Kingstown Dining Table Kingstown Dining Table

কিংসটাউন-১৯৪ : ডাইনিং টেবিল নাকি কেবিনেট?

কিংসটাউন-১৯৪’ ডাইনিং টেবিল।

রফিক-ইশরা দম্পতি সংসার বেঁধেছেন ছয় মাস হলো। নতুন সংসারে মেহমানদের আনাগোনা চলছে একটু বেশিই। বাড়ছে প্রয়োজনীয়তা। সে অনুযায়ী দুজন মিলে অল্প অল্প করে সাজাচ্ছেন নতুন সংসার।

ছোট ছোট ফার্নিচার দিয়ে সংসার ভরে উঠলেও ডাইনিং টেবিলকিচেন কেবিনেটের সমাধান কিছুতেই হচ্ছে না। রফিকের চাওয়া ভালো মানের ছোটখাটো কেবিনেট। ইশরা আবার চাচ্ছেন ফিটফাট ছোটখাটো এক ডাইনিং টেবিল।

দুটো ফার্নিচারই সংসারে এই মুহূর্তে খুব দরকার। নতুন চাকরি পাওয়া রফিকের জন্য একসঙ্গে দুটি জিনিস কেনাও সম্ভব না। ইশরা নিজের সিদ্ধান্ত থেকে নড়তে একদমই রাজি নন, ডাইনিং টেবিল তার সবার আগে চাই।

অবশেষে রফিক-ইশরাকে এই উভয়সংকট থেকে উদ্ধার করে হাতিল ফার্নিচারেরকিংসটাউন-১৯৪’ ডাইনিং টেবিল। যা একই সাথে ডাইনিং টেবিল ও কেবিনেট!

একের ভেতর দুই

‘কিংসটাউন-১৯৪’ দেখতে ডাইনিং টেবিলে মতো হলেও এর মধ্যে পাওয়া যাবে ছোটখাটো সুন্দর এক কেবিনেট। লম্বা পায়ার একটি অংশ দরজার মতো খোলার ব্যবস্থা রয়েছে।

দরজা খুললেই ছোট্ট এক জায়গা, যেখানে চাইলে গ্লাস বা জগের মতো ছোটখাটো জিনিস রাখা যাবে খুব সহজেই। একের ভেতর দুই। উভয় সমস্যার সমাধান এক ফার্নিচারেই। অতএব, দারুণ এই টেবিলকে শুধু ‘ডাইনিং টেবিল’ বলা উচিত হবে না।

চাকাযুক্ত এই টেবিলের জায়গা পরিবর্তন করা যাবে খুব সহজেই। আকারে ছোট হওয়ায় টেবিলভর্তি খাবারসহ যেকোনো রুমে সেরে ফেলতে পারবেন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার। ‘কিংসটাউন-১৯৪’-এ এত কিছুর সঙ্গে দারুণ ডিজাইনও খুঁজে পাওয়া যায়।

টুকটাক তথ্য

আমদানিকৃত ইঞ্জিনিয়ারড কাঠ ও বিচ কাঠের তৈরি ‘কিংসটাউন-১৯৪’ মানের দিক দিয়েও অন্য সব ডাইনিং টেবিলের চেয়ে কিছুটা ইউনিক। সুন্দর বার্নিশ ও অ্যান্টিক টেক্সচার পুরো ডাইনিং টেবিলের কাঠামোতে এনেছে অন্য রকম এক ব্যাপার।

চাকাসহ অন্য ছোট ছোট ফিটিংসে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের উপকরণ, যা সচরাচর ছোট ফার্নিচারে দেখা যায় না। সব মিলিয়ে ফ্লেক্সিবল এই ডাইনিং টেবিল আধুনিক গৃহে ভীষণ উপযোগী।

বাজারে দুই রঙে পাওয়া যায় ‘কিংসটাউন-১৯৪’। অ্যান্টিক ও ন্যাচারাল কালারের সংমিশ্রণে তৈরি একটি রং, অন্যটি হলো শুধু অ্যান্টিক কালারের। টেবিলের ওজন ৫০ কেজি হলেও চাকার কারণের এদিক-সেদিক নিতে ভারটা টের পাওয়া যায় না।

