ঘরে বয়োবৃদ্ধ কেউ থাকলে তাকে নিয়ে সবসময়ই বাড়তি চিন্তা থাকাটাই স্বাভাবিক। তার খাওয়াদাওয়া, ঘুম, সুস্থতা সর্বোপরি তার জন্য স্বস্তিদায়ক একটি পরিবেশ সৃষ্টিতে মনোযোগ পরিবারের সকলেরই। সেই মনোযোগের কতটা জুড়ে আছে ফার্নিচারের ভাবনা?
ঘরে বাড়তি ফার্নিচার এড়ানো উচিত
পরিবারের প্রবীণ বা বয়োবৃদ্ধ সদস্যরা যে ঘরে থাকেন সে ঘরটি ঘিরেই তাদের জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা করা হয়ে থাকে। কারণ, প্রবীণ সদস্যরা সাধারণত ঘর থেকে খুব একটা বের হন না। আর হলেও সেটা লিভিং রুম বা বারান্দা অবধি। প্রবীণদের সর্বোচ্চ আরাম নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সুবিধাজনক ফার্নিচার বা আসবাব। তাদের জন্য প্রতিটি আসবাব বাছাইয়ের সময় তাঁদের সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রবীণদের ঘর একটু খোলামেলা রাখাই ভালো। ঘরে বেশি আসবাব ও অন্য জিনিসপত্র না রাখতেই সাধারণত পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এতে করে ঘরে তাদের চলাফেরার সুবিধা হয়। ঘরে আসবাবগুলো রাখার সময় খেয়াল রাখতে হয় যেন আরামদায়ক এবং স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার উপযোগী হয়।
একটু নিচু খাটে স্বস্তি
বয়স হলে বয়োবৃদ্ধদের জন্য বিছানা থেকে ওঠা-বসাটা একটু কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই খাট কিনতে হবে মাপমতো। যেন খুব উঁচুও না হয়, আবার খুব নিচুও না হয়ে যায়। খাটে বসে পায়ের পাতা যেন মেঝেতে লেগে থাকে, এমন খাটই ব্যবহার করতে হবে।
বয়োবৃদ্ধদের ঘরের খাট জানালার সামনে রাখা ভালো। খুব বেশি গরম পড়লে বিছানার কাছে খোলা জানালা থাকলে তা কিছুটা হলেও শান্তি দেবে।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে যখন বাজারে খাট কিনতে যাবেন তখন কোয়ালিটির সাথে সাথে টেকসই ভাবনাটাও মাথায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ হতে পারে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড হাতিলের খাটগুলো। হাতিলের বেশকিছু ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের খাট আছে, যেগুলো বয়োবৃদ্ধদের জন্য পুরোপুরি মানানসই। কারণ কিছুটা নিচু এই খাটগুলো ব্যবহার করে বয়োবৃদ্ধরা যেমন আারাম পাবেন তেমনি টেকসই এই খাটগুলো টিকে থাকবেও বহুদিন। হাতিলের বাহারি ও উন্নতমানের বিভিন্ন খাটের ক্যাটালগ দেখুন এখানে।
বেডসাইড টেবিলে প্রয়োজনীয় জিনিস
বয়োবৃদ্ধদের সবসময় কিছু না কিছু প্রয়োজন হয়ই, সেটা হয় ওষুধ, নয় তো পান-জর্দা কিংবা নিত্য দরকারি পথ্য। এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো হাতের কাছে থাকলে বাড়তি সুবিধাই হয় বয়োবৃদ্ধ মানুষগুলোর। এক্ষেত্রে সমাধান হয়ে আসতে পারে বেডসাইড টেবিল। খাটের পাশে থাকা এসব বেডসাইড টেবিল বয়োবৃদ্ধদের জন্য বেশ উপকারী হয়ে উঠতে পারে। টেবিলের উপর এবং টেবিলের একাধিক ড্রয়ারকে বয়োবৃদ্ধদের নানান প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার জন্য ব্যবহার করা যাবে। এ ধরনের কিছু বেডসাইড টেবিলের ক্যাটালগ দেখুন এখানে।
শুধুই খাটেই কি সারাদিন?
