hatil back support chair hatil back support chair

হাতিল এর অর্গনোমিক চেয়ার আপনার কেন প্রয়োজন

আপনি জানেন কি-গবেষণায় দেখা গেছে, একজন অফিসকর্মী বছরে গড়ে প্রায় ১৭০০ ঘন্টা তার কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে কাটিয়ে দেন অর্থাৎ তিনি দৈনিক প্রায় ৬.৫ ঘন্টা একটানা চেয়ারে বসে স্ক্রিণে কাজ করে থাকেন।

কোভিডকালীন এই দূর্যোগে বিশ্বব্যপী সবার জীবন হয়তো কিছুটা থমকে গেছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়েই এখন নিউ নরমালে অভ্যস্ত হচ্ছেন সকলে। কেনাকাটা, অফিসের কাজ কিংবা পড়াশুনা-সবই চলছে এখন ঘরে বসে অনলাইনে।

আর সে কারণে একটানা স্ক্রিণের সামনে বসে থেকে কাজ করার পরিমাণও অনেকটাই বেড়ে গেছে। দীর্ঘ সময়ে এভাবে বসে একটানা কাজ করার ক্ষতিকর দিকটি সম্পর্কে অবগত আছেন কি?

দীর্ঘ সময়ে এভাবে বসে থাকাতে পেশি শক্তির তেমন ব্যবহার না হলেও, এতে যে ইনজুরিতে পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই, এমনটা কিন্তু নয়! বরং দেখা যায় যে, যারা ভারি কাজ করেন তাদের তুলনায় ভেরিক্রোজ ভেইন, স্টিফ নেক, ব্যাক পেইন, শরীরে অসাড়তা ইত্যাদি গুরুতর অসুস্থতাগুলো যারা দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে কাজ করেন তাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।

এইরকম ফিক্সড ওয়াকিং পজিশনে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন হ্রাস প্রায়, মাংশপেশি সহজেই দূর্বল হয়ে পড়ে যে কারণে পেশি আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

বুঝতেই পারছেন, এভাবে কাজ করার ঝুঁকি বেশ গুরুতর। কিন্তু যাদের লম্বা সময় ধরে ফিক্সড ওয়ার্কিং পজিশনে কাজ করা ছাড়া উপায় নেই, তারা কি করবেন? আপনার এই প্রশ্নের উত্তর নিয়েই রইলো আজকের এই আর্টিকেল।

যেহেতু দিনের অনেকটা সময়ই বসে থেকে কাজ করতে হচ্ছে, শুরুতেই চেয়ার নির্বাচনে হতে হবে আপনাকে অত্যন্ত সতর্ক। ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য আর স্বাস্থ্যগত উপযোগীতার কথা মাথায় রেখে আধুনিক আসবাব নির্মাতারা সাধারণ চেয়ারের বেশ কিছু বিকল্প নিয়ে এসেছেন।

এ ধরনের চেয়ারগুলি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে করে এর অর্থোপেডিক বৈশিষ্ট্য যেমন আপনার পেশির সুস্থতা নিশ্চিত করবে, তেমনি আরামদায়ক ব্যবহার কাজে আনবে মনযোগ ও গতিশীলতা। এক্ষেত্রে মূল প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে এরগোনোমিক চেয়ারের ধারণাটি।

ergonomic chair for backpain

অর্গনোমিক চেয়ার বলতে কি বোঝায়?

খাবার ঘরে যে চেয়ারে বসে আপনি খাচ্ছেন, সারাদিনের কাজে নিশ্চয়ই আবার সেই চেয়ারটিই ব্যবহার করবেন না? কারণ কাজের উপর ভিত্তি করে অবশ্যই বিভিন্ন চেয়ারের ভিন্ন প্রায়োগিক দিক রয়েছে।

অর্গনোমিক চেয়ার বলা হয় এমন ডিজাইনের চেয়ারগুলোকে যা ব্যবহারকারীর গড়নের সাথে যথাযথ ভাবে মানানসই, দীর্ঘক্ষণ এতে বসে কাজ করলেও কোন অস্বস্তির সৃষ্টি হয় না, ভালো পশ্চার মেইনটেইন করার মাধ্যমে কাজে স্বাচ্ছন্দ্যতা নিশ্চিত হয়। এতে করে ব্যাক পেইন, স্টিফ নেক কিংবা ভেরিক্রোজ ভেইনের মতো ইনজুরিগুলো থেকে সহজেই মুক্তি মেলে।

একটি ভালো অর্গনোমিক চেয়ারের বৈশিষ্ট্য কি কি?

