম হলো এর বহুমুখি ব্যবহার উপযোগীতা। ঘরের ভেতরে ও বাইরে – ব্যকলেস বেঞ্চ যেকোন জায়গায় বসার কাজে ব্যবহার করা যায়।
- স্পেস-সেভিংঃ ছোট সাইজের এপার্টমেন্টগুলোর জন্য ব্যাকলেস বেঞ্চ অসাধারন চয়েস কারন ফিক্সড একটা স্থানে বসার বদলে একটা হ্যান্ডি বেঞ্চ যদি ঘুরে ঘুরে সব স্থানে বসার কাজে ব্যবহার করা যায় তাহলে সেটা বাসায় বসবাসকারীদের জন্য সুবিধাজনকই হবে।
- নান্দনিকতাঃ একটি মিনিমালিস্টিক ব্যকলেস বেঞ্চ ডিজাইনগত দিক থেকে সিম্পল অথনা গর্জিয়াস, যেমনই হোক না কেন – এটি যদি বাসার কালার এবং ইন্টেরিওর স্টাইলের সাথে ম্যাচ করে তাহলে ঘরের সৌন্দর্য আরো বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে।
- ইজি টু মেন্টেইনঃ ওজনে হাল্কা হবার কারনে এই ফার্নিচারগুলোর সহজেই স্থান পরিবর্তন করা যায় এবং পরিস্কার রাখাও বেশ ইজি। যেহেতু ব্যাকরেস্ট নেই, তাই কোন কুশন ম্যানেজ করা কিংবা পরিচ্ছন্ন রাখারও ঝামেলা নেই।
- কম্ফোর্টেবলঃ যেহেতু ব্যাকরেস্ট নেই, তাই লম্বা সময়ের জন্য না হলেও, কম সময়ের জন্য আরামদায় সিটিং এক্সপেরিয়ান্স দিতে সক্ষম এই ফার্নিচারটি। এক্সট্রা কম্ফোর্টের জন্য আপনি চাইলে কুশন এড করতে পারেন যা আপনার সিটিং এক্সপেরিয়ান্সকে প্রভাবিত করবে।
ফোল্ডেবল সোফা
এপার্টমেন্ট ছোট হোক কিংবা বড় – সিটিং এরেঞ্জমেন্ট সব ফ্যামিলির জন্যই গুরুত্বপুর্ন, এবং মনমত সিটিং এরেঞ্জমেন্ট দিয়ে রুম সাজানো বেশ কস্টসাধ্য একটা কাজ। ছোট এপার্টমেন্টগুলোতে সাধারনত এমন সব ফার্নিচার ব্যবহার করাই উচিত যেগুলো একই সাথে ফাংশনাল এবং স্পেস সেভিং। এমন প্রয়োজনের জন্যই সাধারন মানুষের কাছে মূলত ফোল্ডেবল সোফার কদর দিন দিন বেড়ে চলেছে। ছোট এপার্টমেন্টগুলোর জন্য ফোল্ডেবল সোফা একটি স্মার্ট চয়েস কারন এটি কেবলমাত্র বসার জন্য সোফা সেট হিসেবেই কাজ করেনা, বরং প্রয়োজনের সময় রিক্লাইনার এবং স্লিপিং বেড হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এই মাল্টি-ফাংশনালিটির সাথে প্র্যাকটিক্যালিটি এবং স্টাইলিশ হবার কারনে ফোল্ডেবল সোফাকে এক্সিলেন্ট ইনভেস্টমেন্ট চয়েস হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।
ফোল্ডেবল সোফা ব্যবহারের উপকারিতা
এপার্টমেন্টের ভেতরে হোক কিংবা বাহিরে, ব্যাকলেস বেঞ্চের নানান উপকারিতার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো –
- স্পেস সেভিংঃ ছোট সাইজের এপার্টমেন্ট গুলোর জন্য ফোল্ডেবল সোফাগুলো আইডিয়াল চয়েস কারন এগুলোকে খুব সহজে রিক্লাইনার কিংবা বেড হিসেবে পরিনত করা যায় এবং কাজ শেষে আবার গুছিয়ে রাখা যায়। তাই স্পেস এলোকেশন নিয়ে কোন দুশ্চিন্তার কারন নেই।
- কস্ট-ইফেক্টিভঃ যারা একই সাথে সোফা এবং স্লিপিং বেড চান, যেন মেহমান আসলে শোবার স্থান নিয়ে ছোট ফ্ল্যাটে কোন সমস্যা না পোহাতে হয়, তাদের জন্য নতুন করে এক্সট্রা বেড কেনার চেয়ে এই ফোল্ডেবল সোফা কেনা বেস্ট চয়েস।
- ইজি টু ইউজঃ অব্যবহৃত অবস্থায় ফোল্ডেবল সোফাগুলো সহজেই গুছিয়ে রাখা যায়, ফলে বাসার ফ্লোর স্পেস অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকেনা। ছোট ফ্ল্যাটের জন্য এটা খুবই প্রয়োজনীয়।
- মাল্টি-ফাংশনালঃ ফোল্ডেবল সোফাগুলো ভার্সেটাইল কারন এগুলো একাধিক কারন যেমন – বসা, ঘুমানো এবং আরাম করার কাজে ব্যবহার করা যায়। যেহেতু এর বহুমুখি ব্যবহার রয়েছে, তাই বাসার জন্য ফোল্ডেবল সোফা কেনা একটি চমৎকার ইনভেস্টমেন্ট।
- কম্ফোর্টেবলঃ ফোল্ডেবল সোফাগুলোকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন এগুলো একই সাথে কম্ফোর্ট এবং সাপোর্ট দিতে পারে। তাই স্টাইলের সাথে রিলাক্স করার জন্য এই ধরনের সোফার জুড়ি মেলা ভার।
এই অতি প্রয়োজনীয় ফার্নিচারগুলো ব্যবহার করে আপনি প্রতিদিনের প্র্যাকটিক্যাল স্টোরেজ সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি বাসার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভুমিকা পালন করে।