রোজকার পাঠশালার পাঠ চুকিয়ে বিকেলবেলা এক ছুটে গিয়ে খেলার মাঠে, পাড়ার অলি-গলিতে গোল্লাছুট, ক্রিকেট কিংবা কানামাছি খেলার দিনগুলো এখন আর নেই।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছোট পরিবার এবং চাকুরিজীবি মা-বাবা থাকায় খেলার সাথীরও অভাবে ভোগে এখন অনেক শিশু। যান্ত্রিকতার পৃথিবীতে তারা অনেকটুকুই ঘরকুনো। গ্যাজেট, গেমিং আর পড়াশুনার চাপে তাদের শৈশবের আনন্দঘন সময় পার করার ব্যাপারটিও আড়ালেই থেকে যায়।
এমন অবস্থায় নিজ ঘরেই বাচ্চার বেড়ে উপযুক্ত পরিবেশটি নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জটি অভিভাবক হিসেবে আপনার উপরই বর্তাচ্ছে।
তাই অন্দরসজ্জায় বাচ্চার ঘরকে নিয়ে কোন ভাবেই হেলাফেলা করা যাবে না। কেননা, আপনার বাচ্চার সুষ্ঠু মানসিক বিকাশ ও শারীরিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে একটি যুগোপযোগী ঘরের, যেখানে তার শৈশবের দিনগুলির বেশিরভাগ সময় কাটবে।
এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কিভাবে বাচ্চার ঘর সাজাবো? ঘরের আসবাব কেমন হবে? কোন দিকগুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব?
আপনার এই সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আমাদের আজকের এই লেখাটি।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে আপনার যে পছন্দ বা চাহিদা থাকবে, তা নিশ্চয়ই একটি বাচ্চার সাথে মিলবে না।
অন্যান্য সকল ঘরের তুলনায় বাচ্চার ঘরের থিম, আসবাব বা সাজসজ্জাতে তাই বেশ খানিকটা পরিবর্তন আনতে হবে, আবার সেই সাথে ঘরের মূল আবহটাও ধরে রাখা বেশ জরুরি।
চলুন জেনে আসি আধুনিকতা ও নান্দনিক আবহ বজায় রেখে নিজের বাচ্চার ঘরটি তার উপযোগী করে সাজিয়ে তুলবেন কিভাবে-
ঘরের আকারঃ যেকোন ঘর সাজাতে গেলেই সবার আগে নজর দিতে হবে ঘরের আকার ও আকৃতির দিকে। রুমের কোন জায়গায় কি ফার্নিচার রাখবেন এই ব্যপারে আগে থেকেই ধারণা রাখুন।
এমন যেন না হয়, ছোট ঘরে একগাদা জিনিসপত্র দিয়ে ভরিয়ে ফেললেন, যে আপনার বাচ্চার একটু ছোটাছুটি করার স্থানই রইলো না, আবার ঘর খোলামেলা করতে গিয়ে বাচ্চার প্রয়োজনীয় জিনিসিগুলিই সেখানে থাকলো না।
এজন্য আগে থেকেই ঘরের আকারের উপর ভিত্তি করে প্ল্যানিং জরুরি। যতটুকু সম্ভব স্মার্ট ও কার্যকরী পরিকল্পনা করুন।
ঘরের আবহঃ অন্ধকার ও স্যাঁতস্যাঁতে একটি ঘরে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাতে হলে কারোরই মন ভালো থাকার কথা নয়। তাই বাচ্চার ঘর যথেষ্ট খোলামেলা ও আলো-বাতাস পূর্ণ হওয়া জরুরি।সেই সাথে ঘরে যাতে কম ধুলাবালি ঢুকে এই ব্যপারটি নিশ্চিত করতে হবে।
উত্তর-পূর্ব, পূর্ব অথবা উত্তর-পশ্চিম দিকের ঘর তার জন্য নির্বাচন করুন। ঘরের সাথে লাগোয়া বারান্দা থাকলেও বেশ ভালো।ঘরে ওয়ার্ম ফোকাস লাইট ও রাতের জন্য নাইট লাইট ব্যবহার করতে পারেন।
বাচ্চার চাহিদাঃ আপনার শিশুর আগ্রহ ও পছন্দকে গুরুত্ব দিন। প্রত্যেক শিশুই আলাদা, তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে বিবেচনায় রেখে ঘরের থিম, আসবাব, সাজসজ্জা নির্বাচন করুন।
