Tips for Stylish and Functional Bedside Nightstand Decor Tips for Stylish and Functional Bedside Nightstand Decor

বেডসাইড নাইটস্ট্যান্ড সাজান নিজের মত করে

কখনো ভেবে দেখেছেন যে, আপনার বিছানার পাশে রাখা সাইডটেবিলটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে কাছের ফার্নিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম? হতে পারে কখনো এভাবে ভেবে দেখেননি কিন্তু সত্যি বলতে বেড সাইড টেবিল হলো আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনের বেশ কাছের একটি ফার্নিচার যা আমরা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার প্রথমেই ব্যবহার করি। সাধারনত রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল, চশমা, ঘড়ি রাখা, যারা ওষুধ কিংবা পানি খান, তাদের জন্য বেডসাইড টেবিলটি একটি সহজে এক্সেসযোগ্য ও পার্সোনাল স্পেস যা আমরা অনেকটা অবচেতন মনেই প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছি। স্টোরেজ অপশন ছাড়াও, প্রিয় ফটোফ্রেম বা এলার্ম ঘড়ি রাখার জন্যও আমরা এই স্পেস ব্যবহার করে থাকি। তাই এই বেডসাইড টেবিল বা নাইটস্ট্যান্ড সাজানোর প্রতি আমাদের আরও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। 

কেমন নাইটস্ট্যান্ড কিনবেন?

একটি নাইটস্ট্যান্ড কেনার সময় অবশ্যই আপনার রুমের সামগ্রিক ডিজাইন এবং চাহিদার কথা মাথায় রেখে একটা ফাংশনাল নাইটস্ট্যান্ড কেনা উচিত। বাজারে বিভিন্ন টাইপের নাইটস্ট্যান্ড রয়েছে, যার মধ্যে – মডার্ন ডিজাইনের মধ্যে কাঠের কিংবা মেটালের তৈরি প্রডাক্টও আছে, আবার ভিনটেজ লুকের ফার্মহাউজ স্টাইলের টেবিলও আছে। এছাড়াও ক্যাব্রিওল স্টাইলের বেডসাইড টেবিলগুলোতে খোদাই করা ডিজাইনের কাজ থাকে, যা আপনার রুমে এক ধরনের শৈল্পিক আভিজাত্য প্রকাশে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ে অনেক নাইটস্ট্যান্ডে আবার লাইটিং ফিচার থাকে যা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত করবে না, কিন্তু রাতের অন্ধকারে একরুম থেকে অন্যরুমে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এছাড়াও, নাইটস্ট্যান্ডটি যেখানে রাখবেন, সেখানকার স্পেস এবং বেড থেকে কতটা সহজে নাইটস্ট্যান্ড এক্সেস করা যায় – এমন আরো কিছু বিষয় নিয়ে লেখা আদর্শ বেড সাইড টেবিল বাছাই করার সেরা ১০টি টিপস আর্টিকেলটি পড়লে তারপর নিজেই যাচাই বাছাই করে তারপর নাইটস্ট্যান্ড কিনতে পারবেন। 

bedside nightstand

নাইটস্ট্যান্ড কিভাবে গুছিয়ে রাখবেন? 

নাইটস্ট্যান্ডে আপনি বই, গ্যাজেটস এবং ইলেকট্রিক্যাল কর্ডস ইত্যাদি স্তুপ করে রাখলে সেটা নিশ্চয়ই আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দিবে না, তাইনা? আবার এমন স্তুপ করে জিনিস্পত্র থাখলে অনেক সময় প্রয়োজনীয় জিনিস খুজে পেতেও সমস্যা হয়। ফলে একটু সময় নিয়ে এবং চিন্তা ভাবনা করে জিনিসপত্রগুলো গুভহিয়ে রাখলে সেটা আপনার জন্যই ভাল হবে। 

গুছিয়ে রাখার জন্য সবার প্রথমে নাইটস্ট্যান্ডটি ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। একদম নিত্য ব্যবহার্য জিনিস ছাড়া কোন কিছুই টেবিলের উপর সারফেসে না রাখলেই ভাল। যেহেতু উপরের সারফেস অংশ বেশি ব্যবহার করা হয়, তাই এই স্থানে অন্য কিছু না রাখাই ভাল। এলার্ম ঘড়ি, ফটো ফ্রেম, টেবিল ল্যাম্প, চশমা ইত্যাদি জিনিস এখানে রাখতে পারেন। 

Check Details

বেশিরভাগ নাইটস্ট্যান্ডে একাধিক ড্রয়ার থাকে। উপরের দিকের ড্রয়ারে আপনি সেকেন্ডারি ডেইলি ইউজের আইটেম যেমন – ফোন এবং চার্জার, হেডফোন, স্মার্ট ওয়াচ, ওয়ালেট ইত্যাদি জিনিস রাখতে পারেন। এছাড়াও, লোশন, এবং মেডিসিনও রাখতে পারেন। 