৭৬০ মিলিমিটার বা প্রায় ৩০ ইঞ্চি উচ্চতার ‘কিংসটাউন-১৯৪’ আকারে আয়তাকার। টেবিলের ওপরের অংশের দৈর্ঘ্য ১৪০০ মিলিমিটার বা ৫৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৮০০ মিলিমিটার বা সাড়ে ৩১ ইঞ্চি।

চার চেয়ারে এই ডাইনিং টেবিলে খুব সহজেই চারজন বসে খাওয়া যায়। খাওয়া শেষে প্লেট-গ্লাস গুছিয়ের রাখার জন্য দুই তাকের কেবিনেট তো থাকছেই!

৭৬০ মিলিমিটার বা প্রায় ৩০ ইঞ্চি উচ্চতার ‘কিংসটাউন-১৯৪’ আকারে আয়তাকার।

যত্ন

কাঠের আসবাবপত্রের যত্ন অনেকের কাছেই কঠিন এক ব্যাপার। তবে অল্প কিছু দিকে খেয়াল রাখলেই আপনার কাঠের আসবাব টিকে থাকবে অনেক দিন। ‘কিংসটাউন-১৯৪’ ডাইনিং টেবিলের যত্নে যে বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে হবে:

  • দাগ পড়তে পারে এমন কোনো তরল টেবিলে পরলে দ্রুতই নরম কাপড় দিয়ে সেটা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
  • চাকার সাহায্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টেবিল সরানোর ক্ষেত্রে ফ্লোর অবশ্যই সমতল হতে হবে।
  • নরম হালকা ভেজা কাপড় দিয়ে নিয়মিত ধুলা পরিষ্কার করাটা খুব জরুরি। পরিষ্কারের পর হালকা ভেজা অংশ শুকানোর ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। টেবিলের বার্নিশের স্থায়িত্বে এটি খুব প্রভাব ফেলে।
  • নেইল পলিশ রিমুভার, হেয়ার স্প্রে, পারফিউম, গ্লাস ক্লিনার এ ধরনের তরল টেবিলে রাখা যাবা না। এ ধরনের তরল কাঠের মান নষ্ট করে ফেলতে পারে।
  • ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় টেবিল রাখা থেকে বিরত থাকুন। ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ আপনার টেবিলে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি করে। এ ছাড়া ভেজা পরিবেশ সব আসবাবের জন্যই ক্ষতিকর।

দরদাম

‘কিংসটাউন-১৯৪’-এর বাজারমূল্য ২৪ হাজার ৯৯০ টাকা। তবে হাতিল ফার্নিচারের ওয়েবসাইটে ২ হাজার টাকা ডিসকাউন্টে ২২ হাজার ৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এটা। চার চেয়ারের এই ডাইনিং টেবিল আকার অনুযায়ী বাজারের তুলনায় ঠিকঠাক দামেই পাওয়া যাচ্ছে।

শেষ কথা

রফিক ও ইশরার গল্পে ফিরি। ‘কিংসটাউন-১৯৪’ তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারলে এখন তৈরি হয়েছে এক নতুন সমস্যা। এ নবদম্পতি এখন কেবল খুঁজে বেড়ায় ‘একের ভেতর দুই সুবিধা’র আসবাবপত্র।

সাধারণ আসবাবের চেয়ে এমন নতুন ধরনের আসবাবই তাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে সব সময়। হাতিল ফার্নিচারের ‘স্মার্টফিট’ বিভাগে এমন দারুণ সব আসবাব থাকলেও, তাদের চাওয়া আরও অনেক।

ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই আরও নতুন নতুন ফিচারসহ এক আসবাবে একাধিক আসবাবের সুবিধা পাওয়া যাবে। আপনার কী মনে হয়, কোন আসবাবের সঙ্গে কোন আসবাবের কম্বিনেশন দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।