ব্যস্ততা কিংবা সময়ের পেছনে ছুটতে গিয়ে আমাদের হয়ত সবসময় নিজেদের ইচ্ছের সাথে আপোস করতে হয়। একটা বাসা থাকতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই একঘেঁয়ে লাগতে পারে, আমরা হয়ত হাঁপিয়েও উঠি চার দেয়ালের পরিবেশটায়৷ তাই নতুন একটা বছর যখন আসে, আমরা অনেকেই আমাদের বাড়ির নতুন পরিবেশ চাই।
নতুন বছর হল আপনার বাড়ি নতুন ভাবে সাজানোর সাথে সাথে আপনার চারপাশ পুন:স্থাপন করার উপযুক্ত সময়। এই সময়ে আপনি আপনার বাড়িতে নতুন আসবাবপত্র প্রতিস্থাপন বা যোগ করে আপনার থাকার জায়গাগুলিকে সতেজ এবং পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন।
এছাড়াও, নতুন বছরে, অনেকেই চাই পুরানো বাড়ি পরিবর্তন করে একটি নতুন বাড়ি দিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে। একটা বাসা বদল করা মানেই যে শুধু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে শিফট হওয়া এমন তো নয়। এর সাথে নতুন বাসার সাজসজ্জার দিকটিও চিন্তা করতে হয়। সেই সাজসজ্জার ভাবনার অনেকটাই জুড়ে থাকে ফার্নিচার।
নতুন বছরে নতুনভাবে শুরু করতে আপনার বাসায় কী ধরনের ফার্নিচার রাখবেন তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
বদলে ফেলুন পুরনো খাট
একটি বাসায় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ফার্নিচারটিই বোধহয় খাট। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে যখন আপনি শুতে যাবেন তখন অবশ্যই স্বাচ্ছন্দ্য এবং আরামদায়ক একটি খাটই চাইবেন। সেই চাওয়া পূরণে বাসায় বদলে ফেলুন পুরনো খাট।
বাসা নতুন ভাবে সাজানোর জন্য কেমন খাট দরকার সেটি নির্ভর করবে আপনার রুমের জায়গার উপর। খাটের জন্য কতটুকু জায়গা বরাদ্দ রাখছেন সেটি বিবেচনা করে খাট কেনা উচিত। তাছাড়া খাট কেনার আগে সেটি টেকসই কিনা তাও যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। আপনি তো আর দুইদিন পরপর খাট কিনতে যাচ্ছেন না! খাটের ডিজাইনের ক্ষেত্রে নিজের রুচিশীলতার পাশাপাশি সর্বশেষ আধুনিক ডিজাইনের দিকটি খেয়াল রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে হাতিলের শোরুম ঘুরে দেখতে পারেন। আধুনিক এবং টেকসই ডিজাইনের হাতিলের খাটগুলো ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ এবং ব্যক্তির রুচিশীলতার দিকটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই হাতিলের খাটেই নতুন বছর শুরুটা হোক পরম স্বাচ্ছন্দ্যে।
হাতিলের আধুনিক খাটের ডিজাইন দেখুন এই লিংকে।
আর কী থাকবে বেডরুমে?
খাটের পর বেডরুমের সবচেয়ে অপরিহার্য ফার্নিচার সম্ভবত ওয়ারড্রব। কাপড় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিংবা আনুষঙ্গিক জিনিস নিরাপদে রাখতে ওয়ারড্রবের জুড়ি মেলা ভার। নতুন বাসায় ওয়ারড্রব কিনবেন কিনা সেই ভাবনার আগে ভাবতে হবে যে ওয়ারড্রবটি এখন আছে সেটি টেকসই হবে কিনা। ওয়ারড্রবটি যদি পুরনো হয় এবং এর স্থায়িত্ব সম্পর্কে আপনি সন্দিহান হয়ে থাকেন তবেই নতুন ওয়ারড্রব কেনার কথা ভাবুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আধুনিক ডিজাইনে দিতে হবে মনোযোগ। কারণ ওয়ারড্রব যেমন আপনার প্রয়োজন মেটাবে তেমনি ফার্নিচারটির নান্দনিক ডিজাইন ঘরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তুলবে।
তাছাড়া, আজকাল কাপড় রাখা ছাড়াও শোপিস সাজিয়ে রাখা, বই সাজিয়ে রাখা সহ নানা ধরনের কাজেই ওয়ারড্রব ব্যবহারের চল দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজনে একাধিক ফার্নিচার কেনার খরচ ও জায়গা দুটোই বাঁচবে।
হাতিলের সকল ওয়ারড্রবের ডিজাইন দেখুন এই লিংকে।
ওয়ারড্রবের পর আরেকটি জরুরি ফার্নিচার যা না কিনলেই নয়, তা হলো ড্রেসিং টেবিল। তবে প্রথাগত ড্রেসিং টেবিলের ডিজাইন থেকে কিছুটা ভিন্ন ডিজাইনের ড্রেসিং টেবিল কেনার জন্য বিবেচনা করতে পারেন। ওয়ারড্রবের মতোই কিছু ড্রেসিং টেবিলের পাশের তাকে বই বা প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ধরনের ড্রেসিং টেবিল বই রাখার তাক কিংবা শোপিস রাখার আলাদা ফার্নিচার কেনার ভাবনা থেকে আপনাকে বাঁচাবে।
হাতিলের এ ধরনের কিছু ড্রেসিং টেবিলের ডিজাইন দেখুন এই লিংকে।
কেমন হবে ডাইনিং রুমের ফার্নিচার?
