Effective Ways To Keep The Kitchen Clean And Insect Free Effective Ways To Keep The Kitchen Clean And Insect Free

রান্নাঘর পরিষ্কার ও পোকামুক্ত রাখার কিছু কার্যকরি উপায়

খাবার আমাদের সবার কাছে বেশ প্রিয়। সাধারনত মানুষ বেচে থাকার জন্যই খাদ্য গ্রহণ করে, তবে কেউ কেউ আবার শুধু খাওয়ার জন্যই বেচে থাকে – অর্থাৎ, খাবার মানুষের জীবনের মুল স্তম্ভ এর মাঝে একটি। ই\কিন্তু এই সুস্বাদু খাবার যেখানে রান্না করা হয় সেই জায়গাটাতেও আপনার ভালবাসা আর মনোযোগের প্রয়োজন, তাই নয় কি? একজন গৃহিনী হিসেবে দিনের বেশিরভাগ সময় আপনি যেখানে অতিবাহিত করেন, সেই রান্নাঘরের যত্ন করার জন্য আপনাকে এটা পরিষ্কার রাখতে হবে।

আপনি হয়ত চিন্তা করছেন যে, “প্রতিদিনই তো পরিষ্কার করি, এর থেকে আর কিভাবে ভাল পরিষ্কার করে?” যদি আপনার পরিষ্কার করার পদ্ধতি সঠিক হত তাহলে আপনি নিশ্চয়ই রান্নাঘর পরিষ্কার ও পোকামুক্ত রাখার কিছু কার্যকরি উপায় খুজতেন না। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে রান্নাঘরের খুটি নাটি পরিষ্কার করতে হয় যেন বিন্দু পরিমান ময়লা দাগ অথবা দুর্গন্ধ না থাকে। এর পাশাপাশি পুরোনো দাগ দূর করা এবং রান্নাঘরে পোকার আক্রমন থেকে কিভাবে রেহাই পাওয়া যায় সেই ব্যাপারে জানবো। 

রান্নাঘর গোছানো ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখার টিপস

আপনি পুরো বাসা সাজিয়ে গিছিয়ে রেখেছেন কিন্তু রান্নাঘ্রে ঢুকলেই দেখা যায় সব জিনিস এলোমেলো। রান্নাঘরে হরেক রকমের টুকিটাকি জিনিসপত্র থাকে। কফিপট, মগ, সিংক, ব্লেন্ডার, কাটার, চামচ, লবণদানি, ঢাকনা ইত্যাদি। কোনোটিই ফেলনা নয়। তবে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সেখানকার সবগুলো বাসন-কোসন, সেগুলো রাখার জায়গা ও সার্বিক পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার বিকল্প নেই।

সিঙ্ক ও বেসিন ঝকঝকে রাখুন

কিচেনে সারাদিনই এটা সেটা ধোয়া মোছার কাজ করতে করতে আপনার সিংক কিংবা বেসিন জ্যাম হয়ে যেতে পারে। মুলত বিভিন্ন ধরনের ময়লা যেমন – সবজির ছিলকে, চাপাতি, মাছের আশ, ইত্যাদি আপনার সিংকের পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধা প্রদান করে এবং নিয়মিত পরিষ্কার না করা হলে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। তাই প্রতিদিন কাজের শেষে সিংকে গরম পানি ঢেলে দেয়া যেতে পারে। কোন পাইপ যদি জ্যাম হয়ে যায় তাহলে গরম পানি ব্যবহার করকে সেটি খুব সহজে ঠিক হয়ে যায়। খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার করা উচিত না কারন এতে প্লাস্টিকের পাইপ গলে যেতে পারে। 

এরপরে, লিকুইড সাবান কিংবা ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে  সিঙ্কের পুরোটা পরিষ্কার করে নিন। এছাড়াও,  তেলতেলে ভাব কমানোর জন্য সিঙ্কের মধ্যে ভিনেগার ছড়িয়ে দিয়ে তাতে লেবুর রস ও কয়েক টুকরো লেবু রেখে দিন। ১০ মিনিট পর ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এতে সিঙ্কের চকচকে ভাব ফিরে আসবে।

