reading table reading table

আদর্শ কাঠের রিডিং টেবিল: জেনে নিন কেমন হয়, কি কি সুবিধা পাবেন এবং মূল্য কেমন

দীর্ঘ সময় টেবিলে কাজ করার জন্য সৌন্দর্যের পাশাপাশি একটি উপযুক্ত উচ্চতা এবং বেশকিছু স্টোরেজ সুবিধা, অর্থাৎ শেলফ এবং ড্রয়ার সম্বলিত টেবিল থাকা খুব জরুরি। আবার বই রাখলেই মচমচ করে শব্দ করে উঠবে, এমন টেবিলও কেউ চান না। সুতরাং, একটি আদর্শ রিডিং টেবিলের কিছু বেসিক এবং অ্যাডেড ফিচার থাকা দরকার। 

কিন্তু মার্কেটে হাজারও পষ্যের ভিড়ে ভিন্নধর্মী ফার্নিচার খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। ডিজাইনে ইনোভেশন বলতে যা বোঝায়, তার দারুণ এক উদাহরণ হলো হাতিলের মাল্টিপারপাজ কাঠের রিডিং টেবিল। আজ বলবো কি আছে এই টেবিলে এবং আদর্শ টেবিলে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার।

See the price on HATIL

আদর্শ রিডিং টেবিল বলতে কি বোঝায়?

আদর্শ রিডিং টেবিল বলতে এমন একটি টেবিলকে বোঝায় যা পড়াশোনা বা কাজ করার জন্য আরামদায়ক, কার্যকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরি করে। এটি ব্যবহারকারীকে শারীরিক স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে যাতে পড়াশোনা বা কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। আর যদি হয় কাঠের রিডিং টেবিল, তাহলে পড়াশোনার কার্যকারিতা ও মনোযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে প্রিয় টেবিলটি।

আদর্শ রিডিং টেবিলের বৈশিষ্ট্যসমূহ:

  • সাধারণত ২৮-৩০ ইঞ্চি উচ্চতা যুক্ত টেবিল পড়াশোনার জন্য আরামদায়ক।
  • পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে যাতে বই, খাতা, ল্যাপটপ ইত্যাদি সহজে রাখা যায়।
  • প্রাকৃতিক আলো বা ভালো মানের ডেস্ক ল্যাম্প থাকা জরুরি যাতে চোখের উপর চাপ না পড়ে।
  • আরামদায়ক চেয়ারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত, যাতে দীর্ঘ সময় বসে কাজ করলেও শারীরিক অস্বস্তি না হয়।
  • ড্রয়ার বা শেলফ থাকলে প্রয়োজনীয় উপকরণ সহজে সংরক্ষণ করা যায়।
  • টেবিল এমন স্থানে রাখা উচিত যেখানে শব্দ কম এবং মনোযোগ ধরে রাখা যায়।
  • রুমে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে দীর্ঘ সময় ধরে স্বস্তি অনুভূত হয়।

আদর্শ রিডিং টেবিল কিনা কিভাবে বুঝবেন?

একটি ফার্নিচার আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা তা কি করে বুঝবেন? আসলে বুঝতে হলে রিডিং টেবিলের বিশেষ ফিচারগুলো অবশ্যই জানতে হবে। তারপর বিবেচনা করতে হবে আপনার চাহিদার সাথে যায় কিনা। তবেই তো সেটি আদর্শ ফার্নিচার হবে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকে Dennis-101 এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য বলব। 

Dennis-101 আদর্শ রিডিং টেবিল কেন সবার পছন্দ?

ডিজিটাল হোক কিংবা পেপারব্যাক, বইপ্রেমী মানুষেরা রোজ কিছু না কিছু পড়াশোনা করেনই। কেউ কেউ বিছানায় আধশোয়া হয়ে বই পড়তে পছন্দ করলেও অধিকাংশ লোকে এখনো কাঠের রিডিং টেবিল-চেয়ারেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর কথা কী বলবো!

Dennis-101’এর ফিচারগুলো নিয়ে চলুন একটু গবেষণা করা যাক –

১.ভারসাটাইল স্ট্রাকচার:

Dennis-101 এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে এর ডিজাইন এবং স্ট্রাকচারে। প্রথম দর্শনে মনে হবে কোনো কেবিনেট বা সিঙ্গেল কোন ড্রয়ার। পরক্ষণেই আবার বুঝতে পারবেন এর সাথে আছে একটি চেয়ার ও ফোল্ডিং টেবিল! স্পেস সেভিঙের জন্যই এমন ইনোভেশন আনা হয়েছে।

একদিকে ড্রয়ারে রাখতে পারবেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিংবা বুকশেলফ হিসেবেও ব্যবাহার করতে পারেন। অন্যদিকে বসার জন্য চেয়ার,আবার কাজের জন্য টেবিল। অর্থাৎ, একইসাথে কয়েকটি কাজ করতে পারবে এই একটি ফার্নিচার!

