নাসরিন আরা বেগমের রান্নাবান্নার খুব শখ। তার মেয়ে রিতা ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে। করোনার সময়ে লকডাউনের মাঝে মা-মেয়ে একসাথে অনেকটা সময় পেয়ে দুজন মিলে ইউটিউব দেখে রান্না করেছেন দেশি-বিদেশি নানান খাবার। সেই সাথে রিতার বদৌলতে ঘরে এসেছে আরও নতুন রান্নার সরঞ্জাম।
প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে রান্নাবান্না করার পর এখন এসে বিপাকে পড়েছেন সেসব জিনিস রাখার জায়গা নিয়ে। এ রকম মিষ্টিমধুর সমস্যা সমাধানেই রয়েছে হাতিলের মিনি বা ছোট কেবিনেট।
মিনি কেবিনেট নামের সাথেই জড়িয়ে আছে ছোট ছিমছাম একটা বিষয়। ছোট কিংবা বড় ঘর গুছিয়ে রাখতে মিনি কেবিনেট খুবই কার্যকর। সুন্দর একটা গোছানো ঘরের সাথে জড়িয়ে থাকে চাহিদা আর সামর্থ্যের সামঞ্জস্য আর সেই সাথে রুচির বিষয়টিও লক্ষ রাখতে হয়।
খাবার ঘর আর বসার ঘরের অতিরিক্ত জিনিসগুলোর মাঝে কতগুলো বদ্ধ কেবিনেটে আর কতগুলো খোলা কেবিনেটে রাখার মতো হয়ে থাকে সাধারণত। আর এই খোলা আর বদ্ধ রাখার মেলবন্ধনেই তৈরি করা হয়েছে মিনি কেবিনেটগুলো।
কাচ ও কাঠের মেলবন্ধনে তৈরি Linen-104
Linen-104 ঘরের যেকোনো কিছু গুছিয়ে রাখতে বেশ কার্যকর
প্রতিদিন সকালে এক কাপ চায়ের সাথে আরাম করে খবরের কাগজ পড়তে কার না ভালো লাগে। বসার ঘরে এই খবরের কাগজ দিন ফুরোলে কোথায় রাখা হবে, সেটাও একটা ভাবনার বিষয়। রোজকার খবরের কাগজ তো ফেলে দেওয়া যায় না। তার জন্য আছে হাতিলের Linen-104।
শুধু খবরের কাগজ নয় যেকোনো প্রয়োজনীয় জিনিসই এতে গুছিয়ে রেখে দেওয়া সম্ভব। ওপরে গ্লাসের সারফেস ডিজাইনে আরও আভিজাত্য এনে দিয়েছে। শোপিস কিংবা প্রিয় যেকোনো কিছু সাজানোর জন্য উপযুক্ত। অ্যান্টিক আর ন্যাচারাল কালারের এই মিনি কেবিনেটটি ক্ল্যাসিক কাঠের সিমিট্রিসিটি মেইনটেইন করে ডিজাইন করা, যেটা ঘরের নান্দনিকতা বাড়িয়ে দেবে বহু গুণে।
নান্দনিকতার বাক্স Elgar-102
Elgar-102-এর ডিজাইনে আছে পুরোনো দিনের ছোঁয়া
খাবার ঘর সাধারণত পুরো বাসার একটা বিশাল অংশজুড়ে থাকে আর সেই সাথে সেমি প্রাইভেট স্পেস হওয়াতে ঘরের মানুষ কিংবা মেহমান সবার আগমন ঘটে এই ঘরটাতে। যেহেতু রান্না করা থেকে রান্না পরিবেশনসংক্রান্ত কার্যকলাপে খাবার ঘর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। খাবার ঘরে জিনিসপত্রের পরিমাণ আর ধরনেও ভিন্নতা সবচেয়ে বেশি থাকে। সেখানে প্রয়োজন মেটানোর সাথে শৌখিনতার দিকটাও লক্ষ রাখতে হয়।
