করোনাভাইরাসকেন্দ্রিক বিধিনিষেধ অনেক ক্ষেত্রে কমে গেলেও এই ভাইরাস এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদের আশপাশেই । যেহেতু পুরো দুনিয়া চেষ্টা করছে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করার, অতএব আপনাকে-আমাকেও ফিরতে হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনে। এই স্বাভাবিক জীবনের নতুন নাম ‘নিউ নরমাল’। বিশেষ নামের এই স্বাভাবিক জীবন যদিও পুরোপুরি স্বাভাবিক না। তবে কী আর করার, করোনাভাইরাস পুরোপুরি বিদায় নেওয়ার আগপর্যন্ত এটাই মন্দের ভালো আরকি!
নিউ নরমাল জীবনেও মানতে হচ্ছে অনেক অনেক বিধিনিষেধ। নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে এড়িয়ে চলতে হচ্ছে জনসমাগম। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ‘নতুন স্বাভাবিক’ জীবনে অনলাইন শপিং এখন ভীষণ জনপ্রিয়। তবে এই অনলাইন শপিংয়ে শুধু ছবি দেখেই মেলে না সন্তুষ্টি। মনে হয়, আরও কিছুটা বাস্তবের মতো দেখতে পারলে বেশ হতো। আসবাব কেনার কথাই ভেবে দেখুন। আসবাব কেনার সময় আমরা তুলনামূলক বড় অঙ্ক খরচ করি। এটি একধরনের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগও বটে। তাই অনলাইনে এক কেজি পেঁয়াজ বা একটি শার্টের ছবি দেখেই হয়তো অর্ডার করে ফেলা যায়, কিন্তু পুরো একটি ডাইনিং টেবিল সেট শুধু ছবির ভিত্তিতে অর্ডার করা খুব স্বস্তিদায়ক হয় না। তাই অনলাইনে আসবাব অর্ডার করা নিয়ে ক্রেতার মনে যেসব শঙ্কা এবং অস্বস্তি কাজ করে, সেসবের কথা ভেবেই এক ‘বাস্তব’ সমাধানের ব্যবস্থা করেছে হাতিল। প্রায় বাস্তব শোরুমের মতোই অনলাইনে ঘুরে ঘুরে ফার্নিচার দেখতে পারবেন হাতিল ভার্চ্যুয়াল শোরুম!
ভার্চ্যুয়াল শোরুম কী?
আপনি যে ঘরটাতে বসে আছেন, সেটা খুব সহজেই ঘাড় ঘুরিয়ে পুরোটা দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু অন্য ঘরে বসে থাকা আপনার কোনো বন্ধু কিন্তু আপনার ঘরটা দেখতে পাচ্ছে না। একইভাবে আপনি আপনার ঘরে বসে কোনো পণ্যের শোরুম ঘুরে দেখতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনাকে উপস্থিত হতে হবে নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের শোরুমে। তবে ভার্চ্যুয়াল শোরুমে আপনি আপনার ঘরে বসেই ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবেন শোরুম। বাছাই করতে পারবেন আপনার পছন্দের পণ্য। মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল শোরুমের মাধ্যমে আপনি উপভোগ করতে পারবেন শোরুমের রিয়েল এক্সপেরিয়েন্স!
স্ক্রিনে আঙুল ঘুরিয়ে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে দেখতে পাবেন সবকিছু। ভিআর বক্স ব্যবহার করলে মাথা যেদিকে ঘোরাবেন, দেখতে পাবেন সেখানকার সবকিছু। ছুয়ে দেখতে না পারলেও ভার্চ্যুয়াল শোরুম ঘুরে পাবেন বাস্তব শোরুম ঘোরার অনুভূতি। ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটির গেমসের ধারণা বেশ আগের হলেও ভার্চ্যুয়াল শোরুম খুব বেশি পুরোনো না। করোনাকালে এর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে অনেক। তবে হাতিলের ভার্চ্যুয়াল শোরুমের যাত্রাটা শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। ২০১৮ সাল থেকেই গ্রাহকদের ভার্চ্যুয়াল শোরুমের সেবা দিচ্ছে হাতিল ফার্নিচার।
ভার্চ্যুয়াল শোরুমের হাজারটা সুবিধা। এত সব সুবিধা ফেলে ভবিষ্যতের দিনগুলোতে মানুষ সত্যিকারের শোরুমে কতটা যাবে, সেটাও এক ভাবনার বিষয়!
