Mix and Match Furniture Styles in Your Home Mix and Match Furniture Styles in Your Home

আপনার বাড়ির ফার্নিচার স্টাইলের মধ্যে কীভাবে সামঞ্জস্য আনবেন?

আপনার বাড়ির চারপাশে তাকিয়ে আপনার কি কখনও মনে হয় যে কিছু একটা ঠিক মিলছে না? কাউচটি চেয়ারগুলির সাথে খাপ খাচ্ছে না, কফি টেবিলটি সাইড টেবিলের সাথে মিলছে না এবং কোনো কিছুই একটা আরেকটার সাথে ম্যাচ করছে না।

যদি এই কথাগুলো আপনার সাথে মিলে যায় তবে বুঝবেন এটি শুধু আপনার সাথেই ঘটছে না। ফার্নিচারের স্টাইল ম্যাচ করানো বেশ কঠিন একটা ব্যাপার। বেশীরভাগ সময়ই একটা ফার্নিচার আরেকটার ম্যাচ করে না। তবে সঠিক তথ্য জানা থাকলে আপনিও আপনার বাড়িতে একদম প্রোফেশনালভাবে সাজানো লুক আনতে পারবেন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফার্নিচার ব্র্যান্ড হিসেবে, আমাদের ৩৪ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আমরা অনেক কাস্টমারকে তাদের পছন্দের ফার্নিচার দিয়েই স্টাইল ম্যাচ করতে সাহায্য করেছি।

এই আর্টিকেলে আমরা শীর্ষস্থানীয় ইন্টেরিওর ডিজাইনারদের কাছ থেকে নেয়া কিছু পার্সোনাল টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যেখানে বলা হয়েছে কিভাবে বিভিন্ন যুগের এবং বিভিন্ন স্টাইলের ফার্নিচারগুলোর মধ্যে ম্যাচিং স্টাইল আনা যায়। এখানে আপনি জানতে পারবেন কীভাবে কৌশলের সাথে ফার্নিচারের রং, ডিজাইন, এবং মাত্রার মধ্যে সামঞ্জস্য এনে আপনার ঘরে আরামদায়ক ও রুচিপুর্ণ পরিবেশ আনতে পারবেন।

তাহলে চলুন, আমরা বিষয়টার আরও বিস্তারিত জানি।

ফার্নিচারের বেসিক স্টাইলগুলো সম্পর্কে জানুন

প্রথমেই আপনাকে বেসিক ফার্নিচারের স্টাইলগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

ফার্নিচারের স্টাইল বলতে বুঝায় এর নিজস্ব কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য যেগুলো বিভিন্ন যুগ ও অঞ্চলের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং শৈল্পিক প্রভাবকে ফার্নিচারের মধ্যে ফুটিয়ে তোলে।

অনেকসময় ফার্নিচারের স্টাইল ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যর দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে।

ফার্নিচারের কমন স্টাইলগুলো হলোঃ

ট্র্যাডিশনাল

ট্র্যাডিশনাল স্টাইলগুলো সাধারণত ১৮ অথবা ১৯ শতকের ক্লাসিক ইউরোপীয় ফার্নিচার থেকে অনুপ্রাণিত। এই স্টাইলের ফার্নিচারগুলোতে সাধারণত অনেক কার্ভ করা কারুকাজ, গাঢ় রং এবং বিলাসবহুল কাপড় ব্যবহার করা হয়। এগুলো দেখতে খুব মার্জিত এবং পরিমার্জিত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশী ট্র্যাডিশনাল ফার্নিচারগুলো প্রায়ই কাঠের তৈরি হয়, যেমন সেগুন, লোহাকাঠ, গুরজান, সাল, মেহগনি, চেরি বা আখরোট ইত্যাদি কাঠের।

মডার্ন

এই স্টাইলের আবির্ভাব ঘটে ২০ শতকের দিকে।

এই স্টাইলে কারুকাজগুলোর দিকে জোর কম দিয়ে এর আকার, মাপ, এবং ব্যবহারযোগ্যতার দিকে বেশি ফোকাস দেয়া হয়। মডার্ন ফার্নিচারে কাঠের পাশাপাশি মেটাল, কাঁচ, প্লাইউড ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।

ট্রাঞ্জিশনাল

ট্রাঞ্জিশনাল ফার্নিচার বলতে সাধারণত সেগুলোকে বুঝায় যেগুলো ট্র্যাডিশনাল এবং মডার্ন ফার্নিচারগুলোর স্টাইলের একটা মিশ্রন থেকে তৈরী।