যেমনঃ ছবি আঁকতে ভালো বাসে এমন শিশুর জন্য ঘরে রাখুন ছবি আঁকার একটি কর্ণার বা দেয়ালে রাখুন বোর্ড বা ক্যানভাস। আবার গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে এমন শিশুর ক্ষেত্রে ঘরে রাখুন কম্ফোর্টেবল রিডিং কুশন, চেয়ার বা বিন ব্যাগ ইত্যাদি।
নিজের ঘর পছন্দের জিনিস দিয়ে সাজানো থাকলে, সেই ঘরের সাথে সম্পর্কও তাড়াতাড়ি তৈরী হবে এবং দ্রুতই স্বনির্ভরশীল হওয়ারও সুযোগ থাকবে আপনার বাচ্চার।
রঙের ব্যবহারঃ সাদামাটা একটি ঘরকে উজ্জ্বল আর উৎসবমুখর করে তুলতে রঙের জুড়ি নেই। ঝকঝকে সাদার বদলে তাই বাচ্চার ঘরের ফার্নিচারের সাথে মানানসই রেখে দেয়ালের জন্য বেছে নিন অফ হোয়াইট, লাল, হলুদ, পিংকের মতো উজ্জ্বল কোন রঙ।
একই রঙের বিভিন্ন শেডে ঘরে আসবে বৈচিত্র্যতা।পর্দা, বিছানার চাদর বা কুশনের ফ্যাব্রিক্স ঘরের আবহের সাথে মিলিয়ে রাখতে চেষ্টা করুন।
চাইলে এক্সেন্ট ওয়ালে করে নিতে পারেন বাচ্চার পছন্দের কোন ক্যারেক্টারের পেইন্টিং। ঘরের কোণে শিশুসুলভ এই নকশা-বৈচিত্র্য আপনার বাচ্চা যারপনাই পছন্দ করবে, আর রুমটি দেখাবেও সুন্দর।
বাচ্চাদের ঘরের সাজের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিন্তু তাদের পছন্দ ও চাহিদারও পরিবর্তন হতে থাকে। তাই ঘরের সাজও বার বার বদলাতে হতে পারে।
এক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হবে ফার্নিচার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে এমন রঙ ও গঠন পছন্দ করা, যা অনেক বছর ধরেই সহজে আপনার বাচ্চা ব্যবহার করতে পারে। তাহলে ঘরের অন্যান্য আনুসাঙ্গিক জিনিস পরিবর্তন করে সহজেই ঘরের রূপ পালটে ফেলতে পারবেন।
আসবাবঃ বাচ্চাদের ঘরের আসবাবের অত্যাবশ্যকয়ীয় সরঞ্জামাদির মধ্যে আছে বিছানা, পড়ার টেবিল, বাচ্চার খেলনা, কাপড় ইত্যাদি রাখার জন্য ওয়ার্ড্রোব বা স্টোরেজ ইউনিট, বইপত্র রাখার জন্য একটি বুকশেলফ। বাচ্চাদের ঘর যতটুকু সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করা উচিত।
কিন্তু ঠাস-বুনোটের এই শহরে নিজ সাধ্যের মধ্যে মনমতো ফ্ল্যাট পাওয়াই যেখানে দায়, সেখানে অনেক অভিভাবকের পক্ষে বাচ্চার রুম এমন খোলামেলা রাখা সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আসবাব নির্বাচনে হতে হবে সতর্ক। এখন বাজারে এমন অনেক ফার্নিচারই পাওয়া যায় যা এক সাথে অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়।
তাই উপযোগিতার কথা মাথায় রেখে ফার্নিচার কিনুন।যেমন, হাতিলের ফোল্ডিং টেবিল বা ওয়াল মাউন্টেড বেডের মতো স্মার্টফিট ক্যাটাগরির আসবাব রাখতে পারেন বাচ্চাদের রুমে। এতে করে অনেক জায়গাও বাঁচলো আবার তাদের স্বতস্ফূর্ত ব্যবহারও নিশ্চিত হলো।
একের অধিক বাচ্চাদের জন্য বাংক বেড অনেক কার্যকরী ও যুগোপযোগী একটি সমাধান। এতে মেঝে খালিও থাকলো, আবার বন্ধুদের নাইট আউটেও জায়গা করা নিয়ে কোন চিন্তা থাকলো না।
রুম বড় হলে এতে আনুসাঙ্গিক কিছু আসবাব রাখার কথা ভাবতে পারেন। রুমে ছোট একটি দোলনা, ডিভান বা এক্সেন্ট চেয়ার বাচ্চাদের রুমে নান্দনিক একটি ভাব এনে দিবে।
আসবাবের উচ্চতাঃ শিশুরা স্বভাবজত ভাবেই দুরন্ত আর ছটফটে হয়ে থাকে। তাই আগেই বলেছি, তাদের ঘরের মেঝে যতটুকু সম্ভব খালি রাখাই উচিত, যাতে করে তাদের খেলাধুলা কোনভাবে বাঁধাগ্রস্ত না হয়।