ব্যক্তিবিশেষে চাহিদা অনুযায়ী সঠিক চেয়ারটি নির্বাচন করতে হলে কিছু মূখ্য দিকের প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরি। একটি ভালো অর্গনোমিক চেয়ারে অবশ্যই নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি থাকবে-

আসন উচ্চতাঃ একটি ভালো অর্গনোমিক চেয়ারে সিট এডজাস্টিবিলিটির সুবিধা থাকবে যাতে ব্যবহারকারী খুব সহজেই নিজের উচ্চতা ও প্রয়োজন অনুযায়ী তা পরিবর্তন করতে পারেন। এতে করে অস্বস্তিকর কোন অবস্থায় থেকে তাকে একটানা কাজ করে যেতে হবেনা।

এক্ষেত্রে আসন উচ্চতা মূলত মাটি থেকে ১৬-২১ ইঞ্চি পর্যন্ত রাখা হয়। যে কারণে ব্যবহারকারী খুব সহজেই হাত ও উরু সমান্তরালে এবং পা মাটিতে রেখে কাজ করতে পারেন, যা আরামদায়ক এবং একই সাথে স্বাস্থ্যসম্মত।

ব্যাকরেস্টঃ চেয়ারের যে অংশটিতে হেলান দেয়ার সুবিধা থাকে, তাকে ওই চেয়ারের ব্যাকরেস্ট বলা হয়। একটি ভালো অর্গনোমিক চেয়ারের ব্যাকরেস্ট প্রায় ১২-১৯ ইঞ্চি চওড়া হওয়া উচিত। চেয়ার থেকে ব্যাকরেস্ট অংশটি যদি আলাদাভাবে নির্মিত হয়, সেটি অবশ্যই হাইট ও এংগেল এডজাস্টেবল হতে হবে যাতে করে পুরোদমে পিঠ ও মেরুদন্ডকে বিশেষভাবে সাপোর্ট করতে পারে। একটানা ফিক্সড পজিশনে কাজ যাতে করতে না হয়, ব্যাকরেস্টের এংগেল এডজাস্টিবিলিটি সেই সুবিধা নিশ্চিত করবে।

লাম্বার সাপোর্টঃ আপনার শরীরে মেরুদন্ডের নিচের দিকের কশেরুকা গুলোকে লাম্বার কশেরুকা বলা হয় আর এদের গঠন এমন যে দীর্ঘক্ষণ কোন ব্যাক সাপোর্ট ছাড়া একই পজিশনে থেকে কাজ করলে সহজেই ইনজুরড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এজন্য একটি ভালো অর্গনোমিক চেয়ারে লাম্বার সাপোর্ট থাকা বেশ জরুরী। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী যাতে নিজ আকার অনুযায়ী লোয়ার ব্যাকের সাপোর্ট নিশ্চিত করতে পারেন, একটি ভালো অর্গনোমিক চেয়ারে লাম্বার এডজাস্টমেন্ট অপশনটি উপলভ্য থাকে।

ম্যাটেরিয়ালসঃ ব্যবহারে আরাম ও স্বস্তি নিশ্চিত করতে চেয়ারের আসন ও ব্যকরেস্টের ম্যাটেরিয়ালস হতে হবে অত্যন্ত ভালো কোয়ালিটিসম্পন্ন ও যথেষ্ট প্যাডেড।

