সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে সাজানো পরিপাটি নীড়ে ফিরে আসা౼এ তো আমাদের সবারই চাওয়া। এখানেই যেন সব ক্লান্তির অবসান। আর শোবার ঘর হলো পুরো বাড়িতে আমাদের সবচেয়ে আপন জায়গা। এখান থেকেই আমাদের দিনের শুরু, আবার এখানেই সমাপ্ত হয় একেকটি দিন। দিনের এই সমাপ্তি পরিপূর্ণতা লাভ করে তখনই যখন ক্লান্তি শেষে মাথা রাখা যায় নিজ ঘরের আরামদায়ক বিছানাটিতে।
ঘরের অন্যান্য আসবাব কেনার ক্ষেত্রে শুধু ডিজাইন কিংবা প্যাটার্নের দিকে নজর দিলেও বিছানা ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু লক্ষ করতে হয় আরও অনেক বিষয়। অনেকেই বিছানা মানেই শুধু আরামদায়ক হলেই চলবে এমনটা ভাবলেও, আকর্ষণীয় ডিজাইন ও সঠিক পরিমাপের মানানসই যেকোনো বিছানা আপনার গৃহসজ্জায় যোগ করতে পারে এক নতুন মাত্রা। তাই খাট কেনার সময় দিতে হয় বাড়তি নজর। খাটের ডিজাইন আধুনিক হলো কি না তা যেমন ভাবতে হবে, তেমনি বুঝে নিতে হবে বিশ্রামের জন্য খাটটি পরিপূর্ণ আরামদায়ক কি না। সেই সাথে ঘরের আয়তন অনুযায়ী খাটের আকার, মাপ বুঝে নেওয়াও জরুরি। আর বাজেটের হিসাব-নিকাশ তো আছেই! এখন পড়তে পড়তে হয়তো ভাবছেন এত সব চাওয়া, তা-ও আবার একটি বিছানায়, এ কি সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। ‘ম্যাকরন ১৯৩’-ই হচ্ছে এমন একটি বিছানা, যা দিয়ে মিটবে আপনার এমন প্রতিটি চাহিদা।
ছিমছাম ডিজাইনের ‘ম্যাকরন-১৯৩’
রূপরেখায় ‘ম্যাকরন-১৯৩’
‘ম্যাকরন-১৯৩’ (Macron-193)-এর নান্দনিক ডিজাইন আপনার শয়নকক্ষের শোভা বাড়িয়ে ঘরকে দেবে স্মার্ট এবং মানানসই একটি লুক। প্রথমেই কথা বলা যাক এর ম্যাটেরিয়াল নিয়ে। উন্নত মানের মেলামাইন ল্যামিনেটেড পার্টিকেল বোর্ড (Melamine laminated particle board) দিয়ে তৈরি এই বেডটি। ১১০.৫ কেজি ওজনের এই খাটের সব উপকরণের সঠিক ঘনত্ব পরিমাপের ক্ষেত্রে মানা হয়েছে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি (S.I.)। ‘ম্যাকরন- ১৯৩’-এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি যথেষ্ট পরিমাণে ভার সহনকারী। এ ছাড়াও এতে ব্যবহার করা হয়েছে আমদানিকৃত উচ্চমানের হার্ডওয়্যার ফিটিংস, যা এর গঠনকে করেছে আরও মজবুত।
এবার আসি রং ও ডিজাইনে। আমেরিকান টিক (Teak) কাঠ ও সাদা রঙের সংমিশ্রণে তৈরি একটিমাত্র ডিজাইনেই পাওয়া যাচ্ছে এই নান্দনিক, টেকসই খাটটি। নিখুঁত ফিনিশিং, অসাধারণ দুই রঙের সংমিশ্রণ ও রুচিশীল ডিজাইন এতে এনেছে আধুনিকত্বের ছোঁয়া। তাই প্রথম দেখায় এটি পছন্দ হয়ে যাবে যে কারোই।
আকার-আয়তনের দিন থেকে ‘ম্যাকরন-১৯৩’- কে পাওয়া যাবে কিং ও কুইন দুটি সাইজে। তাই আয়তনে ছোট-বড় যেমনই হোক না কেন, আধুনিক ধাঁচের যেকোনো ঘরেই মানিয়ে যাবে এই আকর্ষণীয় খাটটি।
