Office Furniture Design ideas Office Furniture Design ideas

ছবি সহ ৪০+ অফিস ফার্নিচার ডিজাইন আইডিয়া

কাজের পরিবেশকে আধুনিক ও স্বস্তিদায়ক করতে এখন খুব জাকজমকভাবে অফিসরুমের ডিজাইন করা হয়। আর এই ডিজাইনের মূল উপকরণ হলো নিত্যনতনু স্টাইলের ফার্নিচার। এতে কাজ সহজ করার পাশাপাশি অফিসের সৌন্দর্য বাড়ে, তাই কাজের মনোযোগও ব্যাঘাত হয়না। আপনার অফিসরুমকে এরকম আধুনিক ফার্নিচার দিয়ে বেশি প্রোডাক্টিভ করতে চাইলে আমাদের আজকের গাইডটি মিস করবেন না! চলুন দেখে নিই ছবিসহ বিভিন্নরকম অফিস ফার্নিচার ডিজাইন আইডিয়া!

অফিসরুম ডিজাইন করতে কি কি ফার্নিচার লাগে?

অফিসের ফার্নিচারের লিস্ট করলে সোফা, সুইভেল চেয়ার, ওয়ার্কস্টেশন টেবিল, ফাইল কেবিনেট, এক্সিকিউটিভ টেবিলসহ নানারকম ফার্নিচারের নাম চলে আসবে। কিন্তু সবধরণের অফিসে এতকিছু থাকার দরকার হয়না। আপনার পছন্দ, অফিসের স্পেস ও কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী নিচের ১৬ টি ফার্নিচার থেকে সবচেয়ে উপকারীগুলো বেছে নিবেন—

১. অতিথিদের বসার সোফা

বাসাবাড়ির মত অফিসেও সোফার প্রয়োজন আছে। নিজস্ব এমপ্লয়ীদের বসার জন্য ফেব্রিক সোফা আর অতিথিদের বসার জন্য রেক্সিন সোফা বেশ মানানসই। সুন্দর সোফা থাকলে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা গেস্টরা কোনে কষ্ট ছাড়াই বসে অপেক্ষা করতে পারে। আবার অফিস কতটুকু সহায়ক হবে তা বসার ব্যবস্থার মত ছোটখাট বিষয় থেকে বিবেচনা করা যায়।

২. বড় ডিরেক্টর টেবিল

 

অফিসের বিভিন্ন বড় প্রজেক্টে বিশদ প্ল্যানিং লাগে। একটা ডিরেক্টর টেবিল থাকলে সহজেই কাগজপত্র, কম্পিউটার, ফাইল রেখে এই প্ল্যানিং করা যায়। বর্তমানে বেশিরভাগ অফিসে গ্লাস টপ ডিরেক্টর টেবিল দেখা যায় যার নিচেও অনেককিছু রাখা যায়। ডিরেক্টর টেবিলের আরকেটা বৈশিষ্ট্য হলোিএর সাথে ওয়ারড্রোব বা কেবিনেটের মত স্টোরেজ সিস্টেম থাকে।

৩. ফাংশনাল সাইড র‌্যাক

অফিসের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা ফার্নিচার এই সাইড র‌্যাক। সারা বছরের কাজের ফাইল, ফোল্ডার এখানে থাকবে, তাই বেশ বড়সড় র‌্যাক রাখা ভালো। কিছু র‌্যাক কেবিনেটের মত হয়ে থাকে, আবার কিছু র‌্যাক ওয়াল মাইন্টেড সিস্টেমের হয়ে থাকে। অফিস অ্যাপার্টমেন্টের স্টাইলের উপর নির্ভর করে আপনাকে সাইড র‌্যাক কিনতে হবে।