একটি আসবাব যেহেতু বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্যবহার করা হয়, তার ম্যাটেরিয়ালস যাতে সেরা মানের ও দীর্ঘস্থায়ী হয়, এ ব্যপারে বিশেষ নজর দেয়া জরুরি। চেয়ারে ব্যবহারকৃত ফ্যাব্রিকটিও যাতে আরামদায়ক ও উপভোগ্য হয়, এই দিকটিও একটি ভালো এরগোনমিক চেয়ার নির্মাণ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা হয়।

আর্মরেস্টঃ একটি চেয়ারের হাতলের অংশটিকে বলা হয় আর্মরেস্ট। কাজ করার সময় যাতে ব্যবহারকারী আরামে নিজের হাত রেখে রিলাক্সে কাজ করতে পারেন- অর্গনোমিক চেয়ারে আর্মরেস্ট অংশটি এই দিকটি নিশ্চিত করে। এতে করে স্টিফ নেকের মতো শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে।

সুইভেলঃ সুইভেল চেয়ারগুলোতে স্মুথ রোটেটিং ও রোলিং মেশিন থাকার সহজেই অক্ষের চারিদিকে ঘুরানো যায় এবং ব্যবহারকারী নিজ সুবিধা অনুযায়ী তার অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন।

এতে করে একই পজিশনে থেকে দীর্ঘক্ষণ তাকে কাজ করতে হয় না এবং প্রয়োজনভেদে কাজের ফাঁকে তিনি চেয়ারের অবস্থান পরিবর্তন করে বিশ্রামও নিতে পারেন। একটি ভালো অর্গনোমিক চেয়ারে অবশ্যই এরূপ রোটেটিং ও রোলিং সুবিধা থাকে।

কেন ব্যবহার করবেন অর্গনোমিক চেয়ার?

আসবাব বা ফার্নিচার ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য যতটা না আমাদের জীবনকে আড়ম্বরপূর্ণ করে তোলা, তার থেকেও বেশি আমাদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ও গতিশীলতা এনে দেয়া।

কোন উপযোগীতাবিহীন আসবাব হয়তো আমাদের মনের শৌখিনতার খোরাক যোগাবে, কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে এমন কোন আসবাবই যা আমাদের কাজে আসে।

আর এ কারণেই এরগোনমিক চেয়ারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এ ধরণের চেয়ার যে শুধু মাত্র অফিসকর্মীরা ব্যবহার করছেন এমনটা নয় বরং এটি বাসা-বাড়িতে, রেস্টুরেন্ট, শো-রুম ইত্যাদি অনেক প্রতিষ্ঠানেই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ধরণভেদে বিভিন্ন প্রকারের অর্গনোমিক চেয়ার রয়েছে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রিভলবিং চেয়ার, এক্সিকিউটিভ সুইভেল চেয়ার, টাস্ক চেয়ার, ক্রিয়েটিভ সুইভেল চেয়ার, লো লেভেল সুইভেল চেয়ার, গেমিং চেয়ার ইত্যাদি।

এরপরেও যদি আপনার মনে প্রশ্ন থেকে থাকে যে কেন কিনবেন অর্গনোমিক চেয়ার, উত্তর পেতে পড়তে থাকুন এই ব্লগটি।

কর্মক্ষমতাঃ অর্গনোমিক চেয়ারের নির্মাণশৈলীতে ব্যবহারকারীর শারিরীক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক দিকটিকেও মাথায় রাখা হয়। সাধারণ চেয়ারগুলিতে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে শরীরে সর্বাক্ষণিক একটি চাপ অনুভূত হয়, কিন্তু অর্গনোমিক মডেলগুলো অন্যভাবে কাজ করে বিধায় কাজের সময় শরীরের পেশিগুলো শিথিল অবস্থায় থাকে এবং ফ্লেক্সিবিলিটি নিশ্চিত হয়। এতে কাজে মনযোগ বাড়ে এবং কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

Hatil ergonomic Chair

শারীরিক সুস্থতাঃ সাধারণ চেয়ারগুলো দীর্ঘক্ষণ বসে একটানা বসে কাজ করার জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়।এভাবে ফিক্সড পজিশনে অনেক সময় ধরে কাজ করতে থাকলে ঘাড়, হাত-পা, কোমর, পিঠ, নিতম্ব ইত্যাদি স্থানে ব্যথা অনুভূত হয় যা সময়ের সাথে অনেক গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

