যুগ যুগ ধরেই পৃথিবীতে পরিবর্তন হয়ে আসছে, পরন-চলন, খাদ্যাভ্যাস, বসতির মতো সব অঙ্গনেই লাগে নতুনত্বের ছোঁয়া। লাইফস্টাইলের এমন পরিবর্তিত ধারায় তাই ঘরের সাজের ক্ষেত্রেও মানুষের পছন্দ বদলেছে, হালের ফ্যাশনের ভিত্তিতে হোম ডেকর করাটা হয়ে উঠেছে একটি ট্রেন্ড। ট্রেন্ড ফলো করতে গিয়ে ঘর সাজানোর সরঞ্জাম কেনাকাটা করাটাও এখন একটি মুখ্য বিষয়। একটা সময় ছিলো যখন সলিড কাঠের ফার্নিচার ছিলো ট্রেন্ডি এবং স্টেটাসের বিষয়। সাথে বাহারি আলোকসজ্জা, জাঁকজমক পর্দা, ভারিক্কি শোপিজ এবং ফুলদানি দিয়ে সাজানোটা ছিলো সবার পছন্দ। কিন্তু যুগ বদলের সাথে সাথে রুচিও বদলে গেছে কয়েকবার, দ্রব্যমূল্যের দাম এবং রুচির সাথে খাপ খাইয়ে কখনও কাঠের পরিবর্তে বেত, কখনও স্টিল ফার্নিচার কিংবা প্রসেস উডের চলন শুরু হয়েছে।
বর্তমান বাজারে নামী-বেনামী অনেক ধরণের ফার্নিচার ব্র্যান্ড রয়েছে। ট্রেন্ডি ডিজাইনে ফার্নিচার তৈরি করলেও মান ও টেঁকসইয়ের দিক থেকে বেশ তারতম্য রয়েছে। তাই, ফার্নিচার কেনার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড বেছে নেওয়া উচিৎ। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই বাজেট একটি মুখ্য বিষয়, তাই ব্র্যান্ডের ফার্নিচার কেনা হয়ে ওঠে না। তাই, লোকাল কোন ফার্নিচারের দোকান থেকে ফার্নিচার কেনার আগে দোকানের পণ্য, দাম ও মান সম্পর্কে যাচাই করে নেওয়া আবশ্যক।
অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা আবার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডিজাইন নকল করে ফার্নিচার ব্যাবসা করে যাচ্ছে। যার ফলে ক্রেতারা তো ঠকছেনই, পাশাপাশি ব্র্যান্ডগুলোর সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তাই, ফার্নিচার পণ্য কেনার সময় অবশ্যই যাচাই করতে হবে পণ্যটি আসল নাকি নকল। প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে জানবো? উপায়টা আসলে আপনার সতর্কতা। প্রতিটি ফার্নিচার ব্র্যান্ডই অথেনটিসিটি প্রমাণ করার জন্য তাদের পণ্যের সাথে তেমন কিছু প্রমাণাদি দিয়ে থাকে। যেমন, কিউআর কোড, সিরিয়াল নাম্বার, হলোগ্রাম বা সিগ্নিফিকেন্ট লোগো যা নকলযোগ্য নয় এমন কিছু প্রদান করা হয়। তেমনই এক ব্র্যান্ড হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ফার্নিচার চেইন হাতিল। হাতিল-এর প্রতিটি পণ্যের গায়ে তাদের সিগ্নিফিকেন্ট লোগো খচিত আছে যা নকলযোগ্য নয়, তাদের পণ্য ডেলিভারির প্যাকেজে কিউআর কোড প্রদান করা হয় যা থেকে আপনি পণ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। হাতিল-এর মতো বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডগুলো থেকে পণ্য কিনে ঠকার চান্সটা সত্যি বলতে একদমই নেই। তাই, পণ্য কেনার সময় নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড কিংবা পরিচিত ও আস্থাশীল লোকাল ব্র্যান্ড বেছে নিন।