কর্মক্ষেত্রে দিনভর নানান কাজেই ব্যস্ত থাকতে হয় কমবেশি সকলকেই। এই ব্যস্ততায় একটুখানি স্বস্তি এনে দেয় কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ। সেই পরিবেশে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে বসার জায়গা। বসার জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করলে কাজেও মনোযোগ ধরে রাখাটা একটু কঠিন। তাই বসার মাধ্যম হিসেবে চেয়ারের প্রতি দিতে হবে আলাদা গুরুত্ব।
কর্মক্ষেত্রে যারা চেয়ারে বসে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে ফার্ণিচার ব্র্যান্ডগুলোতে অনেক অপশনই দেখা যায়। সুইভেল চেয়ার, ফিক্সড চেয়ার, ভিজিটর চেয়ার, এক্সিকিউটিভ চেয়ারসহ নানা ধরণ আর ডিজাইনের এসব চেয়ারের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গায় ভিন্নতা রয়েছে। আজকের এই লেখায় সেসব নিয়েই থাকছে আলোচনা।
সুইভেল চেয়ারের গুরুত্ব কতটা?
সুইভেল চেয়ারকে বলা হয় কর্মক্ষেত্রের প্রাণ। এই চেয়ার ফ্লেক্সিবল হওয়ায় এতে বসে অফিসের কাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার হার বেশি। তাছাড়া, ফার্ণিচার ব্র্যান্ডগুলোতে সুইভেল চেয়ারের অসংখ্য ডিজাইন দেখতে পাওয়া যায় যার মধ্যে থেকে আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রের জন্য সেরা চেয়ারটি বেছে নিতে পারেন। এই চেয়ার ব্যবহারে কর্মক্ষেত্রে যেমন স্বাচ্ছন্দ্য আসবে তেমনি কাজের প্রতি বাড়বে মনোযোগও।
বাংলাদেশের ফার্ণিচার ব্র্যান্ড হাতিল গেল বেশ কয়েক বছর ধরেই সুইভেল চেয়ার নিয়ে কাজ করছে। হাতিল এর কিছু সুইভেল চেয়ার সুপিরিয়র কোয়ালিটির ক্রোম প্লেটেড মাইল্ড স্টিল এবং নাইলন বেজ দিয়ে তৈরি। সর্বশেষ জাপানিজ সিএনসি মেশিনে কাটিং এবং বেন্ডিং সম্পন্ন এসব চেয়ার পছন্দের ফেব্রিক কালারেই কিনতে পারবেন।
আবার কিছু সুইভেল চেয়ার কিল্ন ড্রাইড ইম্পোর্টেড বিচ উড এবং ভেনিয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারড উড দিয়ে তৈরি করে থাকে হাতিল। এক্ষেত্রে উচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব ইতালিয়ান আল্ট্রা ভায়োলেট এবং পলি ইউরিথ্রিন লেক্যুয়ার অ্যান্টিক ফিনিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এসব চেয়ার তৈরিতে। শতভাগ পরিবেশ বান্ধব উপায়ে তৈরি এই চেয়ারগুলো ব্যবহারে পরিবেশের জন্যও ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই।
হাতিল এর সকল সুইভেল চেয়ারের ডিজাইন দেখুন এখানে।
উধ্বর্তন পদগুলোয় সুইভেলের আধিক্য
অফিসের সাধারণ কর্মীদের পরের পদ হিসেবেই ভাবা হয় মিড লেভেলকে, যার কেতাবি নাম মিড লেভেল এক্সিকিউটিভ। এই পদে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ পদ থেকে সুযোগ সুবিধা বেশি থাকে। সেই সুবিধার একটি উদাহরণ হতে পারে রুম স্পেসের ফার্ণিচার যেখানে টেবিল কিংবা চেয়ারের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রিমিয়াম কোয়ালিটির আধিক্য দেখা যায়। এক্ষেত্রে চেয়ারের জন্য সুইভেল চেয়ার হতে পারে প্রথম পছন্দ। সুইভেল চেয়ারে ফ্লেক্সিবল হওয়ায় এটা ব্যবহারে বরাবরই স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বলে আসছেন ক্রেতারা। মিড লেভেলে যারা কাজ করেন তাদের সাধারণত কাজের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী এবং উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলতে হয়। তাই কাজের এত চাপের মধ্যে স্বস্তি এনে দিতে পারে স্বাচ্ছন্দ্যময় সুইভেল চেয়ার।
মিড লেভেল এক্সিকিউটিভদের জন্য দেশের ফার্ণিচার ব্র্যান্ড বিশেষ করে হাতিল বিশেষ কিছু চেয়ারের ডিজাইন এবং বাজারজাত করেছে। উন্নত মানের হার্ডওয়্যার ফিটিং এবং সর্বশেষ প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি এসব চেয়ার মান বিবেচনায় বাজারের সেরা হিসেবে গণ্য।
