তিতলির আজ অডিশন। গতকাল রাতেই অডিশনের জন্য ফোন এসেছে। তাই আজ একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা। কোন জামা পরে তিতলি অডিশনে যাবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত করেনি সে।
অডিশনের জন্য জামাকাপড় নিয়ে প্রস্তুতির একটা ব্যাপার আছে না? ঘুম থেকে উঠেই ওয়ার্ডরোব থেকে একে একে জামা বের করে গায়ে জড়িয়ে দেখছে সে। নিজেকে আয়নায় দেখার জন্য জামা হাতে বারবার মায়ের রুমে যেতে হচ্ছে।
তিতলির রুমটা আসলে একটু ছোট। খাট, পড়ার টেবিল আর ওয়ার্ডরোব রাখার পর ড্রেসিং টেবিল রাখার জায়গাটা পাওয়া যায়নি। তাই আয়না দেখতে হলে মায়ের রুমই ভরসা।
বারবার এক রুম থেকে আরেক রুমে দৌড়াদৌড়ি করতে বেশ অসুবিধাই হচ্ছে তিতলির। জামা বাছতে সময় লাগছে দ্বিগুণ। অন্যদিকে অডিশনের সময়ও ঘনিয়ে আসছে।
অবশেষে মনমতো জামা পেল তিতলি। কিন্তু ততক্ষণে অডিশনের সময় আর বাকি অল্প। তিতলির কপালে চিন্তার ভাঁজ, আদৌ সময়মতো পৌঁছাতে পারবে সে?
তিতলির সমাধান
তিতলির অডিশন মিস হবে কি না, সে চিন্তাটুকু তিতলি করুক। আমরা বরং ভাবি, তিতলির এই দেরি হওয়ার কারণ কী? বারবার নিজের রুমের ওয়ার্ডরোব থেকে জামা নিয়ে পাশের রুমে আয়না দেখতে গিয়ে অনেকটা সময় নষ্ট করেছে সে।
কিন্তু তিতলির ছোট্ট রুমেও তো বড় আয়না রাখার মতো জায়গা নেই। আমাদের নিজের ঘরে আয়না থাকলেও, জামা গায়ে জড়িয়ে আয়না দেখতে সবাইকেই ওয়ার্ডরোব থেকে সরতে হয়। এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হাতিল ফার্নিচারের ‘ব্র্যাডশ-১৪১’ ওয়ার্ডরোবের মাধ্যমে।
‘ব্র্যাডশ-১৪১’-এ আয়না ও ওয়ার্ডরোব দুটোই একসঙ্গে মিলবে। ওয়ার্ডরোব থেকে জামা বের করে খুব সহজেই নিজেকে দেখা যাবে আয়নায়। জায়গা থেকে নড়তেও হবে না! এতে জামা নির্বাচনের সিদ্ধান্তটাও নেওয়া যাবে দ্রুত।
তিন দরজার ‘ব্র্যাডশ-১৪১’-এর একটি দরজায় প্রায় পুরো অংশজুড়ে আয়না। সহজ ও সাধারণ ডিজাইনের এই ওয়ার্ডরোব আপনার রুমের সৌন্দর্যে অনেকটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
‘ব্র্যাডশ-১৪১’-এর গল্প
তিন দরজার ‘ব্র্যাডশ-১৪১’-এর ভেতরে জায়গাটা অনেকটাই বড়। দুই পাশের দুই দরজার ভেতর চারটি করে মোট আটটি তাক, একটি করে মোট দুইটি ড্রয়ার। মাঝখানে দরজাজুড়ে লম্বা আয়না।
এর ভেতরের অংশটা অন্য দুটি অংশের চেয়ে একটু আলাদা। আয়নার দরজা খুললেই মিলবে তিন তাকের সমান এক লম্বা তাক, যেখানে ঝুলিয়ে রাখা যাবে যেকোনো কাপড়। এর নিচেই ড্রয়ার, এরপর আরও একটি তাক।
অর্থাৎ এখানে প্রিয় জামদানি শাড়ি বা স্যুট ঝুলিয়ে রাখার ব্যবস্থা যেমন আছে; তেমনি দরকারি নানা সামগ্রী, অন্যান্য জামাকাপড়ও গুছিয়ে রাখা যাবে সহজেই।
আলমারিতে জামাকাপড়ের জায়গা হওয়া নিয়ে আপনার যত দুশ্চিন্তা ছিল౼সব একনিমেষে উধাও করে দিতে পারে ‘ব্র্যাডশ-১৪১’!