এগুলো দেখতে একটু সিম্পল হলেও এতে ট্র্যাডিশনাল কিছু ডিটেইল অ্যাড করা হয়।

কন্টেম্পরারি

কন্টেম্পরারি স্টাইল সাধারণত মডার্ন স্টাইলেরই আরও সিম্পল ভার্সন। এধরণের ফার্নিচার একটু মিউটেড কালার, সিম্পল লাইন ও মিক্সড ম্যাটারিয়াল ব্যবহার করে তৈরী করা হয়। যেমন এগুলো তৈরীতে কাঠ, মেটাল, গ্লাস, ফেব্রিক ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। 

বেসিক্যালি কন্টেম্পরারি ডিজাইন মানেই মডার্ন ডিজাইন তবে, সকল মডার্ন ডিজাইনই যে কন্টেম্পরারি ব্যাপারটা এমন নয়।

দেহাতি

দেহাতি স্টাইলে সবকিছু সিম্পল আর ন্যাচারাল রাখার চেষ্টা করা হয়। যেমন এতে কাঠের সার্ফেস, রং ও তক্তার আকৃতি ইত্যাদি ন্যাচারালের কাছাকাছি রাখার চেষ্টা হয়।

এতে সাধারণত কাঠ ব্যবহার করা হলেও অনেক সময় আরও বেশ কিছু প্রাকৃতিক ম্যাটারিয়াল যেমন পাথর, চামড়া বা বেতের মতো জিনিস ব্যবহার করা হয়। এই কারনে এধরণের ফার্নিচার ব্যবহারে আপনি নিজেকে প্রকৃতির সংস্পর্শে আছেন বলে অনুভব করবেন।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল

এটি ১৯ এবং ২০ শতকের ফ্যাক্টরির ডিজাইন থেকে অনুপ্রাণিত।

এই ধরণের স্টাইলেও লুকের থেকে ফার্নিচারের কার্যক্ষমতার দিকে বেশি নজর দেয়া হয়। ডিজাইনগুলো একটু সাধাসিধে হয় ও সহজে চোখে লাগার মতো নয়। খুব একটা বার্নিশ না করে একটু রাফ ডিজাইনে করা এই ফার্নিচার স্টাইলে কাঠের সাথে মেটালের ব্যবহার বেশি দেখা যায়।

উপকূলীয়

এর স্টাইল সমুদ্রের দৃশ্য এবং সমুদ্রতীরবর্তী জীবনযাত্রা থেকে অনুপ্রাণিত।

এই স্টাইলের ফার্নিচার তৈরীতে আবহাওয়ার সাথে মিল রেখে দেয়া পলিশ, হোয়াইটওয়াশ করা কাঠ এবং দড়ি ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এগুলোর ডিজাইন আপনাকে সমুদ্রের ভাইব মনে করিয়ে দেবে।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান

নর্ডিক দেশগুলির এই স্টাইলটি একদম সিম্পল হয়ে থাকে ও এটিতেও ফার্নিচারের কার্যক্ষমতার উপরে বেশি জোর দেয়া হয়। এটি তৈরীতে হালকা কাঠ ব্যবহার করা হয়।

এতে তেমন হাতের কাজ বা নকশা করা হয়না। এছাড়াও বাংলাদেশী পরিবারে এ ধরণের ফার্নিচার খুব একটা দেখাও যায় না।

স্টাইলগুলো মিক্স করে রুচিপূর্ণ সামঞ্জস্য আনুন

সাজানোর সময় দেখবেন কিছু স্টাইল একটা আরেকটার সাথে ন্যাচারালভাবেই খুব ভালো খাপ খেয়ে যায়। যেমনঃ

দেহাতি + ট্র্যাডিশনাল

দেহাতি কাঠ এবং পাথরের টেক্সচারগুলি সহজেই ডিটেইলে খোদাই করা ট্র্যাডিশনাল ডিজাইনের নকশার সাথে ম্যাচ করে।

একটি দেহাতি স্টাইলের ন্যাচারাল লুকিং কাঠের কফি টেবিলের সাথে কার্ভ করা একটি ট্র্যাডিশনাল স্টাইলের সোফা কেমন দেখাবে একবার ভেবে দেখুন তাহলেই বুঝতে পারবেন।

wood coffee table

মডার্ন + কনটেম্পরারি

মডার্ন এবং কনটেম্পরারি দুটো স্টাইলই একটু সাধাসিধে ক্লিন ডিজাইনের হয়ে থাকে। এজন্য এগুলো একটা আরেকটার সাথে ভালোমতোই ম্যাচ করে।