হাতিল এর সকল মিড লেভেল এক্সিকিউটিভ চেয়ারের ডিজাইন দেখুন এখানে।
মিড লেভেলের পরের ধাপ অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ পর্যায়েও সমানভাবে সুইভেল চেয়ারকেই পছন্দের শীর্ষে রাখেন এই পদের চাকুরিজীবীরা। তাদের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে নীতিনির্ধারকরাও সুইভেল চেয়ারেই আস্থা রাখেন।
এক্সিকিউটিভরা সাধারণত অফিসে আলাদা কক্ষে বসেন৷ সেখানে তারা রুম স্পেসও বেশি পেয়ে থাকেন৷ ফ্লেক্সিবল এসব চেয়ারের জায়গা বেশি প্রয়োজন হওয়ায় কক্ষটি সুইভেল চেয়ারের জন্যও মানানসই হবে। হাতিল তাদের অসংখ্য ভিন্ন ডিজাইনের চেয়ারের মধ্যে এক্সিকিউটিভ চেয়ারের আলাদা কালেকশন রেখেছে যেখান থেকে পছন্দের এক্সিকিউটিভ চেয়ারটি সহজেই বেছে নেওয়া সম্ভব।
হাতিল এর সকল এক্সিকিউটিভ চেয়ারের ডিজাইন দেখুন এখানে।
অফিসে এক্সিকিউটিভের পরের পদটি চিফ এক্সিকিউটিভের। অফিসের শীর্ষ এই পদে যিনি বসেন তার বসার চেয়ারটির ক্ষেত্রে সুইভেল চেয়ারের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
অফিসের চিফ এক্সিকিউটিভকে সারাদিন নানা জনের সাথে কথা বলতে হয়, মিটিং করতে হয়, নিতে হয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এতসব কাজ একটানা চেয়ারে বসেই করে যেতে হয় তাকে। এক্ষেত্রে চেয়ারটি যদি স্বস্তি কিংবা আরামদায়ক না হয় তাহলে কোমর, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশেই শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য সুইভেল চেয়ার হতে পারে সেরা সমাধান। এই চেয়ার ব্যবহারে স্বস্তি এবং আরাম দুটোই মিলবে। অফিসের কাজে থাকবে গতিও।
হাতিল এর সকল চিফ এক্সিকিউটিভ চেয়ারের ডিজাইন দেখুন এখানে।
ফিক্সড চেয়ারে স্বাচ্ছন্দ্যের খোঁজ
কর্মক্ষেত্রে সুইভেল চেয়ারের পাশপাশি প্রচলিত আরেকটি চেয়ার হচ্ছে ফিক্সড চেয়ার। এই চেয়ারগুলো সুইভেল চেয়ার এর মতো ফ্লেক্সিবল না হওয়ায় সটান হয়ে একই ভঙ্গিমায় বসে থাকতে হয়। বাজারে অবশ্য এর যথেষ্ট চাহিদা লক্ষণীয়। এই চেয়ারের চাহিদা বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ এর সুপিরিয়র কোয়ালিটি। ভিন্ন ভিন্ন কালার কম্বিনেশন এবং ডিজাইনের কারণে অনেকেরই পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এই চেয়ার। বিশেষ করে অফিস স্পেসের জন্য বেশ উপযোগী এই চেয়ার।
হাতিল এর কিছু ফিক্সড চেয়ার কিল্ন ড্রাইড ইম্পোর্টেড বিচ উড, ভেনিয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারড উড এবং ক্রোম ফিনিশড মাইল্ড স্টিলের কম্বিনেশনে তৈরি হলেও কিছু চেয়ার আছে যেগুলো ক্রোম প্লেটেড মাইল্ড স্টিল দিয়ে তৈরি। কোয়ালিটিসম্পন্ন এবং টেকসই এসব চেয়ার বছরের পর বছর টিকে থাকে।
তাছাড়া অফিস স্পেসের আয়তন বিবেচনায় প্রফেশনাল এপ্রোচ আনতে এবং নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ফিক্সড চেয়ারেই নির্ভর করে থাকে কর্পোরেট হাউজগুলো।
হাতিল এর সকল ফিক্সড চেয়ারের ডিজাইন দেখুন এখানে।
ভিজিটর চেয়ারও দরকারি
অফিসে প্রায়ই বাইরে থেকে অতিথির আগমন ঘটে, আসেন গ্রাহকরাও। এদের বসার জন্য সবচেয়ে উপযোগী হচ্ছে ভিজিটর চেয়ার। অফিসের প্রতিটি কক্ষেই ভিজিটর চেয়ারের প্রয়োজন হয়। এজন্য এই চেয়ারের পরিমাণও বেশি দরকার হয়।
গতানুগতিক ডিজাইন ছাড়াও ভিন্ন ধর্মী ডিজাইনের ভিজিটর চেয়ার বিক্রি করে থাকে ফার্ণিচার ব্র্যান্ডগুলো। এক্ষেত্রে সিঙ্গেল ছাড়াও ডাবল সিটারের ভিজিটর চেয়ারও বিক্রি করছে ফার্ণিচার ব্র্যান্ড হাতিল। অফিসের পরিবেশে নতুনত্ব আনতে চাইলে এই ধরনের চেয়ারও রাখতে পারেন ভিজিটরদের জন্য।
হাতিল এর সকল ভিজিটর চেয়ারের ডিজাইন দেখুন এখানে।