শুভাশিস সাহেব দোটানায়। শহীদুল হকের মেয়ের বিয়েতে কী দেবেন, তা বুঝতে পারছেন না। শহীদুল ভাইয়েরা তাদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকেন প্রায় বিশ বছর। সম্পর্কটা আত্মীয়তার নয়, প্রাণের। মেয়েটাকে তো একেবারে নিজের বাসাতেই বড় হতে দেখেছেন। তাই শুধু কিছু একটা দিতে হবে বলেই কোনো উপহার দিতে চান না। কাজে লাগবে, আবার মনেও থাকবে, এমন কিছুই খুঁজছেন। খরচের মাত্রাটাও সীমিত। তাই ভেবে পাচ্ছেন না।
বেশ কিছুদিন ধরেই অনলাইনে গিফট খুঁজছিলেন। শেষ পর্যন্ত চোখে পড়ল হাতিলের নতুন গিফট ভাউচারের ক্যাম্পেইন। শুভাশিস তার স্ত্রীকে দেখানোর পরে স্ত্রী একটু উসখুস করছিলেন। বিয়ের উপহার হিসেবে গিফট ভাউচার তো ঠিক প্রথাসিদ্ধ নয়।
শুভাশিস যুক্তি দিয়ে বোঝালেন, প্রচলিত না হোক, এই গিফট ভাউচার ঠিক তারা যেমন উপহার চাচ্ছেন, তেমনই তো। দম্পতির নতুন সংসারে এই ভাউচার কাজে আসবেই। অন্য রকম উপহার হওয়াতে তাদের মনেও থাকবে। যেহেতু ওদের বাজেটেও মধ্যে চলে আসছে, তাই এই উপহারসংক্রান্ত জটিলতা থেকে হাঁফ ছেড়ে মুক্তি পেলেন শুভাশিস।
বিয়ের এই মৌসুমে প্রায় প্রতিনিয়ত উপহার নিয়ে দোটানায় পড়তে হয় মানুষকে। আজকাল প্লেট-গ্লাস-বাটি, বিছানার চাদর কিংবা দৈনন্দিন ব্যবহারের অন্যান্য জিনিস উপহার দিতে চান না অনেকেই। এই ধরনের উপহার এতটাই জনপ্রিয়, যে জনপ্রিয়তার জোরই এগুলোকে প্রায় মলিন করে তোলে। দোকান ঘুরে ঘুরে এগুলো পছন্দ করাটা একটা ঝক্কির কাজ তো বটেই— এইসব তৈজসপত্র নব্য দম্পতির আপাতকাজে লাগার সম্ভাবনাও কম।
তাই অনেকেই খুঁজতে চায় অন্য রকম কিছু। যা কাজে লাগবে, যাতে উপহারের মাঝে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসাটুকু সাদরে মনে থাকবে। আপনিও যদি বিয়েতে উপহার হিসেবে একটু আলাদা কিছু, একটু চমক, একটু ভালোবাসার সংমিশ্রণ খুঁজে থাকেন, আপনার এই বিবাহ-উপহারকেন্দ্রিক ঝঞ্ঝাটকে পানির মতো সোজা করে ফেলতেই হাতিল নিয়ে এসেছে তাদের নতুন গিফট ভাউচার। বিয়ে ছাড়াও অন্যান্য উপহার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে এটিকে।
এই গিফট ভাউচারসংক্রান্ত যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়েই আজকে আমাদের এই ব্লগ।
যা যা জানা প্রয়োজন
হাতিলের এই গিফট ভাউচারের প্রতিটি পাওয়া যাবে ১০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা দিয়ে আপনি এই ভাউচার কিনে যে কাউকে উপহার দিতে পারবেন। এরপর উপহার পাওয়া ব্যক্তি হাতিলের যেকোনো শোরুম থেকে কোনো পণ্য ক্রয়ের সময় ব্যবহার করতে পারবেন এই ভাউচার। তিনি যখন হাতিল থেকে যেকোনো মূল্যের কোনো কিছু কিনতে যাবেন, তখন এই গিফট ভাউচার ব্যবহার করলে পণ্যের মূল্য থেকে ১০ হাজার টাকা কম পরিশোধ করবেন। তার কাছে একের বেশি ভাউচার থাকলে একইসাথে ব্যবহার করতে পারবেন সেগুলোও—প্রতিটি ভাউচারের বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করা হয়ে যাবে।
পণ্যের মূল্য যদি ১০ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে ১০ হাজারের ওপর অবশিষ্ট মূল্যটিই কেবল পরিশোধ করতে হবে। পণ্যের মূল্য ১০ হাজার টাকা হলে শুধু ভাউচারটি দিলেই হবে, কোনো অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না। আর পণ্যটি যদি ১০ হাজার টাকার কম মূল্যের হয়, সে ক্ষেত্রেও ভাউচার ব্যবহারকারীকে কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে এ ক্ষেত্রে অবশিষ্ট টাকা তিনি ফেরতও পাবেন না। আর এই ভাউচার শুধু একবারই ব্যবহার করা যাবে।
হাতিলের যেকোনো শাখা থেকেই কেনা যাবে এই গিফট ভাউচার। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কেনার পর থেকে চার মাসের মধ্যেই ব্যবহার করতে হবে ভাউচারটি। চার মাসের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে হাতিলের কোনো শাখাতেই আর এই ভাউচারটি গ্রহণ করা হবে না।
কিছু সতর্কীকরণ
হাতিলের যেকোনো শাখা থেকে ফার্নিচার ক্রয়ের সময় ভাউচারটি ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই ভাউচার কার্ডটি সাথে থাকতে হবে। প্রতিটি ভাউচার কার্ডেই একটি করে স্ক্র্যাচ নম্বর আছে। এই স্ক্র্যাচ নম্বরটি অক্ষত রাখতে হবে। ভাউচার কেনার সময় শোরুমের সেলসম্যানই কেবল এই নম্বরটি স্ক্র্যাচ করে বের করতে পারবেন। মনে রাখতে হবে, কার্ডের স্ক্র্যাচ নম্বরটি অক্ষত না থাকলে কোনো ভাউচার কার্ড ব্যবহারযোগ্য থাকবে না।
হাতিলের এই গিফট ভাউচারের ব্যাপারে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যোগাযোগ করতে পারবেন হাতিলের হটলাইন নম্বর : ০৯৬৭৮ ৭৭৭ ৭৭৭ -এ। হাতিলের ওয়েবসাইটে থাকা মেসেঞ্জার চ্যাটের মাধ্যমেও বার্তা দিতে পারবেন।
বিশ্বমানের ফার্নিচার হওয়ার কারণে সচেতন ব্যবহারকারীরা হাতিলের পণ্য কিনতে আগ্রহী হন সব সময়ই। ফলে কোনো অনুষ্ঠানে কাকে কী উপহার দেবেন, তার একটা ভালো সমাধানই বলা যেতে পারে হাতিলের এই গিফট ভাউচারকে।