উদাহরণস্বরূপ, একটি মসৃণ কাচের কনটেম্পরারি ডাইনিং টেবিলের সাথে মডার্ন লেদার এবং স্টিলের তৈরী চেয়ার ভালমতো মিলে যায়।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল + মডার্ন

মডার্ন ডিজাইনের মিনিমাল ক্লিন লুক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজেইনের রাফ স্টাইলের সাথে বেশ ভালো খাপ খায়। 

একটি লোহার পাইপের ডেস্ক বা ফ্যাক্টরি কার্টের আদলে তৈরী টেবিলের সাথে একটি আধুনিক চামড়ার সোফা বা আর্মচেয়ারের ক্লিন লুক ভালমতোই খাপ খায়। স্টিলের ফিনিশের সাথে কালো পাইপের মতো ধাতব ফিনিশগুলোও একটি সুন্দর টেক্সচার তৈরী করে।

শুধু এগুলোই না। ম্যাচ করানোর এই ব্যাপারটার আসলে কোনো নির্দিষ্ট মাত্রা নেই। আপনি আপনার ক্রিয়েটিভিটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের এক্সপেরিমেন্ট করুন, কোনোটা মিলে গেলে হয়তো সেটাই হতে পারে আপনার নিজস্ব ইউনিক মাস্টারপিস।

Industrial & Modern Style

রং, নকশা ও আকৃতির সামঞ্জস্য করুন

ডিজাইনের আসল মূলমন্ত্রই হলো একেকটা ফার্নিচারের এলিমেন্টের সাথে আরেকটা ফার্নিচারের এলিমেন্টের যত মিল বেশি রাখা যায় সেগুলো দেখতে তত বেশি সুন্দর লাগে। আপনি যত একই রকম রং, নকশা ও ম্যাটারিয়ালের ফার্নিচার রাখবেন, আপনার ফার্নিচার ততো একটা আরেকটার সাথে ম্যাচ করবে।

যেমন আপনার যদি একটি বাদামী চামড়ার সোফা (ট্র্যাডিশনাল স্টাইলের) থাকে তবে এর সাথে একটি চামড়ার আর্মচেয়ার (কন্টেম্পরারি স্টাইল) এবং দেহাতি কাঠের কফি টেবিল যোগ করুন। এখানে সবগুলো ফার্নিচারই চামড়ার হওয়াতে এগুলো ম্যাচিং মনে হবে।

অথবা যদি আপনার কাছে একটি সাদা মডার্ন সোফা থাকে, তবে এর সাথে উলের বা লিনেনের কুশন ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ভালো মানাবে।

যেকোনো একটা স্টাইলকে কমন স্টাইল হিসেবে ধরুন

Sofa Yellow

ফার্নিচারে ম্যাচিং স্টাইল আনার মূলনীতিগুলির মধ্যে একটি হল প্রত্যেকটির মধ্যে একটি কমন জিনিস রাখার চেষ্টা করা। কমন জিনিসটি হতে পারে রং, আকৃতি, প্যাটার্ন, অথবা একটি থিম।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার কাছে একটি মডার্ন সোফা এবং একটি ট্র্যাডিশনাল আর্মচেয়ার থাকে তবে আপনি একই রং বা প্যাটার্নযুক্ত কুশন বেছে নিয়ে সেগুলোর মধ্যে ম্যাচিং স্টাইল নিয়ে আসতে পারেন।

অথবা আপনার যদি একটি দেহাতি কাঠের টেবিল এবং মসৃণ মেটালের চেয়ার থাকে তবে এগুলোতে কিছু কাঠের ডিজাইন বা মেটাল ডিজাইন যোগ করতে পারেন তাহলে দুটোর মধ্যে একটা ব্যালেন্স আসবে।

স্টাইলে বেশিরভাগ (৮০% এর মতো) জিনিসই রাখুন একটা মেইন থিমের সাথে ম্যাচ করে। এবং এর সাথে সেকেন্ডারি কোনো উপাদান রাখুন বাকি অংশ (২০%) হিসাবে। পরীক্ষিতভাবে দেখা গেছে এই ৮০/২০ রুলের অনুপাতে ডিজাইন করলে সুন্দর একটা ম্যাচিং স্টাইল পাওয়ার চান্স থাকে।