৪. গোল কনফারেন্স টেবিল

অফলাইন বা অনলাইনে বিভিন্ন মানুষের সাথে আলোচনার দরকার হতে পারে। তখন কনফারেন্স টেবিল বেশ কাজে দেয়। হাতিল-এর ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ডিজাইনের লিকুইর ও নন লিকুইর কনফারেন্স টেবিল রয়েছে। এছাড়া অল্প স্পেসের ভিতরে রাখার জন্য আধুনিক মডুলার কনফারেন্স টেবিল আছে। এগুলোতে ডেস্ক এর মতই আলাদা পার্টিশন থাকে।

৫. ছোটখাট মিটিং টেবিল

বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট বা টিম মেম্বারদের আলোচনার জন্য মিটিং টেবিল তো লাগবেই। এতে করে কিছুটা প্রাইভেট এনভাইরনমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সেরে নেওয়া যায়। বর্তমানে সব অফিসেই একটা করে ৪ সীটার মিটিং টেবিল থাকে। আর অফিস বড় হলে বেশি মানুষের সাথে আলোচনা করতে স্পিকার টেবিল ও প্রয়োজন হয়।

৬. আরামদায়ক সুইভেল চেয়ার

যেকোনো অফিসের প্রধান আকর্ষণ হলো সুইভেল চেয়ার। দীর্ঘসময় ধরে বসে থাকার জন্য এগুলো বানানো হয়। ভালো সুইভেল রেস্ট নেবার জন্য চেয়ারে পারফেক্ট আর্ম রেস্ট আর সহজ চলাফেরার জন্য স্মুথ হুইল লাগানো থাকে। সাইজ অনুযায়ী চেয়ারগুলোর মধ্যেও চিফ এক্সিকিউটিভ চেয়ার থেকে রিসেপশনিস্ট চেয়ার এরকম ক্যাটাগরি আছে।

৭. আকর্ষণীয় রিসেপশনিস্ট টেবিল

অফিসে এসে সবাই প্রথমেই রিসেপনের সামনে দাড়াবে। তাই এটি হতে হবে খুবই এট্রাক্টিভ। বিভিন্ন রকম স্টাইলের রিসেপনিস্ট টেবিল হতে পারে। কিছু টেবিল সিম্পল চারকোণা হয়ে থাকে, আবার কিছু টেবিলে ত্রিকোণ শেপের ডিজাইন দেয়া থাকে। সবসময় অফিসের থিমের সাথে মিলবে এরকম রিসেপশনিস্ট টেবিল বেছে নিতে হবে। 

৮. মাল্টিপারপাজ শেলফ

অফিসে শুধু কাজের জিনিসই রাখতে হবে এরকম না। বিভিন্ন শো পিস, মেডেল, ক্রেস্ট এসবও থাকতে পারে। আর এগুলো রাখার সেরা একটা ফার্নিচার হলো মাল্টিপারপাজ শেলফ। ছোট অফিসের জন্য এক কলামের কর্ণার শেলফ আর বড় অফিসের জন্য দুই বা দিন পার্টিশন দেওয়া চওড়া শেলফ এর অপশন আছে।

৯. বড় এক্সিকিউটিভ টেবিল

রুমের মধ্যে অফিসারদের বসার জন্য টেবিল তো লাগবেই। এজন্য লিকুইর ও নন লিকুইর এক্সিকিউটিভ টেবিল রয়েছে। টেবিলের ডিজাইন এমন হয় যেন কম্পিউটার, কলমদানি, ল্যাম্পম ফাইল, বই-খাতা সবকিছু রেখে ব্যবহার করা যায়। সহজে রুমের বিভিন্ন জায়গাতে সরানোর জন্য প্রিমিয়াম টেবিলের নিচে চাকা লাগানো থাকে। 

১০. বড় ড্রয়ার ইউনিট

অব্যবহৃত জিনিস গুছিয়ে না রাখলে অফিসের শোভা নষ্টের পাশাপাশি সব রেকর্ডস এলোমেলো হয়ে থাকবে। এর সমাধানে রয়েছে ড্রয়ার ইউনিট। এতে লকারের সাইজের বক্সে অনেকগুলো ড্রয়ার থাকে। ড্রয়ারে বিভিন্ন সাল অনুযায়ী বা এমপ্লয়ীদের নাম অনুযায়ী রেকর্ডস রাখা যেতে পারে। অনেকে এক্সিকিউটিভ টেবিলের বদলে সাধারণ টেবিল নিয়ে নিচে ড্রযার সেট করে জিনিসপত্র রাখে।