সে রকমই একটি মিনি কেবিনেট হচ্ছে Elgar-102। ক্লিন ড্রাইড বিচউড আর ভিনিয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ার্ড কাঠ দিয়ে তৈরি এই কেবিনেটটি ঘরের যেকোনো কোণে মানিয়ে যাবে খুব সহজে। চারটি কম্পার্টমেন্টে ভাগ করা যার মাঝে দুটি গ্লাসের ডোর আর বাকি দুটি কাঠের। ভেতরের রাখা জিনিস দৃশ্যমান রাখতে চাওয়া বা না-চাওয়ার জন্য পারফেক্ট কম্বিনেশন।
আভিজাত্যের ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ Lace-104
Lace-104 পারফেক্ট মিনি কেবিনেট, যা ঘরে আনে এলিগেন্ট লুক
ঘরে আভিজাত্যের ছোঁয়া আনতে ল্যাকুয়ের ফিনিশড Lace-106 মডেলটির জুড়ি নেই। যেকোনো ঘরেই ব্যবহার করা যায় এবং দেখতেও বেশ মানানসই। ছোট ছোট অংশে ভাগ করা দেখে গুছিয়ে সবকিছু খুব সহজেই রাখা সম্ভব এই কেবিনেটটিতে। মাঝের ড্রয়ার সিস্টেম কেবিনেটটি আরও এফিশিয়েন্টলি ব্যবহার নিশ্চিত করে।
এ ছাড়া খোলা অংশটিতে যেকোনো জিনিস হাতের নাগালে রাখা সম্ভব। ওপরের সারফেইসেও ডেকোরেটিভ এলিমেন্ট রাখা যাবে, যা যেকোনো ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ঘরের শৌখিনতা বৃদ্ধিতে এই মিনি কেবিনেটটি হতে পারে পারফেক্ট সংযোজন।
আরো পড়ুন: কিচেন কেবিনেট ডিজাইন: হাতিলের মডিউলার কিচেন – এ সময়ের রান্নাঘর
ঘরের মিনিমালিজম সাজসজ্জায় Helios-102
ছোট স্পেসে বার কেবিনেটের পারফেক্ট উদাহরণ Helios-102
খাবার ঘর কিংবা স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টে বা ছোট যেকোনো স্পেসে অল্প জায়গার মাঝে বেশি জিনিস রাখতে পারলে মন্দ হয় না বরং ঘরের মাঝের অনেকটা জায়গা বাঁচানো সম্ভব হয় তাতে। এ রকমই ইফিশিয়েন্ট ডিজাইনের বার কেবিনেট হচ্ছে Helios-102। এই বার কেবিনেটটিতে মোট ৬টি কম্পার্টমেন্ট আছে। যার মাঝে ওপরের দুটি ভার্টিক্যালি খোলা যায়, যার ওপর ট্রে কিংবা ছোটখাটো যেকোনো জিনিস রাখা সম্ভব। বাম পাশের নিচের দিকে তিনটা আলাদা কম্পার্টমেন্ট আছে, যার ভেতরে সব জিনিস আলাদাভাবে গুছিয়ে রাখা সম্ভব।
এ ছাড়া ডান পাশের বড় কম্পার্টমেন্টটিতে ছোট ফ্রিজ বা যেকোনো বোতল রাখার মতো জায়গা করা আছে। ঘরের যেকোনো অনুষ্ঠানে হোক আর রোজকার কাজে হোক বার কেবিনেট অনেক কাজকে সহজ করে দেবে এবং এর মিনিমালিস্ট লুক ঘরকে আরও নান্দনিক করে তুলবে।
প্রয়োজনের তাগিদেই আমাদের নানান জিনিস কিনতে হয়। ঘরে জিনিস কেনার পর সেটি স্টোর করে রাখার ওপর সে জিনিসের স্থায়িত্ব অনেকংশেই নির্ভরশীল। শখের জিনিস যেন সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখা যায়, সে জন্যই রয়েছে মিনি কেবিনেট। সাধ্যের মাঝে সবটুকু শখ-আহ্লাদ মেটাতে পারে এই মিনি কেবিনেটগুলো। মিনি কেবিনেটের মিনিমালিস্ট লুক খাবার ঘর থেকে শুরু করে বাসার যেকোনো ঘরকেই আকর্ষণীয় লুক দিতে সক্ষম।