আমি, আপনি কিংবা আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছে যাদের গেমিংয়ের প্রতি ভালোবাসা অসীম। এর মধ্যে কেউ কেউ কম্পিউটারেই গেম খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকেন। আজকাল অবশ্য অনেকেই এই গেমিংকেই পেশা বানিয়েছেন, পরিবারেও আনছেন আর্থিক স্বচ্ছলতার ছোঁয়া। কিন্তু গেমিং তো আর যেখানে সেখানে করা যায় না৷ একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় স্থানে অত্যন্ত মনোযোগের সাথে গেমিংয়ে বুঁদ হয়ে না থাকলে হেরে যাওয়াটা যেন অনিবার্য হয়ে পড়ে। সেই স্বাচ্ছন্দময়তার জায়গায় বড় সমাধান হয়ে এসেছে গেমিং এবং কম্পিউটার টেবিল।
আজকের এই লেখায় গেমিং এবং কম্পিউটার টেবিলের বিষয়ে জানার চেষ্টা করা যাক।
কেন গেমিং বা কম্পিউটার টেবিল?
কম্পিউটার টেবিল ভার্সেটাইল ডিজাইনে তৈরি এমন এক ধরণের টেবিল যা বিভিন্ন কাজে এবং উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণ টেবিলের চেয়ে এই টেবিলের দৈর্ঘ্য এবং ডিজাইন কিছুটা ভিন্ন হওয়ার কারণ হচ্ছে কম্পিউটারের আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতিগুলো সহজেই একই টেবিলে রাখতে পারার সুবিধা। তাছাড়া পোর্ট হোল সুবিধা থাকায় এই টেবিলের ক্ষেত্রে তারের প্লেসমেন্ট নিয়েও অযথা ঝামেলা পোহাতে হয় না।
যারা ঘরে বসে হোম অফিস করে থাকেন তাদের জন্যও সেরা সমাধান হতে পারে কম্পিউটার টেবিল। বিশেষত গেমিং ফ্রিল্যান্সারদের কাজের সুবিধায় স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিতে কম্পিউটার টেবিলকে কার্যকরী ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। একই ভঙ্গিমায় কাজ করা এবং দীর্ঘ সময় ধরে একই অবস্থানে বসে থাকলে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়াটা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। যারা দীর্ঘ সময় ধরে গেমিং করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা প্রায় নিত্যদিনের। এক্ষেত্রে তাই কম্পিউটার টেবিল স্বস্তি এনে দিতে পারে। কারণ আধুনিক ডিজাইনের এসব টেবিলে হাইট এডজাস্টমেন্ট সুবিধা রয়েছে। তাই সর্বক্ষণ একই ভঙ্গিমায় কাজ না করে আপনার কমফোর্ট পজিশন অনুযায়ীই টেবিলের হাইট এডজাস্ট করে নিতে পারেন।
সাধারণত আমরা যেসব পড়ার টেবিল ব্যবহার করে থাকি তাতে লোড নেওয়ার সক্ষমতা কম। কিন্তু কম্পিউটার টেবিলে সর্বক্ষণ কম্পিউটারসহ আনুষঙ্গিক ভারী যন্ত্রপাতির লোড বহন করার জন্য এর লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটিও হতে হয় বেশি। এই টেবিলগুলোতে সেটি থাকেও। গেমিংয়ে প্লে স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রেও কম্পিউটার টেবিল থেকে একই ধরণের সুবিধাগুলো বেশ কাজের।
অনেকেই ভেবে থাকেন, বাসায় কাজের জন্য ঘরে তো পড়ার টেবিল রয়েছেই। তাহলে বাড়তি খরচ করে কম্পিউটার টেবিল কেন কেনা লাগবে? পড়ার টেবিল এবং কম্পিউটার টেবিলের মধ্যে সুস্পষ্ট কিছু পার্থক্য রয়েছে। পড়ার টেবিলে বই রাখার জন্য বড় সাইজের তাক থাকে। এই তাক ছাড়া পড়া বা অন্যান্য কাজের জন্য এই টেবিলে যতটুকু জায়গা থাকে তা কম্পিউটার এবং এর আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। তাছাড়া পড়ার টেবিলে পোর্ট হোল সুবিধাও থাকে না। এছাড়া আরো বেশ কিছু অসুবিধার কারণে পড়ার টেবিলকে কম্পিউটার টেবিল বা গেমিংয়ের জন্য প্লে স্টেশনের বিকল্প বা আদর্শ সমাধান হিসেবে না রাখাই ভালো।
কম্পিউটার টেবিল কোনটি কিনবেন?