১১. অফিস আলমিরা

শুনতে একটা ভিন্নরকম মনে হলেও অফিস আলমিরা-গুলো বেশ উপকারী ফার্নিচার। এগুলো দুরকম ডিজাইনের হয়—একটা বিভিন্ন ব্যাংকের লকারের মত, আরেকটা স্টিলের শোকেসের মত। ফাইনান্স এর মত গুরুত্বপূর্ণ ডিপার্টেমেন্টটর কনফিডেন্সিয়াল ডকুমেন্টস ও অর্থ নিশ্চিন্তে আলমিরাতে রাখা যায়। বর্তমানে কাচের জানালা দেওয়া আলমিরা বেশ জনপ্রিয়।

১২. ফাইল ও ফোল্ডার কেবিনেট

অফিসের বিভিন্ন প্রজেক্টের ফাইল ও ফোল্ডার অর্গ্যানাইজড রাখার জন্য ফাইল কেবিনেট এর কোনো বিকল্প নেই। এগুলো দেখতেও খুব ছিমছাম, তাই অফিস রুমের ফাকা স্পেস পূরণ করতে পারবেন। এখানেও উপকরণের উপর ভিত্তি করে মাইল্ড স্টিল কেবিনেটকম্বাইনড কেবিনেট নেবার অপশন রয়েছে। কেবিনেটের আরেকটা সুবিধা এর উপর ফুলদানিসহ বিভিন্ন শৌখিন জিনিস রাখা যায়।

১৩. ছোট ফিক্সড চেয়ার

সুইভেল চেয়ারে বসতে সুবিধা হলেও জায়গা কিছুটা বেশি নেয়। তাই ওয়ার্কস্টেশনের বাইরে ছোটখাট ফিক্সড চেয়ার নেওয়াই ভালো। এগুলো সাধারণ বাসার চেয়ারের মত হতে পারে, আবার অডিটোরিয়াম চেয়ার ও হতে পারে। অনেকে রিসেপশনে বসার জায়গা বাড়াতে গ্রুপ চেয়ার নিয়ে থাকে যা দেখতে বেঞ্চের মত হয়। 

১৪. ছোট কম্পিউটার টেবিল

এডমিনিস্ট্রেটিভ কাজের বাইরে যারা গ্রাফিক ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপারের মত ক্রিয়েটিভ কাজ করে থাকে তাদের জন্য কম্পিউটার টেবিল থাকাই যথেষ্ঠ। এতে অল্প স্পেস নিয়ে মনিটর, সিপিউসহ অন্যান্য হেভি ইকুইপমেন্ট রাখা যায়। তবে এধরনের টেবিলে শুধু ১জন তার ছোটকাট সেটআপই রাখতে পারবে। অন্যান্য জিনিস রাখতে গেলে কিচুটা বড় টেবিল দরকার হবে।

১৫. মেটাল স্টোরেজ র‌্যাক

হার্ডওয়ার, প্রোডাক্ট, প্যাকেজিং এসব জিনিস ড্রয়ারে রাখলে খুঁজে বের করতে বেশ ঝামেলা পোহানো লাগে। তাই স্টোর রুমের এসব জিনিস রাখার সমাধান হিসেবে স্টোরেজ র‌্যাক রয়েছে। র‌্যাকগুলো স্টার্ডি মেটাল ফ্রেমের হয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন মেশিনারিজ থেকে শুরু করে কনজিউমার প্রোডাক্ট খুব সহজেই রাখা যায়। 

