Taking Care of Your Furnitures Taking Care of Your Furnitures

ফার্নিচার (Furniture) ও ফার্নিচারের যত্ন নেওয়ার সহজ ৬টি উপায়

ফার্নিচার (Furniture) মানেই ধরে নেয়া যায় মোটামুটি বড় এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। এমন তো নয় যে আমরা প্রতি বছর আসবাব শপিং এ যাই; এটি বাজেট বান্ধব যেমন নয় তেমন ব্যবহারিকও নয় এবং আরো বড় কথা হচ্ছে এত প্রয়োজনীয়ও নেই।

কাস্টমার সবসময় আশা করে যে এমন আসবাবপত্র কিনবে যেগুলো টিকে থাকবে। সুতরাং, এগুলি কেনার সময় আমাদের কিছুটা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার প্রবণতা থাকে, যেটি খুবই স্বাভাবিক। তবে অন্য যে কোনও জিনিসের মতো, আসবাবেরও যত্নআত্তি করার প্রয়োজন।

রক্ষনাবেক্ষন না করে তো আর আশা করা যায় না কোন জিনিস বছরের পর বছর ধরে টিকে থাকবে। কিছুটা সাবধানতার সাথে নিয়মিত ভাবে যথাযথ যত্ন সহ, আপনার আসবাব আপনার প্রত্যাশার চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

আজ আমরা আপনার আসবাবগুলি যত্ন নেওয়ার বিষয়ে কিছু সাধারন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। তবে তার আগে জেনে নেয়া যাক ফার্নিচার আসলে কি?

ফার্নিচার কি?

ফার্ণিচার কি?

ফার্নিচার শব্দটি এসেছে ফরাসি ফোরনিচার থেকে, যার অর্থ সরঞ্জাম। আসবাবপত্র, গৃহস্থালীর সরঞ্জাম, সাধারণত কাঠ, ধাতু, প্লাস্টিক, মার্বেল, কাচ, কাপড়, বা এই সম্পর্কিত উপকরণ দিয়ে তৈরি যা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এবং বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

ফার্নিচার অর্থাৎ আসবাবপত্রের রেঞ্জ সাধারণ চেয়ার বা স্টুল  থেকে শুরু করে সবচেয়ে বিস্তৃত মার্কেট্রি ওয়ার্ক ক্যাবিনেট বা গিল্ডেড কনসোল টেবিল পর্যন্ত বলা হয়ে থাকে। এটি সত্যি একটি বিস্তৃত কিছু।

আসবাবপত্রের কার্যকরীতা এবং আলংকারিক নকশা গুলো যুগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফ্যাশন অনুসারে একেবারে গোড়ার দিক থেকেই কমবেশি জোর দেওয়া হয়েছে। চেয়ার সবসময় বসার জন্য, তবে এর মধ্যেও বিবেচনার মতো অনেক কিছু অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে, কিছু অন্যগুলোর তুলনায় আরো আরামদায়ক বা আরো বেশি অলঙ্কৃত।

২০ শতকের মাঝামাঝি থেকে, প্লাস্টিকের মতো সম্পূর্ণ নতুন কৃত্রিম উপকরণ এবং ঢালাইয়ের মতো সম্পূর্ণ নতুন তৈরি কৌশল সহ, আসবাবপত্রের ধারণার একটি আমূল সংশোধনের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। যা দিন দিন আরো উন্নত হয়েছে।

আধুনিক জীবনে মর্ডান ও স্টাইলিস্ট ফার্ণিচারের প্রয়োজনীয়তা

আধুনিক জীবনে মর্ডান ও স্টাইলিস্ট ফার্ণিচারের প্রয়োজনীয়তা

আধুনিক আসবাবপত্র ডিজাইনের জনপ্রিয়তা মধ্য শতাব্দীতে শুরু হয়েছিল। এটি ব্যাবহারকারীদের প্রয়োজন আরো সহজে সম্পন্ন করতে এবং এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে কার্যকরী আসবাবপত্র যাতে নান্দনিকতা রয়েছে।

কেন আধুনিক আসবাবপত্র গুরুত্বপূর্ণ? খেয়াল করলে দেখতে পাবেন এটি আসলে আপনার জীবনধারা এবং নিজেকে প্রকাশ করার নিখুঁত উপায়।