ডাইনিং রুমের অপরিহার্য অংশ ডাইনিং টেবিল। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে ডাইনিং টেবিল নির্বাচন করা যেতে পারে। নতুন বাসায় ডাইনিং টেবিল কেনার ক্ষেত্রে জায়গা সংকুলানের বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। একইসাথে টেকসই এবং মজবুত হার্ডওয়্যার ফিটিং সম্পন্ন ডাইনিং টেবিল দেখে কেনার ব্যাপারে আগানো উচিত।
হাতিলের সকল ডাইনিং টেবিলের ডিজাইন দেখুন এই লিংকে।
ডাইনিং রুমে প্রয়োজন ভেদে মিনি কেবিনেট রাখতে পারেন। এসব মিনি কেবিনেটে সহজেই প্রয়োজনীয় সকল ডিনার সেট এবং কিচেন এলিমেন্ট রাখতে পারবেন।
লিভিং রুমের ফার্নিচার ভাবনা
লিভিং রুমের ফার্নিচারের ভাবনায় অটো চয়েজ হিসেবেই আসে সোফার নাম। তবে বর্তমানে যে সোফা রয়েছে তা যদি খুব পুরনো না নয় সেক্ষেত্রে নতুন সোফা কেনা থেকে বিরত থাকারই পরামর্শ থাকবে। তবে আপনি যদি নতুন বাসায় নতুন সোফা দিয়েই লিভিং রুম সাজাতে চান সেক্ষেত্রে আধুনিক ডিজাইনের পাশাপাশি কিছুটা বৈচিত্র্যপূর্ণ সোফা বেছে নিতে পারেন।
হাতিলের সকল সোফার ডিজাইন দেখুন এই লিংকে।
ভিন্ন রংয়ের ফ্যাব্রিক এবং রেক্সিন বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকায় আপনার নিজের পছন্দের রংয়েই এখন সোফা কেনার সুযোগ রয়েছে। রুমের সাথে মানানসই এবং পছন্দ বা রুচির সাথে মেলে এমন সোফা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম ভাবনা ছাড়াই দেশীয় ব্রান্ড হাতিলকে বেছে নিতে পারেন।
সোফার পর লিভিং রুমে আরেকটি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ টিভি কেবিনেট। আগের দিন দেখা যেত, ওয়ারড্রব বা অন্যান্য ফার্নিচারের উপরে টেলিভিশন শোভা পেত। কিন্তু সময়ের সাথে এখন মানুষের রুচি বদলেছে। এক্ষেত্রে টিভি কেবিনেট হয়ে উঠেছে সেরা সমাধান। টিভির সাইজ এবং রুমের দৈর্ঘ্য বিবেচনায় ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের টিভি কেবিনেট রয়েছে বাজারে।
সেন্টার টেবিল সাধারণত লিভিংরুমে সোফাসেটের সাথে দেখা গেলেও এখন আলাদা কিনতে পাওয়া যায়। এই ধরনের সেন্টার টেবিলগুলো যেমন মিনি ডাইনিং টেবিল হিসেবে কাজে লাগানো যায়। তাছাড়া, কিছু সেন্টার টেবিলে তাক এবং ড্রয়ার সুবিধা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং বই গুছিয়ে রাখতে পারবেন সেখানে।
হাতিলের সকল সেন্টার টেবিলের ডিজাইন দেখুন এখানে।
নতুন বছরে নতুন বাসায় এক নতুন শুরুর গল্প হোক নতুন ফার্নিচারের সাথে। এক্ষেত্রে আস্থার সবটাজুড়ে থাকুক দেশীয় ব্র্যান্ড হাতিল।