১৬. বড় ওয়ার্কিং টেবিল

সবকিছুর কথা হলো, কিন্তু অফিসের মূল কাজের জন্য যে ফার্নিচারটা প্রয়োজন সেটা নিয়েই বলা হয়নি! বলছি ওয়ার্কস্টেশন টেবিল-এর কথা। একজন, দুজন, চারজন, ছয়জন এরকম বিভিন্ন সংখ্যক কর্মী কাজ করার জন্য ওয়ার্কস্টেশন টেবিল আছে। কিছু টেবিল বেশ বড় থাকে, আবার কিছু টেবিলে এমপ্লয়ীদের কিছুটা প্রাইভেসি দেবার জন্য পার্টিশন করা থাকে। আপনার কাজের ধরণ অনুযায়ী টেবিল কিনতে হবে।

কেন হাতিল থেকে অফিসের ফার্নিচার কিনবেন?

হাতিল সম্পূর্ণ অটোমেটেড ফ্যাক্টরিতে ইমপোর্টেড কাঠ ব্যবহার করে হাতিলের আধুনিক ফার্নিচার তৈরি করে। ফার্নিচারের উপরে ইকো ফ্রেন্ডলি কোটিং দেয়ার ফলে পরিবেশ ও শরীরের কোনোরকম ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। সব ফার্নিচারই ওয়ারেন্টির আওতাভুক্ত। আপনি কেনার আগে ওয়েবসাইট ভিজিট করে সব প্রোডাক্টের থ্রিডি মডেল ও বিল্ড ম্যাটেরিয়েল দেখে কি কি ফার্নিচার দিয়ে রুম ডিজাইন করবেন দেখে নিতে পারেন।

কিছু বহুল আলোচিত প্রশ্নোত্তরঃ

আধুনিক ফার্নিচার দিয়ে অফিস ডিজাইন করার উপকারিতা কি কি?

আধুনিক ফার্নিচার দিয়ে অফিসরুম ডিজাইন করলে কম জায়গার মধ্যেও বেশি জিনিস রাখতে পারবেন। আধুনিক ফার্নিচারগুলো সোজাসাপ্টা শেপের হয়ে থাকে। তাই সবকিচু রাখার পরও হাঁটাচলার জন্য পযাপ্ত জায়গা থাকবে। এধরণের ফার্নিচারে কোনোরকম বিরক্তি ছাড়া সারাদিন বসে কাজ করা যায়।

হাতিল থেকে অফিসরুমের ফার্নিচার কিনলে কি কি গ্রাহক সুবিধা পাওয়া যাবে?

হাতিলের সব ফার্নিচারে ১ বছরের অফিসিয়াল সার্ভিস ওয়ারেন্টি থাকে। তাই প্রোডাক্টের ছবি, ভিডিও এবং থ্রিডি ইলাস্ট্রেশন দেখার পর নিশ্চিন্তে অনলাইনেই অর্ডার করা যায়। আবার কেনার পর মানানসই মনে না হলে ৩ দিনের মধ্যে রিপ্লেস করে অন্য কিছু নিতে পারেন। অল্প কিছু সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে রিফান্ড ফ্যাসিলিটিও পেয়ে যাবেন। 

অল্প ফার্নিচার দিয়ে কি আধুনিক অফিস রুম সাজানো যায়?

হ্যা, আপনি কিছু বিশেষ ফার্নিচারের কম্বিনেশন করে সব কাজ করতে পারবেন। যেমন— কনফারেন্স টেবিল থাকলে মিটিং টেবিল না নিলেও চলে। আবার এক্সিকিউটিভ টেবিল থাকলে অতিরিক্ত ড্রয়ার ইউনিট কেনার দরকার হয়না।যদি বড় ফাইল কেবিনেট নেন তাহলে সাইড র‌্যাক ও স্টোরেজ র‌্যাকের কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। এভাবে ফাংশনালিটি অনুযায়ী ৬ থেকে ৭ টা ফার্নিচার দিয়েই রুম ডিজাইন সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।