নতুন সংসার মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা, নতুন ভালোবাসা। এমন একটা স্বপ্নের সংসার সাজাতে চেয়েছিল আদিবা আর ফয়েজ। কিন্তু আসল গোছানোর কাজটা শুরু করতে গেলেই দেখা দিল হাজারটা সমস্যা। পছন্দমতো ডিজাইন পেলে তার দাম আকাশছোঁয়া, আবার মানানসই দামের ফার্নিচারটা মানসম্মত হয় না। কিন্তু দাম আর মান দুইটাই মিলে গেলে দেখা দিল আরেক ঝামেলা౼জায়গার অভাব। দুজনের ছোট্ট সংসারে ঘরগুলোও খুব একটা বড় নয়౼তাই ফার্নিচারের আকারটাও হতে হবে একদম উপযুক্ত, যেহেতু ফার্নিচার ডিজাইন খাট গুলো ঘরের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে তাই খাটের ডিজাইন ও দাম একটি বিশেষ বিবেচ্য বিষয়। স্বপ্নের সংসারটা মুহূর্তেই কেমন পানসে হয়ে গেল এসব দুশ্চিন্তার ভারে। সমস্যাগুলো শুধু আদিবা আর ফয়েজের নয়, ঘরে ঘরে অনেক নবদম্পতিই ঠিক একই সমস্যার ভুক্তভোগী। তাই নতুন সংসার সাজানোর জটিল কাজটা কিছুটা হলেও সহজ করার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি আপনার জন্য কার্যকর কিছু টিপস।
খাবার ঘরের স্মার্ট সাজ
নতুন ফার্নিচার কিনতে গেলে সবচেয়ে বেশি খরচ যেই জায়গায় হয়, সেটা সম্ভবত ডাইনিং টেবিল। অতিথি আপ্যায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আসবাবও হয়তো এটিই। তাই ডাইনিংরুমটা দেখতে যাতে ভালো লাগে, সেই দিকে নজর রাখতে হয়। আকারে ছোট ডাইনিংরুম সাজানোর ক্ষেত্রে ডাইনিং টেবিলটা খুব বেশি বড় হওয়ার প্রয়োজন নেই। ৪-৫ জন বসার মতো জায়গা থাকলেই যথেষ্ট। তাই চিরাচরিত ডিজাইনের থেকে সরে এসে সামান্য “স্মার্ট” চিন্তা করলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এখানে আপনাকে সাহায্য করবে হাতিলের স্মার্টফিট ফার্নিচার। মিনিমাল ডিজাইনে তৈরি হাতিলের স্মার্টফিট কালেকশনের সিসিমে-১০১ ও ইয়োগার্ট-১০১ এক ঢিলে দুই পাখি মারার সমতুল্য একটা ফার্নিচার। ইয়োগার্ট-১০১ টেবিলটিতে একই সাথে পাবেন ডাইনিং টেবিল ও কেবিনেট। ফলে আলাদা করে ২টি ফার্নিচার কেনার কোনো প্রয়োজন থাকবে না, আবার ঘরের কিছুটা জায়গাও বাঁচবে। দামের সাথে কার্যকারিতার নিখুঁত মেলবন্ধন এই আসবাবটিতে। ছোট ডাইনিং টেবিল হিসেবে আরেকটি উপযুক্ত আসবাব হলো ফেয়ারমন্ট-১১৭ ও ড্যানভিল-১০৪। অল্প জায়গায় এঁটে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত টেবিলটি দেখতেও যথেষ্ট আধুনিক ও ছিমছাম। আরো চমৎকার ডাইনিং টেবিল গুলো দেখুন এখানে।
বসার ঘরে নতুনের ছোঁয়া
বাসায় ঢুকলে প্রথমেই যেই ঘরটা চোখে পড়ে সেটা হলো বসার ঘর। ডাইনিং টেবিলের পরেই বসার ঘরে সোফা, টেবিল, কেবিনেট ইত্যাদিতে চলে যায় নবদম্পতির বাজেটের অনেকটা অংশ। বসার ঘরের ফার্নিচারগুলোও তাই কিছুটা বহুমুখী ব্যবহারের হলে ভালো হয়, যাতে একাধিক ফার্নিচার আলাদা আলাদা না কিনে “একের মাঝে সব” পাওয়া যায়। কম খরচের মাঝে এখানে কাজে আসবে হাতিলের স্মার্টফিট কালেকশনের আরেকটি ফার্নিচার౼মেলন-২৬০। বেশ যুক্তিসংগত দামেই একই সাথে পেয়ে যাবেন সোফা, টেবিল এবং ছোটখাটো দুটি বসার জায়গা। ফার্নিচারটির প্রতিটি অংশ আলাদাভাবে সাজানো যাবে বেশি মেহমান থাকলে, আবার অল্প মানুষ থাকলে পুরোটা একসাথে গুছিয়ে রাখা যাবে ঠিক সোফার মতোই। বাইরে থেকে দেখলে বোঝাই মুশকিল এতটুকু আসবাবে এতখানি কারসাজি। বসার ঘরের কফি টেবিল ও চেয়ারের সমন্বয় করা আরেকটি ফার্নিচার ক্যাপাচিনো-১০৫। চেয়ারের জন্য আলাদা কোনো জায়গা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না এই সেটটিতে, কারণ চেয়ারগুলো টেবিলের নিচেই খুব সুন্দরভাবে লুকিয়ে থাকবে। মিনিমাল ডিজাইনে সাজানোর ক্ষেত্রে বসার ঘরে বহুমুখী ব্যবহারের ফার্নিচারের আসলেই কোনো জুড়ি নেই।
