Variety of Work Stations Variety of Work Stations

ওয়ার্কস্টেশনের রকমফের

ওয়ার্কস্টেশন যেকোনো অফিসেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেশির ভাগ কর্মী এখানে বসেই কাজ করেন। ওয়ার্কস্টেশনকে তাই এক অর্থে অফিসের প্রাণই বলা যেতে পারে। যেখানে বসে কাজ করছেন, সে জায়গাটাই যদি কর্মীদের মনমতো না হয়, তাদের স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান না করতে পারে, তবে কাজ করার মুড ধরে রাখাটাই কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

যে কারণে ওয়ার্কস্টেশনগুলো কীভাবে সাজানো হচ্ছে, সেখানে কাজ করে কর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন কি নাএই ব্যাপারগুলো অফিস সজ্জায় পায় অপরিসীম গুরুত্ব।  

অফিসের ওয়ার্কস্টেশন বেছে নেওয়ার সময় প্রথমে ভাবতে হবে অফিসে কর্মরত মানুষদের পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারটাই। এর সাথে নান্দনিকতা কীভাবে মেলাতে পারেন, সেটা নিয়েই আজকে আমাদের এই ব্লগ। 

ওয়ার্কস্টেশন কেনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

যেকোনো ধরনের ওয়ার্কস্টেশন পছন্দ করার আগে কিছু বিষয় ভেবে নেওয়া প্রয়োজন।

  • ওয়ার্কস্টেশনের জন্য অফিসে কতটুকু জায়গা রাখবেন, এটি প্রথমেই নির্দিষ্ট করে ফেলা ভালো।
  • অফিসের কতজন কর্মী ব্যক্তিগত ওয়ার্কস্টেশনে কাজ করবেন, একই সাথে সেটাও জেনে নিতে হবে। 

এরপরেই আসবে কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্যবোধের ব্যাপারটি। একেক ধরনের অফিস পরিবেশে একেক ধরনের ওয়ার্কস্টেশন মানায়।

  • যেই অফিসে কর্মীদের একসাথে মিলে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেই ধরনের অফিসে খুবই খোলামেলা ওয়ার্কস্টেশন বেছে নেওয়াই ভালো।
  • আবার অনেক অফিসে যদি কর্মীদের প্রাইভেসির বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে বেছে নিতে হবে কিউবিকেল ওয়ার্কস্টেশন কিংবা ‘এল’ ওয়ার্কস্টেশন। 

এর পাশাপাশি প্রাধান্য পাবে নান্দনিকতা। ওয়ার্কস্টেশনের আশপাশে কী ধরনের ফার্নিচার অফিসে রাখা পাবে, সে বিষয়গুলো আগেই ভেবে নিতে হবে। অফিস সজ্জার নকশাটা করে নিলে ওয়ার্কস্টেশন বেছে নিতে সুবিধা হবে। 

আরো পড়ুন: হোম অফিস সেটাপের প্রাথমিক ধারনা

নানান রকমের ওয়ার্কস্টেশন 

ওয়ার্কস্টেশন হতে পারে নানা রকমের। আপনার অফিসের পরিবেশ যে রকম ওয়ার্কস্টেশন দাবি করবে, সেই ধরনের ওয়ার্কস্টেশনেই বেছে নেওয়া উত্তম। চলুন দেখে আসা যাক কী কী ধরনের ওয়ার্কস্টেশন পাওয়া যায় বর্তমান বাজারে। 

বেঞ্চিং ওয়ার্কস্টেশন 

এই ধরনের ওয়ার্কস্টেশন মূলত স্কুল-কলেজের বেঞ্চ রাখার ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ক্লাসরুম সাজানো হয়, ঠিক একইভাবে এই ধরনের ওয়ার্কস্টেশনে সহকর্মীদের মাঝে সর্বোচ্চ যোগাযোগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়। ফলে এই ধরনের ওয়ার্কস্টেশনে তেমন কোনো ডিভাইডার থাকে না। একই খোলা টেবিলের একেক অংশে কাজ করেন একেকজন কর্মী। এগুলোকে তাই ওপেন ওয়ার্কস্টেশনও বলা হয়ে থাকে।

এই ধরনের ওয়ার্কস্টেশনের ধারণা তুলনামূলকভাবে বেশ নতুন। পুরোনো প্রতিষ্ঠান এবং অফিসে এগুলো খুব একটা দেখা যায় না। তবে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ওপেন ওয়ার্কস্টেশন। 