রুমের আসবাব বা সাজসজ্জার কারণে আপনার বাচ্চা যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, এই দিকটি লক্ষ্য রাখুন। তার উচ্চতা অনুযায়ী আসবাবপত্র কিনুন।
এক্ষেত্রে উচ্চতা বেশি এমন আসবাবের থেকে প্রাধান্য দিতে হবে নিচু আসবাবের প্রতি। কাঁচ বা লোহার ভারী শো-পিস বাচ্চার ঘরে রাখা থেকে বিরত থাকুন।
স্টাডি কর্ণারঃ বাচ্চাদের ঘর আর স্টাডি কর্নার থাকবে না এমন কি হয়? সাধারণত এ ঘরে সবাই পড়ার টেবিল রেখেই ক্ষান্ত হোন। তবে রুমের এই অংশটিতে যে একটু বিশেষ মনযোগ দেয়া জরুরি এটা অনেকেই বোঝেন না।
রুমে একটি সুন্দর ও গোছানো স্টাডি কর্ণার আপনার বাচ্চাকে পড়াশুনাতে আরও মনযোগী ও আগ্রহী করে তুলবে। কিভাবে সাজাবেন এই অংশটি?
ঘরের এক কোণে একটি ওয়াল শেলফে পড়ার বই, গল্পের বই বা খেলনাগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে রাখুন। শেলফের ড্রয়ারগুলোতে কাপড়,রুমের অদরকারি জিনিসগুলি ঢুকিয়ে রাখতে পারবেন।
এতে বাড়তি করে বুকশেলফ বা অন্য কোন স্টোরেজ ইউনিট এর প্রয়োজন পড়ছে না। পাশেই রাখুন পড়ার টেবিল। টেবিলে কলমদানি, ঘড়ি, ফটোফ্রেম, প্রয়োজনীয় বই-খাতা দিয়ে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখুন।
জানালার ধারে টেবিলটি রাখতে পারলে পড়ার সময় পর্যাপ্ত আলো বাতাসের সরবরাহ থাকবে। রাতের জন্যও টেবিলের উপরে সরাসরি যেন আলো পড়ে এই ব্যবস্থা রাখুন।
চাইলে জানালার পাশে কিছু ছোট ছোট গাছ রাখতে পারেন। এতে ঘরের শোভা তো বাড়বেই, পড়তে বসলে মন ভালো হয়ে যাবে।বাড়তি পাওনা হিসবে বাচ্চাকে এসব গাছের যত্ন নিতে শেখান।
নিয়মিত গাছে পানি দেয়ার মতো ছোট একটি ব্যপারও তাদের মানবিক গুণাবলি উন্নীত করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্টোরেজঃ সব বাচ্চাদেরই ঘর ভর্তি খেলনা, বই-খাতা, কাপড়-চোপড় থাকে। তাই ঘরের যথেষ্ট স্টোরেজ স্পেস যে কতটুকু জরুরি, তা বলাই বাহুল্য। না হলে পুরোটা ঘর সবসময় অগোছালো হয়ে থাকবে। এই সমস্যা সমাধানে রুমের কোণে বড় ঝুড়ি রাখতে পারেন, যাতে সকল খেলনা ওখানে উঠিয়ে রাখা যায়।
আবার বুদ্ধি খাটিয়ে ফার্নিচারগুলোকেও যদি স্টোরেজ ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা! জায়গার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে যাতে ঘরটি আকর্ষনীয় হয়ে উঠে, এই দিকটিই বাচ্চাদের ঘর সাজানোতে মূখ্য হওয়া উচিত।
আনুসাঙ্গিক সাজসজ্জাঃ একটি ঘরের সাজে পূর্ণতা আসে ওই ঘরের আনুসাঙ্গিক সাজসজ্জাতে। বাচ্চাদের ঘর তাই বাচ্চাদের সাথে নিয়েই সাজান। তাদের আঁকা কোন ছবি ফ্রেমে বাঁধাই করে দেয়ালে লাগাতে পারেন।
রঙ্গিন কাগজের প্যাটার্ন, শিকল, ডার্ক লাইটিং স্টার, পছন্দের কার্টুন ক্যারেক্টারের পোস্টার বা একশন ফিগার, শো-পিস ইত্যাদি জিনিসগুলি হতে পারে আপনার বাচ্চার ঘরের আনুসাঙ্গিক সাজের অংশ।
ঘরের মেঝেতে যদি সুন্দর একটি কার্পেট বিছিয়ে দেন, বাচ্চারা সহজেই মেঝেতে বসে খেলাধুলা করতে পারবে, আবার পড়ে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে আসবে।
