Hatil Wooden Dining Chair Hatil Wooden Dining Chair

কাঠের চেয়ার ডিজাইন

কাঠের চেয়ার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি ঘর, অফিস, রেস্টুরেন্ট বা যে কোনো স্থানের জন্য ব্যবহারযোগ্য এবং নান্দনিকতার সঙ্গে আরামের সমন্বয় ঘটায়। বিভিন্নভাবে কাঠের চেয়ার ডিজাইন করার কারণে কাঠের চেয়ার সবসময় জনপ্রিয় থাকে। এই ব্লগে আমরা কাঠের চেয়ারের জনপ্রিয়তা, দাম, কেনার পদ্ধতি এবং সেরা মানের কিছু কাঠের চেয়ারের পরিচিতি নিয়ে আলোচনা করবো।

কাঠের চেয়ার কেন এত জনপ্রিয়?

কাঠের চেয়ার জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন এর স্থায়ীত্ব, নান্দনিকতা আর স্বাস্থ্যকর বসার ব্যবস্থার কারণে সবাইকে পছন্দ করে থাকে। এছাড়া আরও কিছু উপকারিতা আছে—

  • কাঠের চেয়ার সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং উচ্চমানের কাঠ ব্যবহার করা হলে এটি বহু বছর ব্যবহার করা যায়।
  • কাঠের চেয়ারের ডিজাইন ও ফিনিশিং অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক হয়। এটি ঘরের শোভা বাড়ায়।
  • কাঠের চেয়ার সঠিকভাবে ডিজাইন করা হলে এটি আরামদায়ক ও শারীরিক স্বাস্থ্যবান্ধব হয়।
  • কাঠ পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় এটি পরিবেশবান্ধব।
  • এটি ঘর, অফিস, রেস্টুরেন্ট, পাঠাগার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হয়।

কাঠের চেয়ারের দাম কেমন হয়?

কাঠের চেয়ারের দাম নির্ভর করে কাঠের ধরন, ডিজাইন এবং কারুকার্যের উপর। সাধারণত বাজারে তিনটি প্রধান ক্যাটাগরির কাঠের চেয়ার পাওয়া যায়। সাধারণ কাঠের চেয়ার সাধারণত স্থানীয় কাঠ দিয়ে তৈরি হয় এবং দাম ১,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। মাঝারি মানের কাঠের চেয়ার গুলো ভালো মানের কাঠ যেমন শেগুন, মেহগনি, জাম বা আকাশমণি কাঠ দিয়ে তৈরি হয়। দাম সাধারণত ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে হয়। আর উচ্চমানের কাঠের চেয়ারগুলো শেগুন বা ওক কাঠ দিয়ে কারুকার্য করা হয়। এগুলোর দাম ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার বেশি হতে পারে।

কিভাবে কাঠের চেয়ার কিনবেন?

কাঠের চেয়ার কেনার সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত:

  • কাঠের ধরন নির্বাচন করুন: কোন কাঠের চেয়ার চাইছেন—শেগুন, মেহগনি, জাম, আকাশমণি, না অন্য কোনো কাঠ?
  • ডিজাইন ও কারুকার্য পরীক্ষা করুন: কাঠের চেয়ারের ফিনিশিং, কাঠের গুণমান, ওয়ার্কম্যানশিপ পরীক্ষা করে নিন।
  • দাম যাচাই করুন: বিভিন্ন দোকানে দাম তুলনা করুন এবং বাজেটের সঙ্গে মিলিয়ে নিন।
  • আরামের বিষয়টি বিবেচনা করুন: চেয়ারের সিট ও ব্যাকরেস্ট আরামদায়ক কিনা তা পরীক্ষা করে নিন।
  • ওয়ারেন্টি ও রিটার্ন পলিসি দেখুন: বিক্রেতা কোনো ওয়ারেন্টি দিচ্ছে কিনা তা জেনে নিন।
  • বিশ্বস্ত বিক্রেতা থেকে কিনুন: ভালো মানের কাঠের চেয়ার কিনতে পরিচিত দোকান বা ব্র্যান্ড থেকে কেনাই ভালো।