স্ল্যাব ক্লিন করুন

রান্না করার সময় নানা ধরনের মশলা কিংবা তরকারী আপনার চুলায় ও স্ল্যাবে পড়তে পারে। সাধারনত এই ধরনের দাগ একবার পড়ে গেলে সেটা পরিষ্কার করা খুবই কঠিন। তাছাড়া কাজ করতে করতে অনেক সময় স্ল্যাবও তেল চিটচিটে হয়ে যায়। তাই প্রতিবার রান্না শেষ করে চুলা ও স্ল্যাব ক্লিন করে নিন। ক্লিন করার জন্য গরম পানিতে বাসন পরিষ্কারের লিকুইড সাবান ও এক চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। পানিতে কাপড় ভিজিয়ে চুলার আশেপাশে এবং স্ল্যাব পরিষ্কার করা হলে শুকনো আরেকটি কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন।

আশটে গন্ধ দূর করুন

আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। মাছ আমাদের সবারই প্রিয় খাবার। তারই ধারাবাহিকতায়, মাছ কাটাকুটি করা হলে স্বাভাবিকভাবেই রান্নাঘরে কিছুটা আঁশটে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে মাছের আঁশ আর অন্যান্য আবর্জনা আগে পলিথিনে ভরে মুখ বন্ধ করে তারপর ময়লার ঝুড়িতে রাখুন। মাছ কাটার সময় পুরাতন পত্রিকা বা পলিথিন বিছিয়ে রাখতে পারেন। এতে মেঝে নোংরা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

মাছ-মাংস কাটার পর যদি রান্নাঘরে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে তবে পানিতে কিছুটা ভিনেগার ও বেকিং সোডা মিশ্রিত সলিউশ্যন দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ঘরের দুর্গন্ধ কমে আসবে। চাইলে এয়ার ফ্রেশনার এবং সেন্টেড ক্যান্ডেলও ব্যবহার করতে পারেন।

কিচেন এপ্ল্যায়েন্স পরিষ্কার রাখুন

রান্নার ঝামেলা কমিয়ে আনার জন্য অনেকেই এখন মাইক্রোওয়েভ, রাইস কিংবা কারি কুকার ব্যবহার করছেন। তবে ব্যবহার শেষে যদি এইসব ইলেকট্রনিক্স ভালোভাবে ক্লিন করা না হয়, তবে অল্প সময়েই ছড়িয়ে থাকা খাবার থেকে দুর্গন্ধ আসতে পারে। তাই এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এক বাটি পানিতে ভিনেগার কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে তা ওভেনে এক মিনিট গরম করে নিন। এতে গরম পানির বাষ্প পুরো ওভেনে ছড়িয়ে পড়বে। পরে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই ওভেন পরিষ্কার হয়ে যাবে। এছাড়াও, কারি কুকারের ভেতরের অংশ সেই গরম পানির সাথে একটু লেবু মিশিয়ে মেজে নিন।  

রান্নাঘরের চকচকে ভাব ধরে রাখুন

রান্নাঘরে স্টেইনলেস স্টিলের সিঙ্ক পরিষ্কার করার পর যে কোন কাপড়ে খানিকটা অলিভ অয়েল কিংবা কোকোনাট লাগিয়ে তা দিয়ে সিঙ্ক মুছে নিতে পারেন। রান্নাঘরের কোনো পাত্র চকচকে রাখতে চাইলেও এই পদ্ধতি ফলো করতে পারেন। কাঠের জিনিসের চকচকে ভাব ধরে রাখতে চাইলে কিছুটা লবণ ছিটিয়ে তাতে অল্প লেবুর রস দিয়ে হালকা ঘষে নিন। এরপর তেল দিয়ে মুছে নিন।  রান্নাঘরের প্রতিটি জিনিস যখন পরিষ্কার থাকবে তখন এমনিতেই চকচকে ভাব বজায় থাকবে।

মেঝে পরিষ্কার রাখুন

চুলার আশেপাশের দেয়ালে তেল চিটচিটে টাইলস পরিষ্কারের জন্য বেকিং সোডা ও ভিনেগার বেশ কার্যকরী। বেকিং সোডার পেস্ট তৈরি করে তাতে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এরপর টাইলসে থাকা দাগের উপর পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে করে টাইলসের তৈলাক্ত ভাব আর দাগ নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।