দেশের সেরা ফার্নিচার ব্র্যান্ড হাতিল থেকে খুব সহজেই আপনার বাচ্চার চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী আসবাবগুলো কিনে নিতে পারবেন। হাতিল ফার্নিচারের বিশেষ দিকটি হচ্ছে, প্রত্যেকটি ডিজাইনে ফার্নিচারের কার্যকারিতা ও উপযোগিতার দিকে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
আধুনিক এই ফার্নিচারগুলো আপনার বাচ্চার রুমে অনেক সুন্দর ভাবে মানিয়ে যাবে, আবার অনেক বছর ধরেও পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়বে না। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে বাচ্চার আপন ভুবনটি সাজিয়ে তুলতে পারেন নিচের এমন কিছু ফার্নিচার দিয়ে-
Illusion-144: অসম্ভব সুন্দর ডিজাইনের এই বাংক বেডটি আপনার বাচ্চাদের তো পছন্দ হবেই, সেই সাথে বাসায় আসা অতিথিদেরও যে নজর কাড়বে এ ব্যপারে সন্দিহান থাকতে পারেন।
স্পেস সেভিং এর ক্ষেত্রে বাংক বেড যে কতটুকু কার্যকরী এ নিয়ে তো আর্টিকেলে আগেই বলেছি, সেই সাথে হাতিলের এই বেডটি আপনার বাচ্চার ঘরের সৌন্দর্য ও অনেক বাড়িয়ে দিবে।
এই বেডটির নির্মাণশৈলীতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ব্যবহারকারীর সেইফটির উপর, তাই উপরের বাংকটিতে উঠার কাজে ব্যবহার করার জন্য আছে একটি অত্যন্ত শক্ত ও মজবুতভাবে তৈরী সিঁড়ি, সেই সাথে কেউ যাতে উপরের বেডটি থেকে পড়ে না যায়, এই বিষয়টি মাথায় রেখেই ডিজাইনটি করা হয়েছে।
বাচ্চাদের কল্পনাশক্তি বেশ প্রখর হয়ে থাকে। এই বেডটি তাদের কল্পনার রাজ্যে এক নতুন উপাদান যোগ করবে। আর সর্বোচ্চ আরাম নিশ্চিত করার ব্যপারটি তো আছেই।
ম্যাটেরিয়ালসঃ বেডটি তৈরী করা হয়েছে ক্লিন ড্রাইড ইম্পোর্টেড বিচ উড,ভিনইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ার্ড উড ও ভিনিইয়ার্ড এমডিএফ এর সমন্বয়ে। এই ধরনের কাঠগুলো অন্যান্য সকল কাঠ থেকে ছয় গুণ বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।
পুরো বেডের ডিজাইন জুড়েই আছে অসামান্য কারিগরির নিদর্শন। পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নিরাপদ ইটালিয়ান আলট্রা ভায়োলেট ল্যাকুয়ার এন্টিক কালারিং এর স্মুথ ফিনিশ বেডটির স্থায়িত্ব আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
Leonard-2010: গতানুগতিক ডিজাইনের বাইরে যদি কোন রিডিং টেবিল যদি আপনি খুঁজে থাকেন, নিঃসন্দেহে এটি বেছে নিতে পারেন। ডিজাইনের দিক থেকে অদ্বিতীয় ও চমৎকার এই পড়ার টেবিলের কার্যকারিতাও অনেক। একাধারে একটি রিডিং টেবিলের পাশাপাশি এটি শেলফের কাজ করবে।
কেননা, টেবিলের বামদিকের তাক গুলোতে চাইলেই আপনি আপনার বাচ্চার বই-খাতা, ফটোফ্রেম, ঘড়ি ইত্যাদি সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে পারবেন।
আবার ডানদিকে ছোট কাবার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন স্টোরেজ ইউনিট হিসেবে। এখানে নিচের দিকে যে ড্রয়ারটি আছে সেটিতে সহজেই বাচ্চার কাপড় বা ছোট-খাট খেলনা গুছিয়ে রাখতে পারবেন।
কাবার্ড ও ড্রয়ারের উপরের ফাঁকা জায়গাগুলোতে যদি কোন শো-পিস বা ইন্ডোর গাছপালা রাখেন, অসম্ভব সুন্দর দেখাবে। একই সাথে রিডিং টেবিল, স্টোরেজ ইউনিট ও শো-কেসের কাজ করবে এই অসাধারণ ডিজাইনের পণ্যটি।