আপনার ঘরকে জীবন্ত করার সর্বোত্তম উপায় হল অনন্য এবং সমসাময়িক আধুনিক আসবাবপত্র ব্যবহার করা যা আপনি বর্তমানে খুঁজে পেতে পারেন। যে কেউ ঘরে প্রবেশ করে তার জন্যই মডার্ন ফার্নিচার গুলো আরামদায়ক পরিবেশ নিয়ে আসে।

আধুনিক আসবাবপত্র সম্পর্কে একটি দুর্দান্ত জিনিস হল আসবাবপত্রের একটি নির্দিষ্ট শৈলী নেই। প্রবণতা পরিবর্তনের সাথে সাথে আধুনিক আসবাবপত্র নিরবধি। সবাইকে নির্বাক রেখে আপনার স্থানকে আপনার কাছে অনন্য রাখে।

যাই হোক, চেহারাই একমাত্র জিনিস নয় যা আধুনিক আসবাবপত্রকে আশ্চর্যজনক করে তোলে। তাদের মডেল ও ডিসাইন গুলো আমাদের উদ্দেশ্যকে আরো বেশি কার্যকর ও সম্ভব করে তোলে যার প্রতিটি পদক্ষেপে আধুনিকতা রয়েছে।

একটি অফিস এর পরিবেশ এর ক্ষেত্রে, অফিসে আসবাবপত্র ব্যবহার করা শুধুমাত্র গ্রাহকদের আকর্ষণ করে না, এটি কর্মীদের উত্পাদনশীলতা বাড়ায়, তাদের কাজের প্রতি ভালোবাসা এবং উদ্দীপিত বোধ করায়।

আধুনিক আসবাব গুলো আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব নিয়ে আসে। আধুনিক ডিজাইনাররা আরও শৈল্পিক স্পর্শের সাথে নতুন ধারণা অনুসরণ করে। নতুন উপকরণ ব্যবহার করার ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা করেছে।

বাংলাদেশের ফার্নিচার অগ্রযাত্রায় হাতিল ফার্ণিচারের ভূমিকা

বাংলাদেশের ফার্ণিচার অগ্রযাত্রায় হাতিল ফার্ণিচারের ভূমিকা

হাতিল ফার্নিচার হল আধুনিক ডিজাইন এবং আধুনিক আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে একটি শিল্প নেতা। পরিবর্তিত শৈলীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমরা সর্বদা সর্বশেষ আধুনিক আসবাবপত্রের প্রবণতার প্রান্তে আছি। তারা সর্বদা তাদের  ক্যাটালগ আপডেট করে এবং আধুনিক আসবাবপত্রে বক্ররেখা থেকে এগিয়ে থাকার জন্য নতুন ডিজাইন এর সাথে কাজ করে।

অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে

অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে হাতিল ফার্নিচার অনবদ্দ ভূমিকা রেখেছে। তাদের অত্যাধুনিক ডিজাইন যা গ্রাহকদের আরো বেশি আকৃষ্ট করে এবং দেশের বাইরে একই সম্ভাবনা মাথা চারা দিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের ফার্নিচার ব্যবসাকে একটি ভিন্ন পর্যায়ে নিতে সক্ষম হয়েছে হাতিল ফার্নিচার। তাদের ফার্নিচার গুলো মনকাড়া শৈল্পিক কাজ তাদের পণ্য গুলো আরো বেশি বিক্রি হতে দেয় যা অর্থনৈতিক ভাবে আরো সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

নতুন সম্ভাবনা তৈরিতে

নতুন সম্ভাবনা তৈরিতে হাতিল ফার্নিচার অতুলনীয় দক্ষতা দেখতে সক্ষম। এটি সত্যি বাংলাদেশের ফার্নিচার ব্যাবসায়ের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরী করে। ঐতিহাসিক অলঙ্করণের বেড়াজাল বেরিয়ে হাতিল আমাদের দৈনন্দিন ফার্নিটার গুলোকে একটি নতুন রূপ দেয় যা আমাদের ঘরে অসাধারণ শৈল্পিকতার একটি নিখুঁত ছোয়া রেখে যায়। বাংলাদেশকে এটি আরো সমৃদ্ধ ও ইনোভেটিভ করে।

হাতিল আসবাবপত্র ব্যবসায় গেম চেঞ্জার ভবিষ্যতে

হাতিল আসবাবপত্র ব্যবসায় গেম চেঞ্জার ভবিষ্যতে, আসবাবপত্র খুচরা বিক্রেতাদের জন্য তাদের কাস্টমার জার্নির প্রতিটি টাচপয়েন্টে ভোক্তাদেড় যৌক্তিক মূল্য অফার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