কোন কাজ জমিয়ে রাখবেন না

ভাজা পোড়ার পুরাতন তেল হোক কিংবা এঁটো থালাবাসন, রান্নাঘরের কোনো কাজই জমিয়ে রাখা উচিত নয়। চেষ্টা করুন, এঁটো থালাবাসন অন্তত খানিকটা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে। পরে নিজের সুবিধামত সময়ে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। এছাড়া প্রতিদিন ২০-২৫ মিনিট বরাদ্দ রাখুন সিঙ্ক ও চুলার আশেপাশের এরিয়া পরিষ্কারের জন্য। এসব স্থান ব্যবহার হয় বেশি, তাই খুব সহজে দাগ বসে যেতে পারে। তাই এই জায়গাগুলো প্রতিদিন ক্লিন করে নেয়াই ভালো।

রান্নাঘরকে পোকামাকড় মুক্ত করতে কি করবেন? 

বাসায় পোকামাকড়ের উপদ্রব নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ পুরাতন এই অত্যাচারের সমাধান খুজতে খুজতে অনেকেই কাহিল। যে ঋতুই হোকনা কেন, সবসময় পোকা মাকড়ের উপদ্রব চলতেই থাকে আর যদি এদের অগ্রাহ্য করা হয় তাহলে আপিনার বাসাকে এরা নিজেদের ঘাটি হিসেবে অধিকৃত করে বংশ বিস্তার করা শুরু করে। তখন এই ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়ে ওঠে অসম্ভব এক যন্ত্রণা। ঘরোয়া উপায়ে চাইলেই রান্নাঘরকে পোকা মাকড় মুক্ত করা যায়।  

রান্নাঘরকে পোকামুক্ত রাখার জন্য বাজারে নানা ধরনের কীটনাশক রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে আমাদের নানা মধ্যে নানাধরনের আতঙ্ক বিরাজ করে। কেননা, রান্নাঘরে আমাদের দৈনন্দিন খাবার প্রস্তুত করা হয়  আর কোন না কোন ভাবে যদি খাবারে সেই কীননাশক মিশে যায় তাহলে আমাদের প্রাণনাশের শঙ্কা তৈরি হবে। তাই এই রান্নাঘরেই অচিরেই ঢুকে পড়ে ঘরের ছোট সদস্যেরা তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন কিছু ঘরোয়া টিপস নিয়ে নিয়ে কথা বলব যেগুলো ব্যবহার করে আপনার রান্নাঘরকে পোকা মাকড় মুক্ত করা সম্ভব।

  • চিনির কৌটায় পিঁপড়া ধরে যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটে। বাজারের ঔষধগুলো এমন জায়গায় ব্যবহার করা কিন্তু নিরাপদ নয়। এক্ষেত্রে দু-একটা লবঙ্গ রেখে দিলে পিঁপড়ের উপদ্রব একদম কমে যাবে। এবং এটি নিঃসন্দেহে নিরাপদ।
  • রান্নাধরে ভিনেগার সবসময়ই থাকে তাই এই উপকরণ তৈরি করতে খুব বেশি কষ্ট হবে না। এক অংশ ভিনেগার আর দুই অংশ পরিমান পানি মিশিয়ে নিলেই যে মিশ্রণটি তৈরি হবে সেটি ঘরের আনাচে কানাচে ছিটিয়ে রাখুন। দেখবেন পোকার বংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
  • শসা কাটার সময়ে দুপাশের অংশ আমরা ফেলেই দেই। এগুলো না ফেলে সংরক্ষণ করুন। এগুলোকে রেখে দিন রান্নাঘরের বিভিন্ন কোনায়, কাপবোর্ডের ভেতরে। এগুলোতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান তেলাপোকা পছন্দ করে না ফলে তারা এসব জায়গায় আসবে না।
  • তেলাপোকার যন্ত্রণাদায়ক উপদ্রবের হাত থেকে রেহাই করবে একটি পেস্ট। গোলমরিচ গুঁড়া, পেঁয়াজ, রসুন এবং জল দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। পেষ্ট কিছুটা তরল করে তৈরি করবেন। এবার এটি স্প্রের বোতলে ভরে রাখুন। যেখানে তেলাপোকা দেখবেন সেখানে স্প্রে করুন। দেখবেন তেলাপোকা পালিয়ে গেছে। শুধু তেলাপোকা না অন্যান্য পোকা মাকড়ের হাত থেকে আপনার ঘরকে রক্ষা করবে।
  • পোকা পিপারমেন্ট অয়েলের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। কিছু পরিমাণ জলের সাথে আট ফোঁটা পিপারমেন্ট অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্প্রের বোতলে ভরে রাখুন। ঘরের প্রতিটি কোনায় এটি স্প্রে করুন। ভিনেগার এবং পিপারমেন্ট এসেনশিয়াল অয়েল একসাথে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
  • পোকা দূর করতে পুদিনা-পাতা বেশ কার্যকর। কিছু পরিমাণ পুদিনা-পাতা কুচি করে কিচেনের কোনায় এবং চারপাশে ছিটিয়ে দিন।

