সকাল দেখেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। আধুনিক শহুরে জীবনে সকালবেলা সবাই একটু তাড়াহুড়ায় থাকে। ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট বানিয়ে নাকেমুখে গুঁজেই সবাই বেরিয়ে পড়ে ব্যস্তদিনের পথে। তবে দু’টা কাজ করলে সকালটা বেশ ফুরফুরে হতে পারে। প্রথমত, রেগুলার সময়ের চাইতে কিছুটা আগে ঘুম থেকে ওঠা এবং দ্বিতীয়ত, বাসায় শোয়া-বসার জন্য এর্গোনমিক ফার্নিচার ব্যবহার করা।
আমাদের সারাদিনের রুটিনে একটা উল্লেখযোগ্য সময় কাটে বাসার লবি, ব্যালকনি, লিভিংরুমের ফেভারিট কর্নার, স্টাডি রুম এবং অফিসে। একটা এর্গোনমিক এবং ভালো কোয়ালিটির বেডে ঘুমালে যেমন সকালে বেশ ঝরঝরে লাগে, তেমনই ডাইনিং, সোফা আর লবি চেয়ারগুলো এর্গোনমিক হলে শরীর ও মন দু’টাই একটিভ থাকে। হাতিল-এর লবি চেয়ারগুলো কাস্টমারদের এসব প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই বানানো হয়েছে।
ঠিক কীভাবে হাতিল লবি চেয়ার আপনার সকালকে স্নিগ্ধ আর প্রশান্ত করতে পারে চলুন দেখি-
ডিজাইনে অ্যাস্থেটিকস আর এর্গোনমিকস
বেশ খটমট দু’টা শব্দ! কিন্তু ফার্নিচার তৈরির বেলায় এই বিষয় দু’টাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লবি চেয়ার কিন্তু রেগুলার চেয়ারের মতো না। এই চেয়ারগুলোর একটা বড় উদ্দেশ্য হলো পুরো রুমের চেহারা পালটে ফেলা। তাই খেয়াল করলে দেখবেন হাতিল-এর লবি চেয়ার কালেকশন কিন্তু বিশ্বের ট্রেন্ডি আর ক্ল্যাসিক সব ডিজাইনে ভরপুর! মডার্ন ফ্ল্যাট হোক কিংবা পুরনো বাড়ি, রুম ছোটো হোক কিংবা বড়, এই স্টাইলিশ চেয়ারগুলো নিমিষেই ইন্টেরিয়রকে আরও সুন্দর, আরও অ্যাস্থেটিক করে তোলে।
লবি চেয়ারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো রেগুলার চেয়ারের চাইতে এগুলো অনেক বেশি কমফোর্টেবল হয়। পুরু কুশনিং দেওয়া চেয়ার যেমনঃ Jovial-117, Leo-122, Rokel-120 তো আছেই, তাছাড়াও Menander-118 আর Prosody-120’এর মতো স্লিক চেয়ারগুলোকেও এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন দীর্ঘসময় বসলেও কোমর বা পিঠে ব্যথা না হয়। তবে এই ইনোভেশনগুলোর বাইরে গিয়েও হাতিল চেষ্টা করেছে মেন্টাল কমফোর্টের জন্য কিছু ডিজাইন ভ্যারাইটি তৈরি করতে। Browning-125, Hummingbird-121, Uno-108 যেমন ভিন্টেজ অ্যাস্থেটিকসের সৌন্দর্য বহন করে, তেমনই আবার Solitaire-114, Asiatic lily-127 – এগুলো মডার্ন এবং ইনোভেটিভ ডিজাইনের জন্য কাস্টমারদের মাঝে জনপ্রিয়।
বেছে নিন নিজের সুবিধা অনুযায়ী
দেশের যেকোনো ফার্নিচার ব্র্যান্ডের চাইতে বেশি ডিজাইন ভ্যারাইটি আছে হাতিল-এ। ফলে নিজের জন্য পারফেক্ট লবি চেয়ার খুঁজে নেওয়ার অপশনও অনেক বেশি। আপনার উচ্চতা, বসার ধরণ, বাসার অন্যান্য ফার্নিচারের হাইট, ওভারঅল ডিজাইন ইত্যাদির ভিত্তিতে উঁচু কিংবা নিচু লবি চেয়ার বেছে নিন hatil.com থেকে অথবা আপনার আশেপাশের যেকোনো হাতিল শোরুম থেকে। এছাড়াও কিছু দুর্দান্ত স্লিক ডিজাইনের চেয়ার দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
এসবের বাইরেও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। সেটা হলো আপহোলস্টারি ফ্যাব্রিক। আপনার রুমে কতটুকু আলো আসে, ওয়ালের কালার কেমন, রুমের অন্যান্য ফার্নিচার ভিন্টেজ নাকি মডার্ন এরকম আরও নানা বিষয় বিবেচনা করে আপহোলস্টারি ফ্যাব্রিক সিলেক্ট করা উচিৎ। পাশাপাশি, যেই লবি চেয়ারগুলোতে ফ্যাব্রিকের ব্যবহার বেশি, যেমনঃ Franklin-111 আর Brooklyn-124, সেগুলোর ক্ল্যাসিক একটা আবেদন আছে এবং এগুলোর যত্নও আলাদা। আপনার রুমের জন্য মানানসই ফার্নিচার বেছে নিতে এবং ফার্নিচারকে বহু বছর ভালো রাখতে যত্ন নেওয়ার টেকনিক ইত্যাদি সব ধরনের এক্সপার্ট কনসালটেশনও পাবেন হাতিল-এ।
সকালের শুরু, সকাল থেকেই শুরু
রোদ ঝলমলে কিংবা বৃষ্টিস্নাত একটা সকাল, সবে ব্রেকফাস্ট সেরে উষ্ণ এক কাপ চা হাতে আপনি আজকের টু-ডু-লিস্ট বানাতে বসেছেন। বসার চেয়ারটা ঠিক আপনার পছন্দসই পুরু আর নরম কিংবা স্লিক আর ব্যালেন্সড। আরামে কাজ করতে করতে হঠাৎ চেয়ারটার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, “একদম আমার সাথে মানিয়ে গেছে চেয়ারটা!”। দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার পরও কাঁধ, কোমর কিংবা পিঠে কোনো ব্যথা নেই, নেই কোনো ক্লান্তি। ঝরঝরে মেজাজে আপনি এখন রেডি আজকের দিনটাকে সাকসেসফুল করার জন্য। পছন্দ করে বেছে নেয়া ফার্নিচারের কাছ থেকে এই তো চাই!