হাতিল ঠিক তাই করে, গ্রাহক কেবল তার স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে একটি অ্যাপ লোড করবে এবং প্রতিটি পণ্য তাদের ফোনে যেকোনো এঙ্গেল থেকে দেখতে পারে এবং তার ঘরের জন্য একদম জুতসই পণ্যটি বাছাই এর মানে হল যে ভোক্তা আরামে বাড়ি থেকে সঠিক আসবাবপত্র চয়ন করতে পারেন এবং আসবাবপত্র ব্যবসায়ী ব্যয়বহুল আয় বাঁচাতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতামত এই ধরণের ফার্নিচার ব্র্যান্ড গুলো ভবিষ্যতে ফার্নিচার বিক্রির এই জার্নিকে বেশ পরিবর্তন করবে।

ফার্নিচার এর যত্ন নেওয়ার ৬টি সহজ উপায়

তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ফার্ণিচারের যত্ন নেওয়া ৬টি সহজ উপায়।

১। সাবধানতার সাথে সরানো

আসবাবপত্র সাবধানতার সাথে সরানো

আপনার আসবাবটি যদি ঘরে ঢোকানোর সময়ই আঘাত পেয়ে কোথাও ভেঙে যায় তবে যত্ন নিতে হয়ত আর ইচ্ছাই করবে না। আর ভেঙে গেলে বা চাপ লেগে কোথাও দুমড়ে গেলে সেটির দাগ থেকেই যাবে।

নষ্ট হওয়ার চেয়ে এভাবে আসবাবের ক্ষতির সংখ্যাই বেশি। বিপুল সংখ্যক আসবাব ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে কারণ সেগুলো এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নেয়ার সময় সাবধানতার অভাব ছিল। তাড়াহুড়ো করে ফার্নিচার সরানো থেকে বিরত থাকুন।

দরজার সাথে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে গেলে দেখতে বিশ্রি লাগবে, একটি স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাবে এবং কখনও কখনও এতটাই সিরিয়াস ক্ষতি হয় যে মেরামত করেও আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না।

এটির সাথে মোকাবেলা করার সহজতম উপায় হচ্ছে – আসবাব সরানোর সময় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা।

আধুনিক আসবাব গুলোতে অনেক সময় বিভিন্ন ভাবে বাঁকানো এবং ভিন্ন আকারের অংশ লক্ষ্য করা যায়। এই ধরনের ফার্নিচার সরানোর সময় সেগুলোর কথা মাথায় রাখবেন।

জয়েন্টগুলি লক্ষ্য করুন এবং সংকীর্ণ জয়েন্টগুলিতে যাতে বেশি চাপ না পড়ে সে সম্পর্কে অতিতিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন যাতে সেগুলো ভেঙে না যায়।

সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনার আসবাবগুলি র‍্যাপার বা কার্ড-বোর্ড এর বাক্সের অংশ বা ভারী কাগজের টুকরো বা মোড়কের সাহায্যে মুড়িয়ে নেন, এতে করে আসবাবের গায়ে সরাসরি আঘাত লাগবে না। কোথাও চাপ পড়লেও সেটির জন্য দাগ পড়বে না।

২। ঢেকে রাখা

আসবাবপত্র ঢেকে রাখা

ছুটি কার না ভালো লাগে? । তারউপরে যদি কয়েকদিনের লম্বা ছুটি হয় তাহলে তো কথাই নেই। ঈদ, পূজা বা অন্যান্য বড় উৎসব এর কথা চিন্তা করুন, আপনি কয়েক দিন বা সপ্তাহের জন্য হয়তো গ্রামে চলে যাবেন।

আপনার ঘর বা অ্যাপার্টমেন্টটি পুরো সময়টি খালি থাকবে এবং ধুলা, ময়লা, পোকামাকড় এমনকি বিড়ালের মতো ছোট ছোট প্রাণীও আপনার ঘরে ঢুকে যেতে পারে।

এই পোকামাকড় এবং ধূলিকণা আপনার আসবাবকে নোংরা করে তুলবে এবং যেহেতু আপনি সাথেসাথে এগুলি পরিষ্কার করার জন্য বাড়িতে থাকবেন না, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে যে এর ফলে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে।