নিচের ড্রয়ারে আপনি বই, ম্যাগাজি্‌ নোটবুক এবং কলম রাখতে পারেন। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে বিভিন্ন ফাইলস এবং রিপোর্টও রাখতে পারেন।  এভাবে গুছিয়ে জিনিসিগুলো রাখলে এটা আপনার মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনবে। 

নাইটস্ট্যান্ড সাজানোর টিপস

আপনার রুচি এবং আভিজাত্য প্রকাশের জন্য এবং একটি সাউন্ড স্লিপ এনভায়রোমেন্ট তৈরি করার জন্য নাইটস্ট্যান্ডের উপর অংশ একটি আইডিয়া স্থান হতে পারে। প্রথমত আপনি সাইড টেবিলের উপর একটি টেবিল ল্যাম্প রাখতে পারেন। নিঃসন্দেহে টেবিল ল্যাম্প মৃদু আলো প্রদানের পাশাপাশি স্টাইলিং এলিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। একটি মডার্ন – মেটাল ফিনিশের ফ্যাব্রিক কাভারড টেবিল ল্যাম্প রাখতে পারেন, যা আপনার রুমে মৃদু আলো দিবে। বেডটাইম রিডিং এর জন্য টেবিল ল্যাম্পটি বেশ উপকারে আসবে। 

টেবিলের উপর আপনি আরো রাখতে পারেন ফ্যামিলি রিউনিয়ন ফটো কিংবা যে কোন মিনিংফুল আর্ট। এছাড়াও, আপনি চাইলে একটি ফুলদানিও রাখতে পারেন। প্রতিদিন ফুলের ঘ্রাণে আপনার সকাল শুরু এবং রাত শেষ হবে, এবং এই অনুভুতি আপনাকে সারাদিন আপনার মাইড ফ্রেশ রাখতে সাহায্য করবে।

ড্রয়ারে বই বা ম্যাগাজিন রাখার সময় বড় বইগুলো পিছের দিকে এবং ছোট সাইজের বইগুলো সামনের দিকে রাখুন। এতে করে বই বের করা আপনার জন্যই সহজ হবে এবং কোন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হবেনা। 

সরাসরি ফুলদানি ছাড়াও আপনি মানিপ্লান্ট, ক্যাকটাস কিংবা বনসাই এর মত গাছও রাখতে পারেন। এছাড়াও, টেবিলের সারফেসে আপনি চাইলে সেন্টেড ক্যান্ডেল রাখতে পারেন। এতে করে পুরো ঘরে একটি সুন্দর গন্ধ বিরাজ করবে যা সর্বোপরি আপনার রুচির পজেটিভ সাইড রিফ্লেক্ট করবে। 

নাইটস্ট্যান্ড ডিজাইনে ফিনিশিং টাচ

ছোট ছোট কিছু কাজ আপনার নাইটস্ট্যান্ডের আউটলুকে পরিপুর্নতা এনে দিতে পারে। যেমন – 

  • ড্রয়ারের ভেতর ওয়ালপেপার লাগাতে পারেন। এতে করে একদিকে ড্র্রয়ার যেমন সুন্দর দেখাবে, তেমনি কোন দাগ কিংবা ফাটা থাকলেও সেটা ঢাকা পড়ে যাবে। 
  • ড্রয়ারের নব চেঞ্জ করে রুমের এস্থেটিকের সাথে ম্যাচ করে এমন নব লাগিয়ে নিন। 
  • টেবিলের সারফেসে টেবিল ক্লথ ব্যবহার করুন। এরে করে টেবিলের সারফেসে কোন দাগ পড়বে না। 
  • টেবিলের কর্ণারে নানা ডিজাইনের “ওয়াশি টেপস” লাগিয়ে নিন। এতে করে টেবিলের কর্ণারগুলো সুরক্ষিত থাকবে। 
  • নাইটস্ট্যান্ডের উপরের দেয়ালে চাইলে একটা আয়না ঝুলিয়ে দিতে পারেন। 
  • এছাড়াও, নাইটস্ট্যান্ডের পাশে একটি এক্সট্রা বাস্কেট রাখতে পারেন যেখানে এডিশনাল আইটেমস রাখতে পারবেন। আপনি চাইলে এই বাস্কেট বিছানার নিচেও লুখিয়ে রাখতে পারেন। 

শেষ কথা

আপনার বাসার নতুন বেডসাইড টেবিলটি কেমন করে সাজাতে হবে আশা করি সেটা এতক্ষনে বুঝে গেছেন। তবে এই টেবিলের নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার করা, জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা,  এবং প্রতিনিয়ত ডিজাইন স্ট্রাকচার পরিবর্তন করে, আপনি নিজস্ব শৈল্পিক উৎকর্ষের বহিপ্রকাশ ঘটাতে পারেন, যা আপনার বেডরুম তথা লিভিং রুমের সৌন্দর্য বহুগুনে বাড়িয়ে দিবে। 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।