বাজারে বিভিন্ন ধরণ এবং ডিজাইন এর গেমিং প্লে স্টেশন বা অফিসের কাজে কম্পিউটার টেবিল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রচলিত দুই ধরণের টেবিল হচ্ছে লেক্যুয়ার (Lacquer) এবং নন লেক্যুয়ার (Non Lacquer) কম্পিউটার টেবিল।
লেক্যুয়ার কম্পিউটার টেবিল মূলত আধুনিক কাঠের ফিনিস যা সাধারণত আধুনিক ফার্ণিচারে দেখা যায়। এই ধরণের টেবিলের বিশেষত্ব হচ্ছে, এটিতে পানি বা তরল জাতীয় কিছু পড়লে তা দ্রুত শুকিয়ে যায়। পানির জন্য দুর্ভেদ্য হওয়ায় ফার্ণিচারে সহজে পচন ধরে না। তাছাড়া, সময়ের সাথে সাথে এর স্বচ্ছতা নষ্ট হয় না। এই ধরণের টেবিলে বয়সের সাথে হলদে ভাব আসে না। এটি তরল জাতীয় পদার্থ থেকে ভালভাবে রক্ষায়ও বেশ কার্যকরী। এটির খুব কম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় বলে বার্ণিশ ফিনিশ ডিজাইন ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
বর্তমানে লেক্যুয়ার কম্পিউটার টেবিল অনেক ফার্ণিচার ব্র্যান্ডই তৈরি করছে। লেক্যুয়ার কম্পিউটার টেবিল তৈরির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক ফার্ণিচার ব্র্যান্ড হাতিল ব্যবহার করছে কিল্ন ড্রাইড ইম্পোর্টেড বিচ উড এবং ভেনিয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারড উড। এক্ষেত্রে উচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব ইতালিয়ান আল্ট্রা ভায়োলেট এবং পলি ইউরিথ্রিন লেক্যুয়ার অ্যান্টিক ফিনিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এসব টেবিলে। শতভাগ পরিবেশ বান্ধব উপায়ে তৈরি এই টেবিল ব্যবহারে পরিবেশের জন্যও ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই।
হাতিল এর লেক্যুয়ার কম্পিউটার টেবিলগুলোর ডিজাইন দেখুন এখানে।
অন্যদিকে নন লেক্যুয়ার কম্পিউটার টেবিলে কাঠের ফিনিস দেখা যায় না। ক্রোম ফিনিশড মাইল্ড স্টিল এবং কাঠের সন্নিবেশে তৈরি এসব টেবিলেরও বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে।
হাতিল এর নন লেক্যুয়ার কম্পিউটার টেবিলগুলো তৈরি করা হয়েছে সুপিরিয়র কোয়ালিটির মেলামাইন ফেসড পার্টিকেল বোর্ড দিয়ে। সর্বশেষ জাপানিজ সিএনসি মেশিনে কাটিং এবং বেন্ডিং সম্পন্ন এসব কম্পিউটার টেবিল মান এবং টেকসই দিক বিবেচনায় বেশ উন্নত।
হাতিল এর নন লেক্যুয়ার কম্পিউটার টেবিলগুলোর ডিজাইন দেখুন এখানে।
সুইভেল চেয়ারে সমাধান
পছন্দের কম্পিউটার টেবিলটি কেনার পর নজর দিতে হবে চেয়ারের দিকে। বসার জায়গায় স্বাচ্ছদ্য বোধ না করলে গেমিং কিংবা অফিসের কোনো কাজে মনোযোগই আসবে না। চেয়ারের ক্ষেত্রে ফার্ণিচার ব্র্যান্ডগুলোতে অনেক অপশনই দেখা যায়। সুইভেল চেয়ার, ফিক্সড চেয়ারসহ নানা ধরন আর ডিজাইনের এসব চেয়ারের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গায় ভিন্নতা রয়েছে। তবে কম্পিউটার টেবিলে কাজ করার ক্ষেত্রে সুইভেল চেয়ার ফ্লেক্সিবল হওয়ায় এই চেয়ারেই অফিসের কাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার হার বেশি।
তাছাড়া, অসংখ্য সুইভেল চেয়ারের ডিজাইন রয়েছে যার মধ্যে থেকে আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রের জন্য সেরা চেয়ারটি বেছে নিতে পারেন। এই চেয়ার ব্যবহারে কর্মক্ষেত্রে যেমন স্বাচ্ছন্দ্য আসবে তেমনি কাজের প্রতি বাড়বে মনোযোগও।
হাতিল এর কিছু সুইভেল চেয়ার তৈরি হয়েছে সুপিরিয়র কোয়ালিটির ক্রোম প্লেটেড মাইল্ড স্টিল দিয়ে। কিছু চেয়ার কিল্ন ড্রাইড ইম্পোর্টেড বিচ উড এবং ভেনিয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারড উড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব ইতালিয়ান আল্ট্রা ভায়োলেট এবং পলিইউরিথ্রিন লেক্যুয়ার অ্যান্টিক ফিনিশ প্রযুক্তি। উন্নতমান এবং ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের ফেব্রিক চয়েজ থাকায় হাতিল এর সকল ধরণের সুইভেল চেয়ারের চাহিদাই বেশ লক্ষ্যণীয়। সর্বশেষ জাপানিজ সিএনসি মেশিনে কাটিং এবং বেন্ডিং সম্পন্ন এসব সুইভেল চেয়ার মান এবং টেকসই দিক বিবেচনায়ও চেয়ারগুলো বেশ উন্নত।
হাতিল এর সুইভেল চেয়ারগুলোর ডিজাইন দেখুন এখানে।