এই অসুবিধা এড়াতে আপনার বাসা থেকে দূরে থাকাকালীন সময়ের জন্য আপনার আসবাবটি বড় কোন কভার দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা উচিত। এটি কেবল এই ধুলা-ময়লা থেকে রক্ষা করবে না, এটি আপনার বাসায় ফেরার পরে সবকিছু পরিষ্কার করাও সহজতর করে তুলবে।

৩। পানি জাতীয় পদার্থ নিয়ে সাবধান

আসবাবপত্র নিয়মিত ঝাড়া আর মোছা

HATIL এ আমরা কোনও আসবাবপত্র তৈরি করার সময় সেরা মানের কাঠ ব্যবহার করি। আধুনিক মেশিনে কাঠ প্রসেস করে বার্নিশ করা হয় যা এগুলিকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে এবং এগুলিকে একটি ঝকঝকে চেহারা দেয়।

তারপরেও যদি আপনি তরল পদার্থ যেমন- পানি এবং দুধের গ্লাস এর নিয়ে সাবধান না হন তবে গ্লাসের তলার ন্যায় গোল একটা দাগ ফার্নিচারে পড়তে পারে। কাচের টেবিলটপ দিয়ে বানানো ডাইনিং সেটগুলি নিরাপদ যেহেতু কাচের উপর এই ধরণের দাগগুলি স্থায়ী হয়না এবং সহজেই তুলে ফেলা যায়। গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করলে পরিষ্কার করা আরো সহজ হয়ে যাবে।

তবে তরলগুলি সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা দাগগুলি মুছতে চেষ্টা করুন। ফলে আপনাকে স্থায়ী দাগ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না এবং আপনার আসবাবটি পরিষ্কার এবং নতুন দেখবে।

৪। নিয়মিত ঝাড়া আর মোছা

নিয়মিত ঝাড়ু দিয়ে আসবাবপত্র মুছুন

আসবাবগুলিকে যদি নতুন এর মতো দেখাতে চান তাহলে প্রতিদিন ঝাড়া-মোছা করা উচিত তবে এটি অনিবার্য ভাবে প্রয়োজনীয় নয়। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, এটি আপনি কোথায় থাকেন তার উপর নির্ভর করে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার অ্যাপার্টমেন্ট কোনও ব্যস্ত রাস্তার কাছে হয় এবং ধুলাবালি একটি সাধারন সমস্যা হয় তবে আপনার প্রতিদিন ঝাড়া-মোছা করতে হতে পারে। তবে প্রতি দুই বা তিন দিনে ঝাড়া-মোছা করাই যথেষ্ট।

যদি মনে হয় শুধু ঝাড়া-মোছা যথেষ্ট নয় তবে আপনি কিছুটা সময় নিয়ে আসবাব পরিষ্কার করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনার ঘর কত দ্রুত ময়লা হয় তার উপর নির্ভর করে প্রতি সপ্তাহে বা প্রতি দুই সপ্তাহে ঝাড়া-মোছার পাশাপাশি ধোয়া-মোছা করা উচিত। তবে প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে এগুলি পরিষ্কার করবেন? কাচের টেবিলটপ বা দরজাগুলির জন্য, গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করুন। সেটি ভেজা কাপড়ের চেয়ে অনেক বেশি ভাল কাজ করবে।

বাকী আসবাবের জন্য, সামান্য করে ভেজানো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। আসবাব অতিরিক্ত নোংরা হলে আপনি সাবান পানি ব্যবহার করতে পারেন। তবে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে ক্লিনিং এজেন্ট ব্যবহার করা। অবশ্যই হালকা ধরনের এজেন্ট ব্যবহার করবেন, ভারী কেমিক্যাল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

পরিষ্কার করার জন্য সবসময় নরম কাপড় ব্যবহার করতে ভুলবেন না। খসখসে কাপড় এড়িয়ে চলুন বিশেষ করে যেগুলোতে সিরিশকাগজ বা স্যান্ডপ্যাপারের মতো রুক্ষ দিক রয়েছে। এগুলো আসবাব পরিষ্কারের চেয়ে পলিশের ক্ষতি করবে বেশি।

মনে রাখবেন- অতিরিক্ত ভেজা ভেজা ভাব থেকে মুক্তি পেতে পরিষ্কার করার পরে শুকনো কাপড় দিয়ে আসবাবটি সবসময় মোছা উচিত।

৫। খাজের ভেতরে পরিষ্কার করুন

আসবাবপত্রের খাজের ভেতরে পরিষ্কার করুন

 