রং ম্যাচ করে সামঞ্জস্য আনুন

ঘরের ফার্নিচার ম্যাচিঙের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায়গুলির মধ্যে একটি হলো একই রঙের ফার্নিচার বাছাই করা। এমনকি এক্ষেত্রে অন্যান্য জিনিসের মিল না থাকলেও ফার্নিচারগুলো সুন্দর ম্যাচ করে যায়।

দুটি বা তিনটি প্রধান রঙ নির্বাচন করুন যেগুলো একটা আরেকটার সাথে সুন্দর দেখায়। তবে দুই তিনটার বেশি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। না হলে দেখতে জগাখিচুড়ির মতো লাগতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি উপকূলীয় থিমে ঘর সাজাতে চাইলে এর জন্য নীল, সাদা এবং হলুদ রঙের একটি সংমিশ্রন বেছে নিতে পারেন। দেয়াল, আসবাবপত্র বা পাপোশগুলির জন্য প্রধান রঙ হিসাবে নীল, পর্দা বা বিছানার চাদরের জন্য সেকেন্ডারি রং হিসাবে সাদা এবং বালিশ, টেবিল-ল্যাম্প ইত্যাদির জন্য আরেকটি রং হিসাবে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।

তেমনিভাবে, আপনি একটি মডার্ন এবং গ্ল্যামারাস স্পেসের জন্য ধূসর, কালো এবং গোলাপী রঙের একটি সংমিশ্রন বেছে নিতে পারেন। আপনি দেয়াল, সোফা বা টেবিলের প্রধান রং হিসেবে ধূসর ব্যবহার করতে পারেন, ফ্রেম, চেয়ার বা আনুষাঙ্গিকের জন্য সেকেন্ডারি রং হিসেবে কালো এবং ফুল, মোমবাতি ইত্যাদির রং হিসেবে গোলাপী ব্যবহার করতে পারেন।

আকার এবং আকৃতির মধ্যে ব্যালেন্স রাখুন

আপনার ঘরের আকারের সাপেক্ষে আপনার আসবাবপত্রের আকারের মিল রাখলে দেখতে সুন্দর ও সামঞ্জস্যপূর্ণ লাগে।

একটি ভাল উপায় হলো আপনার ঘরের জন্য প্রধান ফোকাস হিসাবে একটি বা দুটি বড় সাইজের ফার্নিচার বেছে নেওয়া, যেমন একটি সোফা, একটি বিছানা বা একটি ডাইনিং টেবিল, এবং তারপরে এগুলোর সাথে ব্যালেন্স করতে তাদের চারপাশে ছোট ছোট ফার্নিচার রাখুন৷ পাশাপাশি বিভিন্ন ম্যাচিং পাপোশ, পর্দা, বাতি বা শিল্পকর্ম ব্যবহার করে ঘরের বিভিন্ন সেকশনের মধ্যে একটা পারফেক্ট ব্যালেন্স আনতে পারেন।

এক জায়গায় বেশি বড় ফার্নিচার বা ছোট ফার্নিচার রাখা এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে ঘরের এক পাশ খালি আর আরেকপাশ ঘিজিবিজি লাগতে পারে।

অপ্রত্যাশিত জিনিসপত্র দিয়ে সাজান

ঘরের ডিজাইন ম্যাচ করার সবচেয়ে মজার দিকগুলির মধ্যে একটি হল এমন কিছু জিনিস দিয়ে ঘর সাজানো যা আপাতদৃষ্টিতে সম্পর্কহীন লাগতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি ক্লাসিক লুকিং রুমে একটি সাম্প্রতিককালের ড্রয়িং বা আধুনিক রুমে একটি ভিনটেজ রকিং চেয়ার রেখে দেখতে পারেন। এই জিনিসগুলো আপনার রুমের ডিজাইনে একটা ড্রামাটিক লুক এনে দিবে যা যে কেউ দেখলে মনে রাখবে।

তবে, খুব বেশি অপ্রত্যাশিত জিনিস ডিজাইনে আনা ঠিক না, কারণ সেক্ষেত্রে স্পেসটি দেখতে বিশৃঙ্খল বা এলোমেলো মনে হতে পারে।

আনুষাঙ্গিক এক্সেসরিজ দিয়ে সাজান

এই ছোট-ছোট এক্সেসরিজ গুলো আপনার রুমের স্টাইলে আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে।

এগুলোর মধ্যে বালিশ, কাঁথা, পাপোশ, বাতি, মোমবাতি, ফুলদানি, বই, ছবি, হোমপ্লান্ট ইত্যাদি জিনিস আপনার ঘরে অ্যাড করতে পারেন। জিনিসগুলো ছোটখাটো হওয়ায় এগুলো নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেও বেশি সমস্যা হয়না। আপনি স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে বিভিন্ন ফার্নিচারের উপরে এগুলো রেখে অথবা সরিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতে পারেন।