কাঠ: আমদানিকৃত বিচ ইঞ্জিনিয়ারড কাঠ দিয়ে তৈরি ‘ব্র্যাডশ-১৪১’। ছোট ছোট তিনটি হাতলসহ সব ফিটিংসে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের আমদানিকৃত উপকরণ। মাঝের দরজায় থাকা লম্বা আয়নাটিও আমদানিকৃত ‘বেলজিয়াম মিরর’।
রং ও ডিজাইন: বার্নিশ ও অ্যান্টিক টেক্সচার ‘ব্র্যাডশ-১৪১’-এর সাদামাটা ডিজাইনকে দিয়েছে আকর্ষণীয় লুক। ওয়ার্ডরোবটির ওপরের এবং নিচের অংশের ডিজাইনেও রয়েছে রুচিবোধের ছোঁয়া। একটি রঙেই পাওয়া যাবে ‘ব্র্যাডশ-১৪১’। অ্যান্টিক ও ন্যাচারাল কালারের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে এই ওয়ার্ডরোব।
মাপজোখ: আয়াতাকার ‘ব্র্যাডশ-১৪১’ বাজারে দুই সাইজে পাওয়া যায়। ছয় ফুট ও সাত ফুট উচ্চতার দুটি ভিন্ন সাইজের ‘ব্র্যাডশ-১৪১’-এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একই।
১৪৭০ মিলিমিটার (৫৭ ইঞ্চি) দৈর্ঘ্য ও ৬৩০ মিলিমিটার (২৪ ইঞ্চি) প্রস্থের ‘ব্র্যাডশ-১৪১’ ঘরে খুব বেশি জায়গা দখল করে না।
ওয়ার্ডরোবের মাঝখানের দরজার লম্বা আয়নাটির পুরুত্ব ৫ মিলিমিটার, সহজে ভাঙার কোনো সুযোগ নেই। তিন লেয়ারের ওয়ার্ডরোবের ওজন সাধারণত ২০০ কেজির আশেপাশেই হয়।
‘ব্র্যাডশ-১৪১’ সে তুলনায় বেশ হালকা। ১৪৮ কেজি ওজনের এই ওয়ার্ডরোব স্থানান্তর করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না।
সাধারণত স্টিলের আলমারি বা ওয়ার্ডরোবের সঙ্গে আয়নার দেখা মিললেও ভালো মানের কাঠের ওয়ার্ডরোবের সঙ্গে আয়নার কম্বিনেশন সহজে পাওয়া যায় না। মান ও সৌন্দর্য্য౼দুইয়ের সমন্বয়ে ‘ব্র্যাডশ-১৪১’ দারুণ এক অপশন।
দরদাম
‘ব্র্যাডশ-১৪১’ কিনতে গিয়ে সাইজ বাছাইয়ের সুযোগ আপনি পাবেন। ৬ ফুট ও ৭ ফুট উচ্চতার দুটি সাইজের মূল্যে আছে পার্থক্য। তিন দরজাসহ ৬ ফুট উচ্চতার ‘ব্র্যাডশ-১৪১’ পাওয়া যাবে ৮০ হাজার ৯৫০ টাকায়।
৭ ফুট উচ্চতার ‘ব্র্যাডশ-১৪১’-তেও পাবেন তিনটি দরজা, খরচ করতে হবে ৯১ হাজার ৬৫০ টাকা। হাতিল ফার্নিচারের ওয়েবসাইট থেকে কিনলে ইএমআই বা কিস্তির মাধ্যমে কেনার সুযোগ আছে।
শেষ কথা
তিতলির কথায় ফিরে আসি। তিতলি শেষ সময়ে অডিশনে পৌঁছাতে পেরেছিল ঠিকই, তবে এই তাড়াহুড়া বেশ ভুগিয়েছে তাকে। আজকের ঘটনার আগে থেকেই তিতলি ছোটখাটো
একটি ড্রেসিং টেবিল কেনার প্ল্যান করছিল ও সেটা নিজের রুমে বসানোর জন্য জায়গা খুঁজছিল। বাড়ি ফিরেই অনলাইনে ড্রেসিং টেবিল খুঁজতে গিয়ে ‘ব্র্যাডশ-১৪১’ খুঁজে পেয়েছে সে।
তিতলি এখন বাবার রুমে। তার রুমের পুরোনো ওয়ার্ডরোবটা কেন বিক্রির ব্যবস্থা করা দরকার, সেটাই বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে।