ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে, মিরপুর কাজিপাড়ায়, কমনীয়তা এবং পরিশীলিততার প্রমাণ হিসেবে অবস্থান করছে হাতিলের বৃহত্তম শো-রুম – ৫০,০০০ বর্গফুটের বিস্তৃত একটি চিত্তাকর্ষক স্থান। এই শো-রুমটি, হাতিলের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেয়। বাড়ি কিংবা অফিস, যেকোনো জায়গার আসবাবপত্রের জন্য সবধরনের কালেকশন রয়েছে এই শো-রুমে। হাতিলের কাজিপাড়া শো-রুমের অতিথি হয়ে এসেছিলেন ডেকোর আপা অন আ বাজেট-এর নেপথ্যে থাকা হোম ডেকোর কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নাজিয়া নাফ। চলুন জানি নাজিয়া নাফকে নিয়ে এবং তার সাথে শুনি কেমন ছিল তার অভিজ্ঞতা।
তরুণ গৃহসজ্জাপ্রেমীদের কথা বলতে গেলেই শুরুতে বলা যায় নাজিয়া নাফের কথা। গৃহসজ্জা নিয়ে শুরু থেকেই বেশ আগ্রহী ছিলেন নাজিয়া নাফ। অল্প বয়স থেকেই, তিনি তাঁর ঘরটিকে সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কম খরচে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখেন। করোনা মহামারীর সময়ে, হঠাৎ করেই, অল্প সরঞ্জাম নিয়ে নাজিয়া নাফ ডেকোর আপা অন আ বাজেট নামের একটি ফেসবুক পেজ খুলে, তাতে হোম ডেকোরের কন্টেন্ট আপলোড করা শুরু করেন। পেজটি রাতারাতি বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে যায়। বর্তমানে দুই লাখ মানুষ এই পেজটি ফলো করছে।
নাজিয়া নাফ সবসময় মুখে মুখে শুনেই গেছে যে, কাজিপাড়ায় রয়েছে সবচেয়ে বড় শো-রুম কিন্তু এবার নিজের চোখেই এর সত্যতা দেখে নিয়েছেন। ব্যাপক কালেকশনের সাথে এই শো-রুমের প্রতিটি কোণা এত প্রাণবন্তভাবে সজ্জিত যে, দেখেই বোঝা যায় এখানে কোন আসবাবটা বাড়ির কোন ঘরে কীভাবে রাখলে সবচেয়ে বেশি শোভা পাবে।
এমনকি ছোট ছোট জিনিসেও এত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এখানে যা নাজিয়া নাফকে অবাক করেছে। এখানে বলা যায় কিচেন কর্নারটার কথা। এখানে রান্নাঘরের ছোট ছোট ব্যবহার্য জিনিসের সাথে সাথে ফ্রেশ সবজিও এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে আপনি দেখলেই বুঝে যাবেন যে, ঠিক কীভাবে নিজের রান্নাঘরটা সুন্দর করে সাজিয়ে ফেলা যায়। একই ভাবে, লিভিং রুম কর্নারটাও এমনভাবে সাজানো। এখানে একেকটা শো পিস বা ফোটোফ্রেমও এমন করে সেট করা যে দেখলেই বোঝা যায় সেটা আসল একটা লিভিং রুমে রাখলে কেমন দেখা যাবে।
নাজিয়া নাফের ঘর তিনি সাজিয়েছেন মুডি টোন দিয়ে, হাতিলের শো-রুমের একটা দিকও এমনটা দেখেছেন, পাশাপাশি দেখেছেন, এই টোনের সাথে যায় এরকম বিভিন্ন রঙের আসবাব, যেমন ভাইব্রেন্ট রেড কিংবা ডার্ক ইয়ালো। তার ভাষ্যমতে, একটা ঘরে বিভিন্ন রঙের আসবাব এনে তাকে পুরোপুরি রঙিন করে ফেললে তা খুব চোখে লাগে কিন্তু একটা একটু রঙিন আসবাব, যেমন একটা কমলা রঙের ডিভানকে স্টেটমেন্ট পিস হিসেবে ঘরের একদিকে রাখলে, তা ঘরটার শোভা বর্ধন করে। হাতিলের শো-রুম এমনভাবে সাজানো যাতে করে এরকম কোন আসবাবটা কীভাবে রাখলে ঘরকে সুন্দর দেখা যাবে, সেটা প্রকাশ পায়। এই ব্যপারটা তার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
সবশেষে বলা যায়, এই শো-রুমটি যারা পরিচালনা করছে, তাদের কথা। নাজিয়া নাফের কাছে এখানের পরিবেশটি খুবই সহযোগিতামূলক এবং ক্রেতা-কেন্দ্রিক মনে হয়েছে। চলুন এখন এক নজড়ে দেখে নিই হাতিলের এই বৃহত্তম শো-রুমটি।
কাজিপাড়া শো-রুমটি, ১৬ই মার্চ ২০১৮ তারিখে জনসাধারণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়েছিল। এই শো-রুমটি শুধুমাত্র কেনাকাটার জায়গাই নয়; বরং এটি ৫০,০০০ বর্গফুটের বিশাল একটি স্থান নিয়ে করা হয়েছে যেখানে একজন ক্রেতা অনেকধরনের আসবাবপত্র দেখার সুযোগ পাবে। সাথে নাজিয়া নাফ যেমনটা বলেছেন, শো-রুমটি এমনভাবে সাজানো যে, ক্রেতারা এখানে নিজেদের ঘরকে পুরোপুরি কল্পনা করতে পারবে।
এই শো-রুমের অন্যতম আকর্ষণ হল এর বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র সংগ্রহ। আপনার চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো আসবাবই পাবেন এই শো-রুমে।
হাতিলের সফলতার অন্যতম কারণ হচ্ছে, হাতিল সবসময়েই তার ক্রেতার কথা শোনে, ক্রেতাকে বোঝে। কাজিপাড়া শো-রুমও তার ব্যতিক্রম নয়। শো-রুমের ৫৪ জন নিবেদিত কর্মী নিশ্চিত করে যে প্রতিটি গ্রাহক এখান থেকে সমান মনোযোগ এবং সহায়তা পাবেন। পণ্য সম্পর্কে তথ্য দেয়া থেকে শুরু করে কাস্টমার সার্ভিস পর্যন্ত সবরকমের সহায়তাই তাঁদের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে যে বিষয়গুলো হাতিলকে সফল করে এসেছে, তার পুরোটাই হাতিলের কাজিপাড়ার শো-রুমে প্রতিফলিত হয়। হরেকরকমের আসবাবের সমারোহ থেকে শুরু করে ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই এই শো-রুমটি সফলতার প্রমাণ রেখেছে।