বাংলাদেশের শিল্পখাতে স্বনামধন্য ফার্নিচার ব্র্যান্ড হিসেবে হাতিল ইতিমধ্যেই বেশ সুনাম অর্জন করেছে। মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং সময়োপযোগী উদ্ভাবন ব্যবস্থার সমন্বয়ে, হাতিল প্রতিনিয়তই ফার্নিচার ডিজাইনে আনছে পরিবর্তন। ট্রেন্ড এবং ট্র্যাডিশনের মধ্যে চমৎকার ব্যালেন্স তৈরি করতে নিত্যনতুন ডিজাইন, সাথে আধুনিক যন্ত্রপাতি– এসব কিছুই আছে হাতিল এর অগ্রযাত্রার অংশ হয়ে।
তবে শুধু ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরেই নয়, কর্পোরেট কোম্পানি হিসেবেও হাতিল সততা এবং দায়িত্বশীলতার এক নাম হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বিশেষ করে, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে, ব্র্যান্ডের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি শিল্পখাতে চমৎকার এক উদাহরণ স্থাপন করেছে, যা বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর দ্বারা স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
ফলস্বরূপ, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হাতিল মর্যাদাপূর্ণ এনবিআর পুরস্কার অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখার জন্য নিষ্ঠা এবং প্রতিশ্রুতিপূর্ণ এ পদক্ষেপ অন্যান্য কর্পোরেট কোম্পানির জন্য এক পথপ্রদর্শক হিসেবেও কাজ করছে।
কেন ভ্যাট প্রদান করা প্রয়োজন?
দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে, দেশের ছোট–বড় সকল কোম্পানিরই ভ্যাট প্রদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা উচিত। কেননা, সরকারের জন্য রাজস্ব সংগ্রহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস হচ্ছে ভ্যাট, যা স্বাস্থ্যসেবা সহ, শিক্ষা, অবকাঠামো এবং সমাজকল্যাণ কর্মসূচির মতো কাজে তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করে। আর তাই, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ভ্যাট প্রদানে সচেষ্ট হয়, তখন তা একটি শক্তিশালী এবং স্বচ্ছ অর্থনৈতিক অবকাঠামো তৈরিতে অবদান রাখতে সহায়তা করে।
হাতিল–এর মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় এবং প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডগুলো জন্য এ ভ্যাট নীতি মেনে চলা কেবলমাত্র একটি আইনি বাধ্যবাধকতাই নয়, বরং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নৈতিক মূল্যবোধেরও একটি অংশা। যা আর্থিক লেনদেনের ধারায় স্বচ্ছতা প্রকাশ করে এবং সে সাথে গ্রাহক, অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি করে।
ভ্যাট প্রদানে হাতিল –এর অর্জন
শুধুমাত্র ব্যবসা পরিচালনা করাই নয়, বরং সে সাথে আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের নীতিনির্ধারনী পদক্ষেপ অনুসরণ করাও অত্যাবশ্যক, যা হাতিল করে দেখিয়েছে। আর তারই ফলশ্রুতিতে, হাতিল ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে পর পর তিন বছর ধরে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার অর্জন করেছে। বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক এ স্বীকৃতি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে হাতিল– এর এ ভূমিকাকে বরাবরের মতোই উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব
অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, সমাজের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি সমূহ ভ্যাট ফাঁকি দেয়া বা সঠিক নিয়মে ভ্যাট প্রদানের বিষয়টিকে এড়িয়ে চলেন। এক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে তা দেশের অর্থনীতির উপর যেমন প্রভাব ফেলে, তেমনি রাষ্ট্রের নিয়মকেও অবমাননা করা হয়।
এক্ষেত্রে ভ্যাট প্রদানের মাধ্যমে হাতিল ব্র্যান্ড ভ্যালু ধরে রাখার পাশাপাশি, দেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর্থিক নিয়মকানুন মেনে চলার মাধ্যমে, হাতিল শিল্পখাতে যেমন অবদান রাখছে, তেমনি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্যও অনুসরণীয় উদাহরণ হয়ে উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছে।
আর তাই নিঃসন্দেহে বলাই যায়, এনআরবি কর্তৃক স্বীকৃত ভ্যাট পুরস্কার এবং সম্মাননা হাতিল-এর প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বৃদ্ধি করেছে। আর একজন গ্রাহক যখন এমন একটি ব্র্যান্ড থেকে ফার্নিচার ক্রয় করতে পারছেন, যা এর সততা এবং স্বচ্ছতার জন্য স্বীকৃত, তখন গ্রাহকদের পছন্দ এবং ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এমনটাই স্বাভাবিক।