ওপেন ওয়ার্কস্টেশন চাইলে বেছে নিতে পারেন হাতিলের কার্সন-৩০৩ কিংবা ডগলাস ৩০৮ ওয়ার্কস্টেশনগুলো। ২৬৫০০ টাকা দামের কার্সন-৩০৩ মডেলটি একইসাথে আপনার খরচ বাঁচাবে এবং অফিস সজ্জায় যোগ করবে আধুনিক ছোঁয়া।

দুজন বসার জন্য উপযুক্ত প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশনের মাঝে আছে একটি করে কাচের পার্টিশন। এতে ওয়ার্কস্টেশন যেমন খোলামেলা থাকে, তেমনি কারো জায়গা নিয়ে সমস্যা হয় না। স্টার্টআপ অফিসগুলোর সাথে দারুণভাবে মানিয়ে যাবে এই ওয়ার্কস্টেশনটি। 

কার্সন-৩০৩ এর তুলনায় প্রস্থে একটু ছোট হলেও আরেকটু কম দামে ডগলাস ৩০৮ মডেলটিও একই উপযোগিতা প্রদান করবে। গ্রে টেক্সচারের এই ওয়ার্কস্টেশনের প্রতিটির দাম ২৮০০০ টাকা। 

Carson-303-EB

কার্সন-৩০৩ 

Buy Now

যদি একদম ওপেন ওয়ার্কস্টেশন না চান, আবার পুরোপুরি বদ্ধ ওয়ার্কস্টেশনও আপনার পছন্দ না হয়, তবে ফ্লেমিং-৩০৭-ইবি ওয়ার্কস্টেশনটি আপনার পছন্দ হতে পারে। এই ওয়ার্কস্টেশনটিকে সেমি-ওপেন বলা যেতে পারে।

এটি হাতিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়ার্কস্টেশনগুলোর মাঝে একটি। উচ্চমানের পার্টিকেল বোর্ড দিয়ে বানানো এই ওয়ার্কস্টেশনটি যেকোনো অফিসেই মানিয়ে যাবে, তা হোক নতুন স্টার্টআপ কিংবা মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন। এই ওয়ার্কস্টেশনটি পাওয়া যায় ইবোনি এবং গ্রে রঙে। 

Work Station Fleming 307 EB

ফ্লেমিং ৩০৭ 

Buy Now

কিউবিকল ওয়ার্কস্টেশন 

পুরোনো দিনে এ ধরনের ওয়ার্কস্টেশনই সবচেয়ে বেশি দেখা যেত। এখনো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কিউবিকল ওয়ার্কস্টেশনের ওপরেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। এই ধরনের ওয়ার্কস্টেশনে প্রতি একজন কিংবা দুজন কর্মীর একটি করে কিউবিকল থাকে।

এখানে কর্মীদের প্রাইভেসি নিশ্চিত করা অন্য যেকোনো ধরনের ওয়ার্কস্টেশনের চেয়ে সহজ হয়। এই ধরনের ওয়ার্কস্টেশনের দাম সাধারণত অন্যান্য ওয়ার্কস্টেশনের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। 

Work Station Tesla 306

টেসলা ৩০৬

Buy Now

হাতিলের কিউবিকল ওয়ার্কস্টেশনের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেলটির নাম টেসলা ৩০৬। যারা একেবারে আদি ওয়ার্কস্টেশনের ধরন পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই মডেলটি আদর্শ। ল্যামিনেশন বোর্ডের ওপর করা এই ওয়ার্কস্টেশনের প্রতিটি পাওয়া যাবে ৭০ হাজার টাকায়। 

আরো পড়ুন: হোম অফিস সাজাবেন? জেনে নিন ১০টি প্রয়োজনীয় টিপস

এ ধরনের ওয়ার্কস্টেশন সাধারণত খুবই প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোতেই দেখা যায়। এখানে ওয়ার্কস্টেশন খোলা থাকলেও কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাইভেসিতে আঁচ পড়ে না। একটি অফিস ডেস্কের সাথে ইংরেজি ‘এল’ শেপের একটি স্টোরেজ ইউনিট রাখা হয়। তাই এটির নামকরণ এল ওয়ার্কস্টেশন করা হয়েছে। 

এ ধরনের ওয়ার্কস্টেশন অন্যান্য ওয়ার্কস্টেশনের তুলনায় বেশি জায়গা নেয়। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে কখনোই এ ধরনের ওয়ার্কস্টেশন বেছে নেওয়া উচিত নয়। 

অফিস কর্মীদের কথা চিন্তা করে কোন ধরনের ওয়ার্কস্টেশন আপনি পছন্দ করছেন, সেটা দ্রুত জানিয়ে দিন আমাদের।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।