বয়োবৃদ্ধদের ঘরে ফার্নিচার কম থাকবে মানেই যে শুধু খাট কিংবা সাইডটেবিল থাকবে এমন নয়। উক্ত বয়সী মানুষেরা যে সারাদিন খাটেই শুয়ে থাকেন বিষয়টি কিন্তু এমনও নয়। তাদেরও এক জায়গায় শুয়ে বসে থাকতে বিরক্ত লাগে, তারাও চান একটু হাঁটাহাটি করতে, আলো বাতাস গায়ে মাখতে। সেই ভাবনায় সাধারণ কিংবা রকিং চেয়ার হতে পারে সেরা সমাধান। জানালার পাশে রাখা চেয়ারে বসে গরম চায়ের সাথে সকালের পত্রিকায় বেশ ভালো সময়ই কাটাতে পারেন এই বয়সী মানুষেরা। এক্ষেত্রে চেয়ার নির্বাচনে থাকা চাই সতর্ক নজর। সময় কাটাতে যদি বই বা পত্রিকা পড়ার ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে ইজি এবং রকিং এই দুই ধরনের চেয়ারই উপযোগী বয়োবৃদ্ধদের জন্য। আরাম করে বসে এসব চেয়ারে দিব্যি দীর্ঘক্ষণ কাটিয়ে দেওয়া যায় বইয়ের রাজ্যে। সাধ্য আর রুচির মিশিলে সহজেই বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের জন্য এই ধরনের চেয়ার কিনে ফেলতে পারেন হাতিলের নিকটস্থ শো-রুম থেকে। ইজি চেয়ারের বেশ কিছু ডিজাইন দেখুন এখানে। রকিং চেয়ারের বেশ কিছু ডিজাইন দেখতে পারেন এখান থেকে।
বয়োবৃদ্ধরা অবসর কাটাতে যে বই পড়েন সেগুলো রাখতে ছোটখাটো বুক সেলফ রাখা যেতে পারে রুমে। ফিকশন, নন-ফিকশন কিংবা ধর্মীয় গ্রন্থ সাজিয়ে রাখতে পারেন বুক সেলফে। সাধারণ কিন্তু টেকসই ও উন্নতমানের ডিজাইনের ছোটখাটো এসব বুকসেলফে চাইলে বয়োবৃদ্ধদের অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসও রাখা যাবে। হাতিলের এ ধরনের কিছু বুকসেলফের ব্যাপারে জানুন এখান থেকে৷
কাপড় রাখা হবে কোথায়?
বয়োবৃদ্ধদের রুমে রাখার জন্য খাটের কথা হলো, হলো অবসর কাটানোর সঙ্গী চেয়ার এবং বুকসেলফের কথাও। কিন্তু জরুরি আরেকটা ফার্নিচারের ব্যাপারে ভুলে গেলে চলবে না একদম। আর তা হচ্ছে কাপড় রাখার স্থান। এক্ষেত্রে সহজে ব্যবহারযোগ্য ওয়ারড্রব ব্যবহার করা যেতে পারে রুমে। ওয়ারড্রব ক্রয়ের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, এটি যাতে সহজে খোলা যায় এবং তাকগুলো যাতে খুব বেশি উঁচু না হয়। এ ধরনের কিছু ওয়ারড্রবের ডিজাইন দেখে নিতে পারেন এখান থেকে।
ওয়ারড্রব কেনার সময় চাইলে একের ভেতর দুই সুবিধা পাওয়ার চিন্তাও করতে পারেন। এখন বাজারে কিছু ওয়ারড্রব পাওয়া যায় যেগুলোর ড্রয়ার কেবিনেটের এক বা দুই পাশেই খোলা তাক রয়েছে যেখানে চাইলেই বই বা বয়োবৃদ্ধদের অন্যান্য নিত্য ব্যবহার্য জিনিস রাখা যেতে পারে। এতে করে
আলাদাভাবে আর বুকসেলফ কেনার চিন্তা করতে হবে না। এই ধরনের একটি ওয়ারড্রব দেখুন এখানে।