আলাপনের মুহূর্তগুলো করে তোলে আরও কমফোর্টেবল

যে ফার্নিচারের নামেই “টেলিফোন” আছে, স্মার্টফোনের এই যুগে তাকে দিয়ে আর কী হবে! টেলিফোন সিটার-এর নাম শুনে এমন কিছুই ভাবছেন নাকি? চলুন তবে একটু ভেবে দেখি এই ‘সেকেলে’ ফার্নিচার আপনার আধুনিক বাসার ইন্টেরিয়রকে কীভাবে বদলে দিতে পারে। 

 

নিরালা পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করে 

টেলিফোন সিটারকে কেউ রাখেন লিভিং রুমে সোফা সেটের পাশে, কেউ রাখেন বেডরুম কিংবা লবির এক কর্নারে। যেখানেই থাকুক, জায়গাটাকে ঘরের ভেতর একদম আলাদা করে চোখে পড়ে। ফলে এখানে বসে কথা বলার সময় মনে হয় যেন কথা বলার জন্য পুরো ঘর থেকে আলাদা একটা জায়গা পাওয়া গেছে। আর তাছাড়া, আলাদা করে চোখে পড়ার কারণে টেলিফোন সিটারে বসে কেউ কথা বললে ঘরের অন্যরা তাকে আপনা থেকেই বাড়তি প্রাইভেসিও দেয়।  

May be an image of 1 person and text that says "live relive PAMT ရာ aли 607 আলাপনের মুহূর্তগুলো করে তোলে আরও কমফোটেবল O รสราธ HATIL"

 

আর্গোনমিক ডিজাইনের সিটারে বসা যায় আরামসে 

একটানা কথা বলার সময় ফোনটা হাতে ধরে রাখলে পরবর্তীতে ভীষণ ব্যথা হয়। কিন্তু টেলিফোন সিটারের হাতলে ভর দিয়ে কথা বললে হাত ও কাঁধের ওপর অতটা প্রেশার পড়ে না, ব্যথাও কম হয়। ইয়ারফোন দিয়ে কথা বললে কিংবা ট্যাব বা নোটপ্যাডে ভিডিও কল করার সময় টেলিফোন সিটারের হাতলে ডিভাইসটা রেখে দেওয়া যায়। হাতিল-এর Digit-103 সিটারটির আর্মরেস্ট যেমন কাঁধ ও হাতের মাপ বুঝে তৈরি, তেমনি এর সিটে পুরু কুশনিং দেওয়া তাই অনেকক্ষণ একটানা বসে থাকলেও কাঁধ কিংবা কোমর ও পিঠ ব্যথা হয় না। 

 

রুমের ডেকোরেশনে আনে এক ভিন্ন মাত্রা 

আপনার মনের মতো করে সাজানো পরিপাটি রুমটার এক পাশে মার্জিত আর অভিজাত স্টাইলের একটা বসার জায়গা; দেখতেই অন্যরকম! ছোট্ট একটি ফার্নিচারে পুরো রুমের আভিজাত্য বেড়ে যায়। আর Digit-103 অ্যান্টিক বার্নিশের ল্যাকার ফিনিশিং সাথে বক্স স্টাইলের শেপ- সব মিলিয়ে আধুনিক বাসার অলঙ্কার যেন! 

 

ঘরটা থাকে একটু বেশি গোছানো 

ফোন, ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাংক ইত্যাদি চার্জিংয়ের জন্য আমরা স্টাডি টেবিল, ডাইনিং টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, বেডসাইড টেবিল ইত্যাদি আরও কত জায়গাই না ব্যবহার করি! কিন্তু একটা টেলিফোন সিটারের পাশে মাল্টিপ্লাগ রাখলেই আর এখানে-সেখানে ছুটে বেড়াতে হয় না। চার্জারের তারগুলো এক জায়গাতে গোছানো অবস্থায় থাকে, ফোনটা কোথায় রাখলাম তা নিয়েও ভাবতে হয় না আর পানি পড়ে ডিভাইস নষ্ট হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে না। তাই আর দশটা ঘরের চাইতেও আপনার ঘরটা একটু বেশিই ছিমছাম থাকে। 

জরুরি জিনিসগুলো থাকবে হাতের কাছে 

আপনার চাকরি কিংবা ব্যবসার ধরন যদি এমন হয় যে, আপনাকে যখন তখন ৫-১০ মিনিটের ছোটো ছোটো মিটিংয়ে বসতে হয়, তাহলে হাতের নাগালে একটা নোটবুক আর কলম থাকা খুব জরুরি। গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো ছোটো ছোটো পয়েন্ট আকারে লিখে নিলে পরে কাজ করতে সুবিধা হয় এ কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু হুট করে একটা জরুরি কল এলে কথা বলতে বলতে নোটবুক আর কলম খুঁজে লিখতে বসা কঠিন। টেলিফোন সিটারে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রেখে দিন আর জরুরি কল এলে আরাম করে বসে জরুরি কথাগুলো টুকে নিন। 

 

স্ক্রিন টাইম কমানোর সুযোগ পাওয়া যায় 

কখন কোথায় ফোন রেখেছি, প্রয়োজনের সময় যদি খুঁজে না পাই- এই আশঙ্কা থেকেই মূলত আমরা মোবাইল ফোনটা সবসময় হাতে নিয়ে ঘুরি। আর ফোন হাতে থাকলেই মন চায় একটু সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে আসতে। আর তারপর স্ক্রল করতে করতে কখন সময় পেরিয়ে যায় আমরা বুঝতেই পারি না! এভাবে দিনে দিনে আমাদের স্ক্রিন টাইম বাড়ছে, চোখ আর মনের ওপর চাপ পড়ছে, আর কমে যাচ্ছে আশেপাশের মানুষের প্রতি মনোযোগ। একটা টেলিফোন সিটার থাকলে ফোনটা রাখার জন্য বাসার মধ্যে নির্দিষ্ট একটা জায়গা থাকে। ফলে যখন তখন ফোনের দিকে তাকিয়ে থেকে সময় নষ্ট হয় না। 

 

টেলিফোন সিটার আপনার ঘরের এক পাশে নীরবে পড়ে থাকার জিনিস নয়। বরং, এই ছোট্ট জায়গাতে তৈরি হবে অসংখ্য ফোনালাপের স্মৃতি, মনটা ফুরফুরে হবে আর শরীরটাও একটু আরাম পাবে। সাথে ঘরের ইন্টেরিয়রটাও আরও নান্দনিক হবে বৈকি! তাহলে আপনার টেলিফোন সিটার কিনতে হাতিল শোরুমে কবে আসছেন?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।