সেরামানের কিছু কাঠের চেয়ারের পরিচিতি

একটা কাঠের চেয়ারের মান নির্ভর করে এর ব্যবহৃত ম্যাটেরিয়েল ও ফিনিশিং এর উপর। ভালো কোম্পানির তৈরি চেয়ার বছরের পর বছর টিকে যায়। আবার এসব কাঠের চেয়ার ডিজাইন হয় অনেক আধুনিকভাবে, তাই আপনার বিলাসবহুল বাসাতেও চেয়ারগুলো লিভিং রুম বা ডাইনিং রুমে বেশ ভালভাবে মানিয়ে যায়। নিচে কিছু জনপ্রিয় কাঠের চেয়ারের ধরন তুলে ধরা হলো:

১. HATIL Dining Chair Fairbanks-109

Hatil Wooden Dining Chair

খুবই সিম্পল ডিজাইনের স্টালিশ চেয়ার HATIL Dining Chair Fairbanks-109। ক্লিন ড্রাই চেম্বারে প্রসেস করা সেগুন কাঠের তৈরি চেয়ারটিতে লিকুইর ফিনিশ দেওয়া অবস্থায় পাবেন। সব মিলিয়ে এর জেন হবে ১৩ কেজি। ইকো ফ্রেন্ডলি হবার কারণে খুব সহজেই পরিষ্কার করতে পারবেন। যারা সোজা মেরুদন্ড রাকার জন্য চেয়ার খুঁজছেন তাদের জন্য এটি হতে পারে সেরা চয়েস। 

২. HATIL Dining Chair Murray-177

একটু বেশি আরাম পেতে হলে কাঠের চেয়ারের সাথে ফোম ও লাগানো থাকা চাই। HATIL Dining Chair Murray-177 হলো এরকমই একটি চেয়ার। ১৬ কেজি ওজনের চেয়ারটিতে খুবই সুন্দর ব্যাকরেস্ট ও আর্ম রেস্ট লাগানো আছে। চেয়ারটির ব্যাকবোন হাইট খুব বেশি না, তাই যেকোনো বয়সী মানুষ ঠিকভাবে বসতে পারে। 

৩. HATIL Easy Chair Pedro-109

কাঠের ইজি চেয়ার খুঁজছেন? HATIL Easy Chair Pedro-109 হতে পারে আপনার বাজেটের মধ্যে সেরা ইজি চেয়ার। উড ফিনিশের ফোম লাগানো চেয়ারটি বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য বেশি আরামের হবে। এখানে বসে বিকেলটা সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়। বেশ বড়সড় দেখতে হলেও চেয়ারটির ওজন মাত্র ১৫ কেজি, তাই সহজেই বিভিন্ন রুমে টানাটানি করতে পারবেন।

কাঠের রকিং চেয়ার, ইজি চেয়ার ও ডাইনিং চেয়ারের মধ্যে পার্থক্য কি?

কাঠের রকিং চেয়ার, ইজি চেয়ার ও ডাইনিং চেয়ারের মধ্যে পার্থক্য—

  • রকিং চেয়ার: এটি সামনে-পিছনে দোলানোর সুবিধাযুক্ত একটি চেয়ার। সাধারণত আরামের জন্য এবং বৃদ্ধদের ব্যবহারের উপযোগী হয়। কেউ এক্সিডেন্টে আহত হলেও এই চেয়ারে বসে বিরক্তি দূর করতে পারে।  
  • ইজি চেয়ার: এটি সাধারণত আরামদায়ক, রিক্লাইনিং সুবিধাযুক্ত এবং দীর্ঘ সময় বসার জন্য ডিজাইন করা হয়। অনেক্ষণ বসে গল্পের বই পড়া, কারো সাথে ফোনে কথা বলা ও নাস্তা করার জন্য চেয়ার গুলো বেশ উপযোগী হবে। 
  • ডাইনিং চেয়ার: এটি সাধারণত ডাইনিং টেবিলের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, সাধারণ কাঠামোর এবং সোজা ব্যাকরেস্টযুক্ত হয়। স্বাস্থ্যকরভাবে বসার জন্য ডাইনিং চেয়ারের বিকল্প নেই। অনেকে বাসার ডাইনিং রুম ছাড়া অন্য রুমেও ডাইনিং চেয়ার ব্যবহার করে থাকে। 