শোবার ঘরের সাজ – আধুনিক খাটের ডিজাইন ও দাম
যেহেতু ব্যক্তিগত জীবনে বেশির ভাগ সময়টাই নিজের ঘরে কাটে, তাই শোবার ঘরে আরামদায়ক ফার্নিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুজনের সংসারে অতিরিক্ত আড়ম্বরপূর্ণ বা বড় আকারের খাটের তেমন প্রয়োজন নেই। বাকি ঘরের আবহের সাথে মিল রেখে সহজ-সরল ডিজাইনের খাট ও অন্যান্য ফার্নিচার বাছাই করা দরকার । আলাদা আলাদা ফার্নিচার কেনার থেকে একেবারে ডিজাইন মিলিয়ে সেট হিসেবে কিনে নিতে পারেন হাতিলের পারস্লি-২০১ খাটটি। খাটের সাথেই পেয়ে যাবেন একই ডিজাইনের রোজমেরি-১৫৬ ড্রেসিং টেবিল এবং সুমাত্রা-১৮৪ ওয়ার্ডরোবও। মিনিমাল সাজের ঘরের জন্য মানানসই হবে এটি। বহুমুখী ফার্নিচারের দিক দিয়ে হাতিল নিয়ে এসেছে জুভেনাইল-১৯৮, যা খাট আর ডিভান দুটি হিসেবেই ব্যবহার করা যাবে। সরল ডিজাইনের পাশাপাশি অনেকটা জায়গা বাঁচানোর জন্য উপযোগী একটি খাট এটি। যেহেতু ছোট বাসায় স্টোরেজ নিয়ে প্রায়ই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, বক্সখাট ব্যবহার করাও দারুণ একটি উপায়। বক্সখাটের মাধ্যমে স্টাইলিশ চেহারার পাশাপাশি খাটের নিচের জায়গাটা ব্যবহার করা যাবে কাপড়চোপড় কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় টুকিটাকি রাখতে। ফার্নিচার ডিজাইন খাট গুলো তাদের অসাধারণ বৈশিষ্ট্যের তুলনায় একটি যুক্তিসঙ্গত দাম নিয়ে আসে। এবং আপনার কাছে HATIL-এর পণ্যের মূল্য যুক্তি সঙ্গত মনে হবে।
হাতিলের নতুন সংকলন পারস্লি-২০১ খাটের সাথে রোজমেরি-১৫৬ ড্রেসিং টেবিল এবং সুমাত্রা-১৮৪ ওয়ার্ডরোবের সেট
রিডিং রুম
অফিস ও নানা কাজকর্মের ব্যস্ততার ভিড়ে প্রতিটি বাসায় আলাদা একটি অফিসঘর বা রিডিংরুম এখন সময়ের প্রয়োজন। দুজনের সংসারে অতিরিক্ত বেডরুম থেকে যায়, যা প্রায় সময়ই ব্যবহার করা হয় না। এই ঘরটাকেই রিডিংরুম বা যাবতীয় কাজের ঘরে পরিণত করা যায়। তবে বাড়তি ঘরের জন্য আলাদা করে চেয়ার, টেবিল, কেবিনেট, বুকশেলফ ইত্যাদি কেনা নতুন সংসারের জন্য প্রায় অসম্ভব। বহুমুখী ফার্নিচার পাওয়া গেলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যায়। হাতিলের ডেনিস-১০১ ও অলিভিয়া-১০১-এর সমন্বয়ে সমাধান করে ফেলতে পারেন এই ঝামেলার। একই সাথে টেবিল, কেবিনেট, বুকশেলফ౼সব পেয়ে যাবেন একটি ফার্নিচারের মাঝেই। দামে সাশ্রয়ী ফার্নিচারটি আকারে বেশ ছোট, ফলে ঘর ছোট হলেও দেখতে মানানসই লাগে।
ঘর সাজানোর টুকিটাকি
ফার্নিচারের ঝামেলাটা পার হলেও ঘর সাজানোর কাজটা ঠিক শেষ হয় না। ঘরের অলংকার হিসেবে পর্দা, ছোটখাটো আসবাব, গাছ ইত্যাদি অনেক জিনিসের প্রয়োজন হয়। কম দামের মাঝে টবের গাছ দিয়ে সহজেই অনেক সুন্দর করে ঘর সাজিয়ে রাখা যায়। তা ছাড়া বেতের ঝুড়ি, কাঠের আসবাব, মাটির টুকিটাকি শোপিস ইত্যাদি বেশ সাশ্রয়ী মূল্যেই পাওয়া যায়। কাচের শোপিস এবং কৃত্রিম ফুলের থেকে মাটির তৈরি ছোট আসবাব এবং প্রাকৃতিক গাছ ঘরকে দেবে সজীব চেহারা। পর্দা ব্যবহারে জাঁকজমকপূর্ণ কাপড়ের তুলনায় হালকা রঙের পাতলা কাপড়ই ছোট ঘরের জন্য বেশি সুন্দর লাগবে। কম খরচে ঘর সাজানোর জন্য প্রাকৃতিক ছোঁয়ার কোনো বিকল্প নেই।
নতুন নতুন ঘর সাজানো নবদম্পতির সবচেয়ে কঠিন দায়িত্বগুলোর মাঝে একটি। দায়িত্বটি কিছুটা সহজ করে নিয়ে প্রিয় মানুষের সাথে সংসারের প্রক্রিয়াটা আরও সুন্দর করে তোলার জন্য অনুসরণ করতে পারেন এই টিপসগুলো।