বাঁচবে সময়, বাঁচবে শ্রম
ঢাকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যানজট। ঢাকাবাসীর জীবনের অনেকটা সময়ই কেটে যায় যানজটের বসে। ঢাকার বিশাল যানজট পাড়ি দিতে হবে ভেবেই কত প্ল্যান বাতিল করি আমরা। ফার্নিচারের শোরুম ঘুরে দেখতে বাসা থেকে একটু দূরে কোনো শোরুমে যাওয়াটাও যানজটের কারণে বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ভার্চ্যুয়াল শোরুমের মাধ্যমে আপনি যেহেতু ঘরে বসেই শোরুমের সবকিছু দেখতে পাবেন, প্রয়োজন হবে না বাইরে বের হওয়ার। ভার্চ্যুয়াল শোরুম সেবা আপনাকে যানজটের যন্ত্রণা থেকে অনেকটাই রেহাই দেবে, বাঁচাবে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময়।
সপ্তাহজুড়ে অনেক ব্যস্ততার পর ছুটির দিনে ইচ্ছে করে সারা দিন ঘরে বসে আরাম করে কাটিয়ে দিতে। তবে ছুটির দিনেই সময় পাওয়া যায় বলে ফার্নিচার কেনার জন্য বের হতে হয় এমন কোনো সময়েই। তবে ছুটির দিন ছাড়াও অনেকেই ফার্নিচার কিনতে বের হন। কাজ শেষে সময় বের করে, যানজট পার করে শোরুমে পৌঁছানোটাও বেশ পরিশ্রমের ব্যাপার। ঘরে বসে ভার্চ্যুয়াল শোরুমে কেনাকাটার ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার শ্রমটাও বেঁচে যাবে।
হাতিল ভি : দেশের সেরা ভার্চ্যুয়াল শোরুম
ফার্নিচার গ্রাহকদের জন্য হাতিলের ভার্চ্যুয়াল শোরুম দারুণ একটা ব্যাপার। হাতিল ভার্চ্যুয়াল শোরুমকে বলে ‘হাতিল ভি’। হাতিলের ফিজিক্যাল শোরুমে হাঁটতে হাঁটতে দেখা যায় সাজানো-গোছানো দারুণ সব ফার্নিচার। ‘হাতিল ভি’তেও ব্যাপারটা একদমই এক। নিজের ইচ্ছেমতো ভার্চ্যুয়ালি হেঁটে হেঁটে যেন একদম বাস্তবের স্বাদ পান গ্রাহক, সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে হাতিল ভি।
বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য আলাদা দুটি ভার্চ্যুয়াল শোরুম তৈরি করেছে হাতিল। হাতিল ভির নকশা করা হয়েছে বাস্তব একটি ভবনের মতো করে। সাততলাবিশিষ্ট এই ভার্চ্যুয়াল শোরুম ভবনে একসঙ্গে দেখা যাবে হাতিলের সব ফার্নিচার। রিয়েল টাইম রুলারের সাহায্যে ফার্নিচারের সাইজ মাপারও সুযোগ আছে হাতিল ভিতে। এক ক্লিকেই এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে যাওয়ার সুবিধা, ওপর থেকে পুরো ফ্লোর দেখা ও একবারে পুরো ভবন দেখতে পারাসহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে হাতিলের ভার্চ্যুয়াল শোরুমে।
মূলত চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে হাতিলের ভার্চ্যুয়াল শোরুমকে। লিভিং রুম, বেড ও ডাইনিং, অফিস এবং প্রাতিষ্ঠানিক ফার্নিচার। তবে যেকোনো সেকশনে ঢুকলেও আপনি ভার্চ্যুয়াল শোরুমে থাকা অবস্থাতেই খুব সহজেই যেতে পারবেন অন্য সেকশনে। হাতিলের ভার্চ্যুয়াল শোরুমে ঘোরার সময় পছন্দের ফার্নিচারে ক্লিক করলে হাতিলের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন সেই ফার্নিচারটি সব তথ্য। চাইলে ফার্নিচারটি অর্ডারও করে ফেলতে পারবেন ঘরে বসেই!
পৃথিবীটা ভার্চ্যুয়াল হয়ে যাচ্ছে। যুগের সাথে তাল মেলাতে আমাদেরও হাঁটতে হচ্ছে সে পথেই। স্মার্ট জীবনযাপনে হাতিল ভার্চ্যুয়াল শোরুম আপনার জীবনকে করে তুলবে আরও সহজ, আরও সুন্দর।