সাজানো রান্নাঘর একদম গৃহিণীর মনের মতো 

প্রতিটা বাড়ির কর্ত্রীই চান তার রান্নাঘরটা হবে একটু খোলামেলা আর যথেষ্ট আধুনিক। আমাদের আজকের ব্লগটি বাড়ির কর্ত্রীকে তার মনের মতো কিচেন সাজাতে খানিকটা হেল্প করতে পারবে বলে আশা করি। 

 

কিচেন নিয়ে কেমন প্ল্যানিং? 

সবচেয়ে বড় প্ল্যানিংটা হলো কিচেনের লে-আউট নিয়ে। কিচেনকে সবসময় তিন ভাগে ভাগ করে লে-আউট চিন্তা করা উচিৎ- কাটাকুটি ও অন্যান্য প্রিপারেশনের জায়গা, রান্নার জায়গা, এবং ধোয়ামোছার জায়গা। এই প্রতিটা জায়গার মধ্যেই কিছুটা দুরত্ব থাকা খুব জরুরি। এই স্পেসগুলো একবার ডিসাইড করে ফেললে বাকি কিচেনের সেটআপ রেডি করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এর পরের প্ল্যানিংটা করতে হবে কিচেনে কোথায় কোথায় ক্যাবিনেট, ড্রয়ার আর শেলফ বসানোর জায়গা আছে সেটা নিয়ে। একটা স্মার্ট টেকনিক হলো- কিচেনের কর্ণারগুলোতে শেলফ বা ড্রয়ার রাখা কারণ এতে অনেকটা জায়গা বেঁচে যায়। ড্রয়ারগুলো হওয়া উচিৎ ডিপ যাতে ভেতরে বড় জিনিসও অনায়াসে রাখা যায়। কিচেনে যদি হাঁটাচলাই করতে না পারেন, তাহলে কাজ করবেন কীভাবে! 

banner

 

মাল্টিপারপাজ ফার্নিচার 

আধুনিক ফ্ল্যাটে কিচেন ছোটো হয়। এসব কিচেনে আর কতটুকুই বা স্পেস বের করা যায়! তাই সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হলো মাল্টিপারপাজ ক্যাবিনেট, শেলফ ইত্যাদি ব্যবহার করা। তাহলে একটা ফার্নিচারকে একাধিক কাজে লাগানো যাবে। যেমনঃ ভার্টিকাল শেলফ পাওয়া যায় কিচেনের জন্য। পাশাপাশি রাখলে যে জায়গা লাগে, সেই জায়গাটুকু এক্ষেত্রে বেঁচে যায়।  আরেকটা স্মার্ট উপায় হলো কিচেন ক্যাবিনেট ব্যবহার করা। হাতিল কিচেন কালেকশন ভিজিট করলেই পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের ক্যাবিনেট! 

 

আলো আর রঙের খেলা 

সবচেয়ে ভালো হয় কিচেনে ন্যাচারাল লাইট আসলে। কিন্তু সবার কিচেনের সামনেটা খোলামেলা হয় না। রোদের আলো না আসলেও সমস্যা নেই। কিচেনে পর্যাপ্ত লাইটিং রাখলেই কাজের পরিবেশটা বেশ প্রাণবন্ত হয়ে যাবে। আলোকজ্জ্বল কিচেন দেখতেও কিছুটা বড় মনে হয়। কাটাবাছা এবং অন্যান্য কাজেও বেশ সুবিধা হয়। এছাড়া, একটা স্মার্ট হ্যাক হলো কিচেনে ব্রাইট কালার ব্যবহার করা। সাথে যদি শেলফ, ক্যাবিনেট, কিচেনটপ ইত্যাদির কর্ণার এবং লাইনিংয়ে ডার্ক কালার ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে পুরো কিচেনে এক ধরনের আভিজাত্য ছেয়ে যাবে! এক্ষেত্রে হাতিল-এর কিচেন ক্যাবিনেট যুগের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে। এর ডোরগুলো হাই গ্লস অ্যাক্রিলিক ফিনিশ দেওয়ার কারণে কিচেনে আলো রিফ্লেক্ট করে বেশি। ফলে কিচেনটা দেখতেও স্পেশাস দেখায়। 

স্মার্ট ফার্নিচার মানেই স্মুথ কাজকর্ম 

কিচেনের ড্রয়ার, ক্যাবিনেট ডোর এবং শেলফের ফিনিশিং হওয়া উচিৎ সফট-ক্লোজ কব্জা দিয়ে বানানো যাতে খোলা-বন্ধ করার সময় ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ না হয় কিংবা জোরে টান-ধাক্কা দেওয়া না লাগে। স্মুথ ফার্নিচার ব্যবহারের মজাটাই আলাদা! ক্যাবিনেট সেটের সাথেই ওয়াল হ্যাঙ্গার থাকে। এই হ্যাঙ্গারগুলো চামচ, খুন্তি, ছাঁকনির মতো আইটেমগুলো গুছিয়ে এবং হাতের কাছে রাখে, ফলে কাজ হয় আরও স্মুথ। এছাড়াও, ওভেন, ব্লেন্ডার ইত্যাদি রাখার জন্য বিল্ট-ইন শেলফ থাকে আধুনিক কিচেনে। এতেও অনেকখানি স্পেস বাঁচে। হাতিল-এর মডিউলার কিচেন বানানোর সময়ও আপনি এরকম বিল্ট-ইন স্পেস তৈরি করে নিতে পারবেন। ইদানিং মার্কেটে রোটেটিং শেলফ বা লেজি সুসান পাওয়া যায়। ছোটোখাটো জিনিস যেগুলো যখন-তখনই ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে, সেগুলো এখানে রাখলে দরকার অনুযায়ী ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বের করা যায়, ঝামেলা কম হয়। 

অ্যাস্থেটিকসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ 

যত প্ল্যানিং আর ডেকোরেশনই করুন না কেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে কোনো কিচেনই ভালো দেখায় না। কাজ করেও কোনো আরাম নেই। তাই অতিরিক্ত জিনিসপত্র মাঝে মাঝেই ডিক্লাটার করা উচিৎ। পাশাপাশি, স্টোভ, এক্সহস্ট ফ্যান, শেলফ ইত্যাদি অন্তত দু’সপ্তাহে একবার এবং সিংকের ড্রেইনেজ ও পাইপ নিয়মিত পরিষ্কার করা খুব জরুরি। একটা ছিমছাম হাইজেনিক কিচেনই তো অ্যাস্থেটিক কিচেন! 

 

পরিশেষে

কিচেনে সবচেয়ে বেশি সময় কাটান ঘরের কর্ত্রী। সুতরাং, নিজের মনের মতো করে কিচেন সাজিয়ে নেয়াটা তিনি ডিজার্ভ করেন। আর তাকে একটা চমৎকার কিচেন মেইনটেইন করতে হেল্প করা পরিবারের প্রতিটা সদস্যের শুধু দায়িত্বই নয়, ভালোবাসার প্রকাশও বটে! 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।