২. ব্যতক্রমী ডিজাইন:

যুগটা মিনিমালিজমের। অযথা জাঁকজমক কিংবা বাড়তি জায়গা দখল করা এখন কেউই পছন্দ করেন না। যেকোনো প্রয়োজনীয় বাড়তি ফিচার কিন্তু ব্যবহারকারীর মনের ওপরও নেতিবাচক চাপ তৈরি করে। একারণে Dennis-101’কে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন আপনার মিনিমালিস্ট ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এর মাধ্যমে। এটি যেমন সিম্পল, তেমনি ক্ল্যাসি!

৩. হাই কোয়ালিটি ম্যাটেরিয়াল:

ম্যাটেরিয়ালই যদি আন্তর্জাতিক মানের না হয়, তাহলে কি কোনো ফার্নিচারকে আদর্শ বলা যায়? ইম্পোর্টেড বিচ উড এবং ভিনিয়ারড উড দিয়ে তৈরি হয় Dennis-101। ফলে এক টেবিলে আপনি এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করতে পারবেন পড়াশোনা আর কাজের স্মৃতি! নিশ্চিন্তে পারর হয়ে যাবে যুগ যুগ।

৪. পারফেক্ট ফিনিশিং:

সেরা মানের মজবুত কাঠের ওপর বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে দেওয়া হয় পরিবেশবান্ধব ইটালিয়ান আল্ট্রা-ভায়োলেট এবং পলিইউরেথেন ল্যাকারের অ্যান্টিক ফিনিশ। তাই এটি ভেতরে যেমন মজবুত, বাইরে তেমনি ঝকঝকে!

৫. সহজ ব্যবহার:

মাল্টিপারপাজ ফার্নিচার ব্যবহার করা ঝামেলা – এমন একটি ধারণা অনেকেরই আছে। এটি পুরোপুরি নির্ভর করে ফার্নিচারটি কতটা নিপুণভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, তার ওপর। হাতিলের বহু বছরের অভিজ্ঞতা এবং ডিজাইনারদের দক্ষতার ফল হলো Dennis-101। ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতিটি খুঁটিনাটি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এর প্রতিটি ফিচার।

Reading Table for Kids

৬. স্পেস সেভিং:

আধুনিক বাসা-বাড়িতে রুমগুলো ছোট করেই বানানো হয়। আবার অনেকে বাসার কোনো এক কোণে গড়ে তোলেন স্টাডি এবং ওয়ারররকিং স্পেস। এসব ক্ষেত্রে অল্প জায়গায় অনেক সুবিধা দেয় এমন ফার্নিচারই খোঁজেন সবাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় মাল্টিপারপাজ টেবিলগুলো দেখতে সুন্দর হয় না, আবার সুন্দর করতে গেলে জায়গা দখল করে বেশি।

Dennis-101 এই চ্যালেঞ্জগুলো জয় করার কারণেই অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করতে পেরেছে। আধুনিক বাসার নান্দনিক রিডিং টেবিলের কথা উঠলে এই টেবিলকে টেক্কা দেওয়া কঠিন!

৭. বাজেট নিয়ে ভাবনাহীন:

অনেকেই বিভিন্ন এ-কমার্স শপ ঘুরে অথবা মার্কেটে গিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে প্রাইস কমপেয়ার করেন। একই কাজ করি আমরাও! ফিচার, কোয়ালিটি এবং অ্যাস্থেটিক ভ্যালুর ভিত্তিতে মার্কেটের যেকোনো রিডিং টেবিলের চাইতে ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারবেন Dennis-101।

ভ্যালু ফর মানি, অর্থাৎ বাজেটের মধ্যে সেরা প্রোডক্টের কথা আসলে Dennis-101’ই একমাত্র টেবিল যা নিয়ে আপনার মনের কোনো দ্বিধা থাকবে না।

৮. টেকসই:

একটি ফার্নিচার মানে যুগ যুগের সঙ্গী এবং শত সহস্র স্মৃতির সাক্ষী। কষ্টের টাকায় এমন প্রোডক্ট কেউই কিনতে চান না যেটি ক’মাস পরই বাতিল হয়ে যাবে! বিগত কয়েক দশক ধরে সেই স্থায়িত্বের প্রতিশ্রুতিই পালন করে আসছে হাতিল। আমাদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আমরা প্রতিটি প্রোডাক্ট তুলে দেই গ্রাহকবৃন্দের হাতে। তাই নিশ্চিত টেকসই রিডিং টেবিল হিসেবে Dennis-101 আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে থাকবে।