ম্যাটেরিয়ালসঃ ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ডেনসিটি ও লোড বেয়ারিং ক্যাপাসিটি সম্পন্ন এই রিডিং টেবিলটি তৈরী করা হয়েছে সুপিরিওর কোয়ালিটির মেলামাইন ফেসড পার্টিকেল বোর্ড দিয়ে।
সমসাময়িক হোমাজ লাইনে করা হয়েছে একই কালার এজ বেন্ডিং। টেবিলটিকে টেকসই ও মজবুত করতে আরও ব্যবহার করা হয়েছে ইম্পোর্টেড কোয়ালিটির হার্ডওয়ার ফিটিং। অত্যন্ত সাশ্রয়ী দামে এই আধুনিক ও কার্যকরী টেবিলটিতে সেরা মান নিশ্চিত করা হয়েছে।
Opus-303: আপনার বাচ্চার ঘরটি যদি তুলনামূলক ছোট হয়ে থাকে এবং একটু কম খরচের মধ্যেই সোনামনির জন্য সেরা পড়ার টেবিলটি নিতে চাচ্ছেন, তাহলে এটি আপনার জন্য একটি আদর্শ ফার্নিচার।
এতে টেবিলের সাথে একটি মেটালিক স্ট্রাকচার দিয়ে চেয়ারটি সংযুক্ত করে দেয়া আছে- যা সচরাচর অন্য কোন রিডিং টেবিলে চোখে পড়ে না।
তাই চেয়ারের জন্য বাড়তি খরচের প্রয়োজন নেই। টেবিলের নিচের অংশে কাঠের একটি তাকে বাচ্চার বই-খাতা বা আলাদা জিনিসপ্ত্র গুছিয়ে রাখতে পারবেন।
ইবোনি, আমেরিকান টিক, গ্রে , ব্ল্যাক- এই চারটি রঙ থেকে আপনার বাচ্চার ঘরের সাথে মানানসই টেবিলটি পছন্দ করার সুযোগও থাকছে এতে।
অদ্বিতীয় ডিজাইনের এই আরামদায়ক টেবিলটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার শিশুর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি যে কারোরই নজর কাড়বে। আর দামটাও একদম হাতের নাগালে।
ম্যাটেরিয়ালসঃ সমসাময়িক ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন জাপানিজ সিএনসি মেশিনের মাধ্যমে ৯৯.৯% একুরেসিতে এই রিডিং টেবিলটির কাটিং এবং ব্লেন্ডিং করা হয়েছে। সেই সাথে সেরা মান ও দীর্ঘ স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে এতে ওয়েল্ডিং করা হয়েছে মেটাল ইনার্ট গ্যাসের।
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ডেনসিটি ও লোড বেয়ারিং ক্যাপাসিটি সম্পন্ন এই রিডিং টেবিলটি তৈরী করা হয়েছে সুপিরিওর কোয়ালিটির মেলামাইন ফেসড পার্টিকেল বোর্ড দিয়ে। সমসাময়িক হোমাজ লাইনে করা হয়েছে একই কালার এজ বেন্ডিং এবং টেবিলের ধাতব অংশটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ক্রোম ফিনিশড মাইল্ড ষ্টীলের।
বাচ্চাদের স্বনির্ভর হয়ে উঠার পেছনে একটি নিজস্ব ঘর থাকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে। ছোটবেলাতেই তার ঘর আলাদা করে দিয়ে তাকে সেই ঘর গোছানো, ঘরের প্রতিটি জিনিসের যত্ন শেখান। বেড়ে উঠার শুরুতেই যদি তাকে এই দিকগুলোর শিক্ষা দেয়া হয়, পূর্ণ মানসিক ও শারিরীক বিকাশটি আরও অনেক দ্রুত ঘটবে।
তার প্রয়োজন ও পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে ঘরটি সাজান, যাতে ঘরের প্রতিটি জিনিসের সাথে তার একটি সম্পর্ক গড়ে উঠে। নিজের জিনিসের দায়িত্ব নিতে গিয়েই সে একজন দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
আশা করি, আপনার বাচ্চার ঘরটি কেমন করে এবং কেন সাজিয়ে নিবেন, এ বিষয়ক সকল নির্দেশনা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে পেয়ে গেছেন, এবার শুধু সাজানোর পালা। আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য রইলো শুভকামনা।