সারকথা

কাঠের চেয়ার তার ডিজাইন, আরাম এবং নান্দনিকতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়। সঠিক কাঠ, ডিজাইন ও মান যাচাই করে কাঠের চেয়ার কিনলে এটি বছরের পর বছর ব্যবহার করা সম্ভব। কাঠের চেয়ারের ডিজাইন ও গুণমান সম্পর্কে সচেতন থাকলে আপনি সহজেই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা চেয়ারটি বেছে নিতে পারবেন। এছাড়া কাঠের চেয়ার কিনতে কোনোরকম সহায়তার প্রয়োজন হলে হাতিল এর এক্সপার্ট এক্সিকিউটিভদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

কাঠের চেয়ার ও ডিজাইন কিছু বহুল আলোচিত প্রশ্নোত্তরঃ

কাঠের চেয়ার কতদিন টেকে?

উচ্চমানের কাঠ দিয়ে তৈরি ও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে কাঠের চেয়ার ১০-৫০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। তবে যদি সাধারণ কাঠের চেয়ার হয় তাহলে ২ থেকে ১০ বছর পযন্ত টিকতে পারে। 

কাঠের চেয়ার কি বাইরে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত?

বেশিরভাগ কাঠের চেয়ার শুধুমাত্র ঘরের ভিতরে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়। বাইরে ব্যবহারের জন্য শেগুন বা ওক কাঠের চেয়ার ভালো হবে, কারণ এগুলো পানি ও আবহাওয়ার পরিবর্তনে তেমন প্রভাবিত হবেনা। সবচেয়ে ভাল হয় প্রয়োজনমত বাইরে ব্যবহার করার পর চেয়ার ঘরের মধ্যে নিরাপদ জায়গাতে রাখলে। 

কাঠের চেয়ার কি সহজে মেরামত করা যায়?

হ্যাঁ, কাঠের চেয়ার সহজে মেরামত করা যায়। কাঠের পোলিশ, নতুন স্ক্রু বা আঠা ব্যবহার করে বাসায় বসেই ছোটখাটো মেরামত করা সম্ভব। তবে হাতিল এর মত ব্রান্ড থেকে কাঠের চেয়ার কিনলে তেমন একটা রিপেয়ারের দরকার হয় না। তাছাড়া চেয়ারের সাথে ১২ মাসের ম্যানুফ্যাকচারার ওয়ারেন্টি পাবেন। 

অনলাইনে কাঠের চেয়ার কেনার আগে কিভাবে দেখা যায়?

অনলাইনে কাঠের চেয়ার কিনতে হলে হাতিল-এর লিভিং রুম ও ডাইনিং রুমের চেয়ার সেকশন ভিজিট করুন। প্রতিটি চেয়ারের ডেসক্রিপশনের সাথে এর ছবি দেওয়া আছে। কিছু চেয়ারের থ্রিডি ইলাস্ট্রেশন ও দেখতে পাবেন যাতে বোঝা যায় রুমের মাঝে রাখলে চেয়ারগুরিকে কেমন দেখাবে।

বাসায় বানানো কাঠের চেয়ার ও ফ্যাক্টরিতে তৈরি কাঠের চেয়ারের তফাৎ কি?

বাসায় বানানো চেয়ারগুলো সরাসরি গাছ থেকে কাটা কাঠে দিয়ে তৈরি হয়। কাঠ ঠিকভাবে প্রসেসিং করা না হলে পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়ে থাকে। আবার ঠিকমত পোলিশিং করা না থাকলে চেয়ারে খোচা লেগে হাত পা কেটে যেতে পারে। অপরদিকে ফ্যাক্টরিতে বানানো চেয়ারগুলো ক্লিন ড্রাই চেম্বারে টেম্পারিং করে এর উপর লিকুইর বা এন্টি লিকুইর ফিনিশ করা হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।