চাকরি হোক কিংবা ব্যবসা, কমিটমেন্ট বিষয়টি যেকোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এর সাথে ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক সুনাম সরাসরিভাবে জড়িত। বর্তমান সময়ে ব্যবসায়িক দুনিয়ায় প্রতিনিয়তই নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস থেকে শুরু করে ফাইনাল প্রোডাক্ট ডেলিভারি পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্র্যান্ডকে বেশ সচেতনতার সাথে কাজ করতে হয়। ফার্নিচার ব্যবসায়ে বাংলাদেশে শীর্ষস্থান ধরে রাখা ব্র্যান্ড হাতিল অন-টাইম প্রোডাক্ট ডেলিভারি বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। কেননা, হাতিল মনে করে প্রোডাক্ট তৈরি এবং তা গ্রাহকের কাছে উপস্থাপন করাই নয়, বরং অর্ডারকৃত প্রোডাক্ট সময়মত গ্রাহকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়া অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।
কর্পোরেট অর্ডারের ক্ষেত্রে সময় কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সাধারণত যেকোনো কর্পোরেট অফিস ডেকোরেশনের ক্ষেত্রে সময়মতো প্ল্যানিং, ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং, ফার্নিচার ডেলিভারি পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কর্পোরেট অফিসের যেকোনো কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট টাইম শিডিউল বরাদ্দ করা থাকে। আর তাই, নতুন করে অফিস পরিচালনা কিংবা পুরনো অফিসকে রেনোভেট করা- যেকোনো ক্ষেত্রেই একদিনের বিলম্বও ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে হাতিল বরাবরের মতোই কর্পোরেট অর্ডারে ফার্নিচার ডেলিভারির ক্ষেত্রে সময়কে গুরুত্বের সাথে নিয়ে থাকে।
ডেলিভারি প্রসেসিং-এ ইআরপি সফটওয়্যারের ব্যবহার
প্রোডাক্ট ডেলিভারি প্রসেসকে স্মুথ এবং আপডেটেড রাখতে হাতিল ডেলিভারি ট্র্যাকিং সিস্টেম হিসেবে ইআরপি সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। এই অ্যাডভান্স সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন শিডিউল এবং লজিস্টিক কোর্ডিনেশন ইত্যাদির সমন্বয় করা যেমন সম্ভব হয়, তেমনি প্রোডাক্টের ডেলিভারি টাইম সম্পর্কেও রিয়েল-টাইম তথ্য পাওয়া যায়। এর ফলে প্রোডাক্ট ডেলিভারিতে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব হওয়া কমানো সম্ভব হয় এবং গ্রাহকরা ডেলিভারি স্ট্যাটাস সম্পর্কেও সঠিক তথ্য পেতে পারেন।
দ্রুত সময়ের মধ্যে ফার্নিচার ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি
প্রোডাক্ট ডেলিভারির ক্ষেত্রে হাতিল দ্রুত সময়ের মধ্যে তা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিশীল। কাঙ্ক্ষিত ফার্নিচারটি যদি হাতিল এর শোরুমে থাকে, তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা ডেলিভারি করা হয়। অন্যথায় ফার্নিচার স্টকে না থাকলে, প্রোডাকশন থেকে ডেলিভারি প্রসেস সম্পন্ন হতে ১৫ থেকে ৩০ দিনের মতো সময় প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বিলম্বের কারণবশত ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া
যদিও হাতিল সঠিক প্রোডাক্ট গ্রাহকের কাছে সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে বেশ তৎপর থাকে। তবে যদি কোন কারণবশত সময়সীমা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি হয়, সেক্ষেত্রে পেনাল্টি হিসেবে হাতিল প্রতি সপ্তাহে প্রোডাক্টের মূল্যের ০.৫% জরিমানা প্রদান করবে। তবে, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য, জরিমানা প্রয়োগের আগে ১৫ দিনের বাফার প্রদান করা হয়।
আর তাই, নির্দ্বিধায় বলাই যায়, প্রোডাক্টের গুণগত মান ধরে রাখার পাশাপাশি, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী অন-টাইম প্রোডাক্ট ডেলিভারি করাও হাতিল-এর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ জন্য হাতিল উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা, গ্রাহককে রিয়েল টাইম তথ্য প্রদান করা এবং সে সাথে তাদের প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতেও সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছে। যা ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকের আস্থা এবং ভালোবাসা ধরে রাখতে দারুণভাবে কাজ করে।