এগুলো তো কিভাবে পোকা দমন করবেন সেই ব্যাপারে বলা হলো। এগুলো ছাড়াও কিভাবে পোকা থেকে বাচিয়ে খাবার সংরক্ষন করবেন সেই ব্যাপারেও জানা জরুরি। 

  • দোকান থেকে কিনে এনে প্যাকেটের ভেতরেই অনেকে রেখে দেন আটা, ময়দা, সুজি, ডাল ইত্যাদি। পাতলা কাগজ বা প্লাস্টিকের প্যাকেট কেটে সহজেই এগুলোর ভেতরে বাসা বাঁধতে পারে পোকা। এ কারণে যত দ্রুত সম্ভব এগুলোকে রাখুন এয়ারটাইট প্লাস্টিক বা কাঁচের কৌটায়। এছাড়া ডাস্টবিন হিসেবেও ব্যবহার করুন এয়ারটাইট কন্টেইনার বা ব্যাগ।
  • খাওয়ার সময়ে খাবারে ছোট টুকরো, গুঁড়ো ছড়িয়ে পড়তে পারে রান্নাঘরে। আর রান্নার সময়ে ঝোল, স্যুপ বা দুধ হাঁড়ি থেকে উপচে পড়াটাও একেবারেই নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এগুলো আপনার চোখে পড়ার সাথে সাথে পরিষ্কার করে ফেলুন। শুধু তাই নয়, কিচেন কাউন্টারটপ, কেবিনেট, মিটসেফ, ডাইনিং টেবিল নিয়মিত মুছে পরিষ্কার রাখুন। 
  • কাপবোর্ডের ভেতরে সাধারণত তৈজসপত্র, খাবারের কৌটা, মশলার কৌটা রাখা হয়। আমরা ভাবি যেহেতু এখানে শুধু শুকনো খাবার থাকে, তা পরিষ্কারের দরকার নেই। আসলে কিন্তু এই অন্ধকার, ছোট জায়গাটায় সহজেই পোকারা আস্তানা গাড়তে পারে। বিশেষ করে পুরনো অব্যবহৃত কৌটা, মেয়াদোত্তীর্নো খাবার এগুলো পোকার আখড়া। এ কারণে নিয়মিত কাপবোর্ড পরিষ্কার করুন।
  • পরিষ্কার জায়গা মোটেই পছন্দ করে না পোকারা। সাবান এবং ডিটারজেন্ট তাদের শত্রু। আপনি যদি সিঙ্কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ময়লা বাসন-কোসন ফেলে রাখেন তাহলে এখানে পোকা আসবেই। তাই খাওয়ার পর পরই এগুলো ধুয়ে ফেলার অভ্যাস তৈরি করুন।
  • আমরা নিজেদের ব্যবহার করা বাসন-কোসন ধুয়ে ফেলি, কিন্তু ঘরে থাকা পাখি বা বিড়ালের খাবারের পাত্রটার কী হবে? সেখানেও হামলা করতে পারে পোকা। এ কারণে তাদেরকে খাইয়ে পাত্রটা নিয়মিত পরিষ্কার করে রাখতে ভুলবেন না। আর পানির পাত্রটাও নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বাসি পানিতে ডিম পাড়তে পারে মশা।

সর্বোপরি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই একটা সুস্থ ও স্বাভাবিক রান্নার পরিবেশ বজায় রাখার মুলমন্ত্র। এটি শুধু আপনাকে পোকা মাকড়ের আক্রমন থেকেই মুক্তি দিবেনা, বরং আপনার রান্নাঘরের ব্যবহৃত তৈজসপত্র দীর্ঘদিন ভাল রাখতে সহায়তা করবে। 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।