৯. আধুনিক, নান্দনিক এবং রুচিশীল:

আপনার বাসার প্রতিটি ফার্নিচার আপনার ব্যক্তিত্বের ছোঁয়া বহন করে। তাই সোফা কিংবা শোকেস থেকে শুরু করে রিডিং টেবিল পর্যন্ত প্রতিটি ফার্নিচারেই আপনার রুচির বহিঃপ্রকাশ থাকা উচিৎ। ইনোভেটিভ, অ্যান্টিক, মিনিমাল এবং স্টাইলিশ Dennis-101 তাই আপনার সিগনেচার ফার্নিচার হয়ে উঠবে নিমিষেই!

কেন হাতিলের তৈরি টেবিল পড়াশোনার মনোযোগ বাড়ায়?

হাতিলের তৈরি টেবিল পড়াশোনার মনোযোগ বাড়ায় এর উন্নতমানের ডিজাইন, স্থায়িত্ব এবং ব্যবহারকারীর আরামদায়ক অভিজ্ঞতার কারণে। এই টেবিলগুলো অর্গোনমিক নকশায় তৈরি, যা দীর্ঘক্ষণ বসে পড়াশোনা করার সময় শরীরে চাপ কমায় এবং সঠিক বসার ভঙ্গি নিশ্চিত করে। এছাড়া, হাতিলের টেবিলের কাঠামো মজবুত এবং নিখুঁত ফিনিশিং সমৃদ্ধ, যা চোখের আরামদায়ক অভিজ্ঞতা তৈরি করে এবং একাগ্রতা বাড়ায়। 

প্রাকৃতিক কাঠ ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এগুলো স্বাস্থ্যকর ও টেকসই। অধিকন্তু, হাতিলের টেবিলে প্রয়োজনীয় ড্রয়ার ও স্টোরেজ সুবিধা থাকে, যা বই-খাতা ও অন্যান্য দরকারি উপকরণ গুছিয়ে রাখতে সহায়তা করে, ফলে পড়াশোনার সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় না। 

পাশাপাশি, এগুলোর ডিজাইন আধুনিক ও মিনিমালিস্ট হওয়ায় পড়ার জায়গা পরিপাটি ও আকর্ষণীয় দেখায়, যা মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। কিছু মডেলে স্মার্ট ক্যাবল ম্যানেজমেন্ট ও ল্যাম্প সেটআপের ব্যবস্থা থাকায় অতিরিক্ত ঝামেলা ছাড়াই আরামদায়ক আলোতে পড়াশোনা করা যায়। 

ফলে, হাতিলের তৈরি রিডিং টেবিল শুধু স্থায়িত্বশীল নয়, বরং এটি পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে, যা মনোযোগ ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পরিশেষে

রিডিং টেবিল একইসাথে প্রয়োজনীয় এবং শৌখিন একটি ফার্নিচার। কাজ এবং পড়াশোনার মতো খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো আমরা এখানে ব্যয় করি। তাই আমাদের একটা বড় রকমের ইমোশনাল ইনভেস্টমেন্ট থাকে এর পেছনে। রিডিং টেবিলের সাথে আপনার সেই অমূল্য সম্পর্কের কদর আমরা বুঝি। তাই আপনার জন্য আমাদের উপহার আদর্শ রিডিং টেবিল Dennis-101।

আদর্শ রিডিং টেবিল নিয়ে কিছু বহুল আলোচিত প্রশ্নোত্তর

আদর্শ কাঠের রিডিং টেবিলের উচ্চতা কত হওয়া উচিত?

সাধারণত ২৮-৩০ ইঞ্চি (৭১-৭৬ সেন্টিমিটার) উচ্চতার রিডিং টেবিল সবচেয়ে আরামদায়ক হয়। তবে উচ্চতা ব্যবহারকারীর আরাম এবং চেয়ারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা উচিত। পাত্র বিশেষে শারীরিক আকার ভিন্ন হবার কারণে উচ্চতা ভিন্ন হতে পারে।

রিডিং টেবিলের জন্য কেমন আলো ব্যবহার করা উচিত?

উজ্জ্বল কিন্তু নরম আলো ব্যবহার করা উচিত, যেমন LED ডেস্ক ল্যাম্প। ল্যাম্পে অবশ্যই ডিফিউজার থাকা দরকার যেন আলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে না এসে মোলায়েমভাবে আসে। আবার সরাসরি চোখে আলো না এসে বইয়ের উপর পড়ার ব্যবস্থা করা উচিত।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।