কিন্তু অর্গনোমিক চেয়ারগুলি ডিজাইন করার সময় নির্মাতা ব্যবহারকারীদের উচ্চতা, ওজন, বাহু ও পাগুলির অবস্থান, পিঠের অবস্থান, বসার অবস্থান, শরীরের অবস্থান ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে কাজ করেন। ফলে খুবই সহজে ও আরামে অনেকক্ষণ ধরে চেয়ারে বসে কাজ করা যায়, আবার প্রয়োজনে বিশ্রামও করা যায় এবং শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও আশংকা থাকে না।

নির্বাচনে বহুমাত্রিকতাঃ প্রত্যেকটি মানুষের ধরণ ও গঠন আলাদা। অর্গনোমিক চেয়ারে এই দিকটি বিবেচনায় নেয়া হয়। নিজের উচ্চতা, আকার অনুযায়ী বিভিন্ন রেঞ্জের এরগোনমিক চেয়ার বাজারে পাওয়া যায়। শুধু যে অফিসে কাজের ক্ষেত্রেই এই ধরণের চেয়ার ব্যবহার করতে হবে এমন নয়, পড়াশুনা, ছোট বাচ্চাদের জন্য বা ঘর সাজানোর জন্যও বিভিন্ন ডিজাইন ও সাইজের অর্গনোমিক চেয়ার ব্যবহার করতে পারেন। ডিজাইন ও সাইজের এই বহুমাত্রিকতা অর্গনোমিক চেয়ারকে সকল ক্ষেত্রেই বেশ জনপ্রিয় করে তুলেছে।

উচ্চ মানের ম্যাটেরিয়ালসঃ যেহেতু আর্থোপেডিক গুণাবলির দিকে লক্ষ্য রেখে অর্গনোমিক চেয়ারগুলো বানানো হয়, তৈরী করার সময় ব্যবহার করা হয় আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন প্রক্রিয়া এবং উপাদানের ক্ষেত্রে মানের দিকে খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখা হয়। তাই একটি চেয়ার কিনে আপনি এর দীর্ঘ স্থায়িত্বতা,মান ও টেকসই নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন।

সহজ ও আরামদায়ক ব্যবহারঃ অর্গনোমিক চেয়ারগুলো কিন্তু খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী এতে আছে টিল্ট, রোটেটিং ও এডজাস্টেবিলিটির সুবিধা। নিজের আরামের দিকে লক্ষ্য রেখে খুব সহজেই চেয়ারের উচ্চতা, দিক বা অবস্থানটুকু এতে পরিবর্তন করে দিতে পারবেন।

হাতিল অর্গনোমিক চেয়ার

গ্রাহকের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ীই দেশের সবচেয়ে বড় ফার্নিচার ব্র্যান্ড হাতিল প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। আসবাব ডিজাইনের ক্ষেত্রে হাতিলের মূল উদ্দেশ্য আসবাবের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে একটি আধুনিক ও নান্দনিক পণ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়া। হাতিলে রয়েছে অফিস রেঞ্জ ফার্নিচারের এক বিশাল সমাহার।

সেখান থেকেই কয়েকটি এমন চেয়ার নিয়ে লিখছি যাদের নির্মাণশৈলীতে চেয়ার এরগোনমিক্সের দিকগুলির দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে-

Couplet-134

Hatil Director Chair

শক্ত ও দীর্ঘমেয়াদি এই চেয়ারটি তৈরী করা হয়েছে ক্লিন ড্রাইড ইম্পোর্টেড বিচ ভিনিয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ার্ড উড ও সুপিরিওর কোয়ালিটির নাইলন বেসের সমন্বয়ে। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও আরামদায়ক করে তুলতে এতে রয়েছে ফ্যাব্রিক আপহোলস্টেরি ডিউরেবল কুশনিং।