আধুনিক আসবাবগুলি মিনিমালিস্টিক ডিজাইনে করা হয়ে থাকে যেখানে বিভিন্ন আকার বা শেপ এর আধিক্য দেখা যায় এবং তাতেই সেগুলো সন্দর লাগে। তবুও মাঝে মাঝে আসবাবকে ব্যক্তিত্ব দেওয়ার জন্য প্রচ্ছদ এবং খাঁজগুলি যুক্ত করে নকশা করা হয়।

ভারী নকশাগুলি ট্র্যাডিশনাল ফার্নিচার এর ক্ষেত্রে আরও বেশি দেখা যায়। পরিষ্কার করার সময় খাঁজগুলি পরিষ্কার করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। যদি আপনার ওয়াশক্লথগুলি খাজের ভেতরে পৌঁছতে না পারে তবে খাঁজগুলি পরিষ্কার করতে পেইন্ট ব্রাশ বা কটন সোয়াব ব্যবহার করুন।

৬। আর্দ্রতার কথা মাথায় রাখুন

আসবাবপত্রের আর্দ্রতার কথা মাথায় রাখুন

বর্ষাকালে আপনার ঘরে অতিরিক্ত আর্দ্রতা জমতে পারে, মনে হতে পারে কেমন যেন স্যাঁতসেঁতে ভাব। বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়া এবং তাপমাত্রায় পরিবর্তন আসার কারনে এই স্যাঁতসেঁতে ভাব আসে।

মনে রাখতে হবে কাঠের আসবাবের জন্য স্যাঁতসেঁতে ভাব ক্ষতির কারন হতে তবে ভালো মানের কাঠের তৈরি আসবাব যদি ভাল ভাবে পালিশ করা থাকে তাহলে তেমন চিন্তা নেই।

নিম্নমানের কাঠের তৈরি আসবাব বর্ষার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার লক্ষণ দেখাবে। এ কারণেই আমরা HATIL এ তৈরি উচ্চমানের ফার্নিচার কেনার সুপারিশ করি।

আপনি ডিহিমিউডিফায়ার বা এসি ব্যবহার করে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন তবে একটি উচ্চমানের আসবাব এর প্রয়োজন কিন্তু থেকেই যায়।

মনে রাখবেন, আপনার আসবাব পরিষ্কার করতে ভারী কেমিক্যাল ব্যবহার করা ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। আপনি যদি সত্যিই ডিপ ক্লিনিং করতে চান তবে প্রফেশনাল কারো শরণাপন্ন হোন যারা আপনার জন্য এটি মেরামত করে দেবে।

বাড়ির আসবাবের যত্নের ক্ষেত্রে পানি এবং সামান্য পরিমানে সাবান-পানি দিয়েই কাজ চালানো সম্ভব। পরিষ্কার করার কাপড় পুরোপুরি ভিজিয়ে নেবেন না, সামান্য করে পানি দিয়ে অল্প চাপে মুছতে হবে।

বেশি ভেজা কাপড় ব্যবহার করলে দাগ পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। জোর দিয়ে আসবাবগুলিতে ঘষা-ঘষি এড়িয়ে চলুন, এর ফলে দাগ মোছার বদলে নতুন করে স্ক্র্যাচ পড়বে।

এমন আসবাবগুলি বেছে নিন যেগুলো মানের দিক থেকে সেরা ফলে আপনি থাকবেন চিন্তা মুক্ত। HATIL আপনাকে সেধরনের আসবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত।

সারকথা

আপনি আপনার কাঠের আসবাবপত্র নিয়মিত পলিশ এবং চকচকে করেন, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই পলিশ এবং ধুলো একত্রিত হয়ে টেবিল, চেয়ার এবং তাকগুলিতে একটি অন্ধকার ফিল্ম ছেড়ে যায়।

আপনার আসবাবগুলিকে সেরা দেখাতে, আপনাকে পর্যায়ক্রমিক গভীর পরিষ্কার করতে হবে। যেমনটি বলেছি আসবাবপত্র পরিষ্কার রাখা শুধু টুকরোটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে না, বরং এর আয়ুষ্কালকে অনেক বেশি লম্বা করা।

এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোন মেটেরিয়াল এর আসবাব আপনি ব্যবহার করছেন। মানসম্মত উপাদান দ্বারা তৈরী ফার্নিচার গুলো আপনাকে এত সহজে হতাশ করবে না তাই ফার্নিচার ক্রয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই হাতিল ফার্নিচারের মতো এক্সপার্ট নির্মাতাদের ওপর আস্থা রাখা জরুরি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।