ব্যস্ত এই নগরীতে জীবিকার তাগিদে আমাদের অনেককেই ভাড়া বাসায় থাকতে হয়। এমন সব বাসায় পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার ফলে ঘরের আসবাব ও বাড়তি জিনিসপত্র নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। তবে ‘ম্যাকরন-১৯৩’ দিতে পারে আপনার এমন সমস্যার সমাধান। কিং কুইন যেকোনো সাইজের বেডে আপনি পেয়ে যাবেন মানসম্মত স্টোরেজ ব্যবস্থা। স্টোরেজ সিস্টেমের দিক থেকে ‘ম্যাকরন-১৯৩’-কে পাওয়া যাবে আবার ম্যানুয়াল স্টোরেজ (Manual storage) ও হাইড্রোলিক স্টোরেজ (Hydraulic storage) দুই ধরনের ডিজাইনে। অনেকটা আলমারির প্যাটার্নে তৈরি ম্যানুয়াল স্টোরেজ সিস্টেমে থাকছে বিছানার উপরিভাগ খোলার জন্য দুটি দরজা।
‘ম্যাকরন-১৯৩’- এর ম্যানুয়াল স্টোরেজ ডিজাইন
অন্যদিকে আধুনিক রুচির সাথে তাল মিলিয়ে হাইড্রোলিক স্টোরেজ সিস্টেমে বিছানার প্ল্যাটফর্মকে ওপরে তুলতে এর দুই দিকে দেওয়া হয়েছে দুটি হাইড্রোলিক পিস্টন। যার সাহায্যে ঝামেলা ছাড়া ম্যাট্রেস কিংবা প্ল্যাটফর্মকে ওপরে তোলা যাবে সহজেই। সেই সাথে স্টোরেজ এরিয়ায়ও থাকছে পর্যাপ্ত জায়গা, ফলে ঘরে রাখতে হবে না বাড়তি আসবাব, সঙ্গে বাঁচবে আপনার কষ্টে জোগানো অর্থও।
হাইড্রোলিক স্টোরেজ ডিজাইনের ‘ম্যাকরন-১৯৩’
দরদাম
মধ্যবিত্ত কিংবা ধনী সবার সামর্থ্য একই না হলেও ঘরে বিছানার প্রয়োজনীয়তা থাকে সবারই। তাই যে কেউ যাতে তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পছন্দের বিছানাটি বেছে নিতে পারে সেই কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে ‘ম্যাকরন-১৯৩’। এর কিং সাইজ বিছানাটি যেখানে আপনি পাবেন ২১ হাজার ৭৫০ টাকায়, আবার সেখানে কুইন সাইজ পেয়ে যাচ্ছেন ১৯ হাজার ৫০ টাকায়। আবার স্টোরেজের সুবিধার কারণে সাধারণ ডিজাইনের তুলনায় ম্যানুয়াল ও হাইড্রোলিক স্টোরেজ সিস্টেমের বিছানাগুলোর ক্ষেত্রে দাম দিতে হবে একটু বেশি। কিং সাইজ ম্যানুয়াল স্টোরেজের ম্যাকরন-১৯৩-এর বাজারদর যেখানে ৩৯ হাজার ৭০০ টাকা, আবার কুইন সাইজের দাম পড়বে ৩৬ হাজার ৩০০-এর মতো। অন্যদিকে হাইড্রোলিক স্টোরেজ সিস্টেমের ক্ষেত্রে কিং সাইজের মূল্য ৪০ হাজার ৪৫০ টাকা, আর কুইন সাইজের জন্য দিতে হবে ৩৭ হাজার ৫৫০ টাকা। তার মানে বুঝতেই পারছেন, যে কারো পক্ষেই নিজের সাধ্য ও চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের বিছানাটি বেছে নেওয়া সম্ভব!
ভিন্ন ডিজাইনের জন্য ‘ম্যাকরন-১৯৩’-এর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম
এত সব সুবিধা ছাড়াও ‘ম্যাকরন-১৯৩’-এর ক্ষেত্রে হাতিল দিচ্ছে ১২ মাসের সেলস সার্ভিস ওয়ারেন্টি (Sales service warranty)। তবে শুধু উপাদান ও উৎপাদনের ত্রুটির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে এই ওয়ারেন্টি সুবিধা।
প্রিয় ঘরটির জন্য সাধ্যের মধ্যে সঠিক বিছানার খোঁজে যদি আপনার অবস্থা হয় নাজেহাল, তাহলে এবার সব দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারেন এই ‘ম্যাকরন-১৯৩’। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না!
লেখক: জাহিন যাঈমাহ্ কবির