এমনকি আপনি আপনার ফার্নিচারের কোনো অংশ হাইলাইট করা বা লুকানোর জন্য এগুলি ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনার যদি একটি পুরনো ড্রেসার থাকে যাতে কিছু স্ক্র্যাচ বা দাগ আছে তবে আপনি একটি রঙিন স্কার্ফ বা একটি ট্রে দিয়ে সেই অংশটুকু ঢেকে রাখতে পারেন।

অথবা আপনার সোফাটি হয়তো পুরনো ও মলিন হয়ে গিয়েছে। সে অবস্থায় আপনি একটি রঙিন ও উজ্জ্বল কাঁথা কিংবা কুশন তার উপরে রেখে সেই অংশে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারেন।

সময় নিয়ে নতুন জিনিস যোগ করে দেখুন

বাংলাদেশ যেমন এক দিনে স্বাধীন হয়নি তেমনি নিমিষেই আপনি আপনার রুমে তাক লাগানো স্টাইল দিতে পারবেন না। সময় নিন। হুট করে পুরো বাড়ির জন্য ফার্নিচার কিনে ভরিয়ে না ফেলে ধীরে ধীরে এক্সপেরিমেন্ট করে দেখুন।

এভাবে আপনার স্টাইলের সাথেও যেমন প্রত্যেকটি ফার্নিচার ম্যাচ করবে তেমনি আপনিও ধীরে ধীরে এই কাজের মধ্যে রুচিশীলতার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন।

আপনার মনের কথা শুনুন

রুম সাজানোতে ফার্নিচারের স্টাইল ম্যাচ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল আপনার মনের কথাকে বিশ্বাস করা। আপনার ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। দিনশেষে আপনিই এখানে থাকবেন এবং আপনার নিজের কাছে যেমনটি ভালো লাগে সেভাবেই সাজাবেন।

মনে রাখবেন যে রুমের স্টাইল ম্যাচিং করা কোনো কাজ বা রীতিনীতি নয় বরং আনন্দের ও উৎসাহের সাথে নিজেকে ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করা। এগুলো অন্যদের খুশি করার মতো কোন বিষয় নয়।

হাতিলের ঐতিহ্যবাহী ফার্নিচার দিয়ে আপনার আদর্শ বেডরুম তৈরি করুন

একটি একটি করে আলাদা ম্যাচিং ফার্নিচার না খুঁজে আপনি হাতিলের ফুল বেডরুম ফার্নিচার সেট কিনে নিতে পারেন। তাদের এই সেটগুলোর প্রত্যেকটি ফার্নিচার একটা আরেকটার সাথে ম্যাচিং করেই তৈরী করা হয়। 

Complete bedroom set

যেমন, হাতিলের এই বেডরুম সেটটি দেখতে পারেন। এই সেটে রয়েছেঃ

  • বুকে বেডসাইড টেবিল
  • সিন্ড্রেলা ড্রেসিং টেবিল
  • মিথ বেড
  • কিমোনো ওয়্যারড্রোব

ঐতিহ্যবাহী এবং মডার্ন ডিজাইনের এই সেটটি হাতিলের সমসাময়িক আরবানিয়া সোফার সেটের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। সিম্পল কাঠের ডিজাইন এবং ঐতিহ্যবাহী এই স্টাইল দেখে মনে হয় একটা আরেকটার জন্যই তৈরী।

অথবা আপনার ট্র্যাডিশনাল স্টাইলের সাথে ম্যাচ করে ফেলুন হাতিলের এই একসেন্ট চেয়ারগুলি। এর কাঠের ন্যাচারাল স্টাইল আপনার ট্র্যাডিশনাল স্টাইলের সাথে খুব ভালমতো মিলে যাওয়ার কথা।

দেরী না করে এখনই এক্সপেরিমেন্ট শুরু করে ফেলুন! মেইন সেট হিসাবে হাতিলের মানসম্পন্ন সেটগুলি ব্যবহার করুন, তারপরে আপনার নিজের পছন্দমতো অন্যান্য জিনিস যোগ করুন। একবার স্টাইল ম্যাচ করার ভেতরের মজাটা বুঝে গেলে দেখবেন আপনিই অবাক হয়ে যাবেন। চেষ্টা করলে আপনি অবশ্যই পারবেন!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।