সহজেই চেয়ারটিকে মুভ করতে পারবেন কেননা এতে আছে স্মুথ রোটেটিং ও রোলিং সুবিধা। অফিসে কাজে, ঘরে পড়তে বা কম্পিউটারে কাজ করতে খুবই উপযোগী এই সুইভেল চেয়ারটি। আধুনিক ধাঁচের এই চেয়ারটি আপনার অফিস কিংবা ঘর, যেকোন জায়গায়ই খুব সহজে মানিয়ে যাবে।

Aria-132

Director Chair BD

ক্লিন ড্রাইড ইম্পোর্টেড বিচ ভিনিয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ার্ড উড ও সুপিরিওর কোয়ালিটির ক্রোম বেসড মাইল্ড স্টিল এবং নাইলন বেসের সাথে এই চেয়ারটির দীর্ঘস্থায়িত্বতা বৃদ্ধির জন্য এটি তৈরী করা হয়েছে মেটাল ইনার্ট গ্যাসের ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে। বুঝতেই পারছেন, চেয়ারটি কি পরিমাণ মজবুত আর টেকসই হবে।

সেই সাথে একটি ভালো এরগোনমিক চেয়ারের বৈশিষ্ট্যসমূহ, যেমনঃ সিট এডজাস্টিবিলিটি, রোটেটিং, টিল্টিং, হেড রেস্টের সুবিধা, ভালো কোয়ালিটির প্যাডিং ইত্যাদি সবই আছে এর মধ্যে। কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নিয়ে আরামে কাজ করতে এ ধরণের চেয়ারের বিকল্প নেই।

Descent-131

Hatil Director Chair BD

ক্লিন ড্রাইড ইম্পোর্টেড ন্যাচারাল উড, ভিনিয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ার্ড উড, ক্রোম প্লেটেড মাইল্ড স্টিল, আপহোলস্টেরি সফট ও ডিউরেবল ফ্র্যাবিক কুশনিং- সব মিলিয়ে এই চেয়ারটি অসাধারণভাবে এরগোনমিক্যালি ডিজাইন করা হয়েছে। স্লিক ও রেট্রো ধাঁচের এই চেয়ারটি তৈরীতে আধুনিক জাপানিজ সিএনসি মেশিন ও মেটাল ইনার্ট গ্যাসের ওয়েল্ডিং এর ব্যবহার অন্যান্য সকল চেয়ার থেকে একে আরও অনেক মজবুত, টেকসই করে তুলেছে।

যদি একটি চেয়ার কিনে অনেক বছর নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে চান, Descent-131 একটি আদর্শ পছন্দ। চেয়ারটিতে বিশেষভাবে ব্যাক সাপোর্ট, আরামদায়ক হেডরেস্ট, আর্মরেস্ট, সিট এডজাস্টেবিলিটি ও টিল্টিং এর সুবিধা রয়েছে।

আপনার পরিবারের সুস্থতার ভার কিন্তু আপনার হাতেই, সেই সাথে নিজের খেয়াল রাখাও বিশেষভাবে জরুরি। যেহেতু আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমাদের বেশিরভাগ জীবনযাত্রাই অনলাইন ও ডেস্ক জবমুখী, এখনই সময় আপনার ব্যবহার করা চেয়ারটির দিকে নজর দেয়ার।

চিন্তা করে দেখুন, দীর্ঘক্ষণ একটি চেয়ারে একটানা অস্বস্তিকরভাবে সময় কাটিয়ে নিজের ক্ষতি করছেন না তো? তাই নিজের ও পরিবারের স্বার্থে আজই কিনে ফেলুন এরগোনমিক চেয়ার, যাতে করে খুব সহজে ও স্বস্তিতে কাটে আপনার ও পরিবারের সদস্যদের কাজ কিংবা অবসর সময়গুলো।

আর কেনাকাটার সুবিধায় হাতিলের অর্গনোমিক চেয়ারের বিশাল সংগ্রহ তো আছেই যেখানে আধুনিক ও স্মার্ট ডিজাইনের সকল অর্গনোমিক চেয়ার থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের চেয়ারটি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।