সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সবচেয়ে সুন্দর উপহারগুলোর একটি হলো নিরিবিলি প্রশান্তির এক টুকরো অবকাশ। নিজের পছন্দসই পরিবেশে আরামদায়ক কোনো জায়গায় গা এলিয়ে কিছুক্ষণ পড়ে থাকতে পারলে শরীর তো এনার্জি ফিরে পায়ই, সাথে মনটাও ফুরফুরে হয়ে ওঠে। বাসার ভেতর আপনার সেই কমফোর্ট জোন ক্রিয়েট করার জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে হাতিল-এর লবি চেয়ার কালেকশন।
এত এত ডিজাইন ভ্যারাইটির মধ্য থেকে কোনটা বেছে নিবেন নিজের বাসার জন্য? আর কোনটাই বা মানাবে আপনার অফিস ইন্টেরিয়রের সাথে? চলুন, আলাপ হয়ে যাক!
কার জন্য কেমন লবি চেয়ার?
লবি চেয়ারের সিলেকশন হওয়া উচিত ব্যবহারকারীদের পার্সোনালিটি আর প্রেফারেন্সের ভিত্তিতে। যেমনঃ আপনি ও আপনার পরিবারের সদস্যরা যদি আরামপ্রিয় হন, তাহলে Leo-122, Brooklyn-124 কিংবা Rokel-120 হবে ফার্স্ট চয়েস। কারণ, এই চেয়ারগুলো ফ্লাফি। পুরু গদিতে গা এলিয়ে সন্ধ্যাবেলার চা অথবা উইকেন্ডের ঝিম ধরা দুপুরে নতুন কোনো মুভি অথবা প্রিয় কোনো বইয়ের মজা জমে উঠবে একশ-একশ!
আপনার অফিসের জন্য একই স্টাইলের ভিন্ন ডিজাইন হিসেবে জায়গা পেতে পারে Jovial-117 অথবা Franklin-111. ভাইব্রেন্ট কালার এবং বিশ্বমানের ফ্যাব্রিকের কারণে পুরু কুশনিংয়ের এই চেয়ারগুলো আধুনিক আভিজাত্য আনে প্রফেশনাল সেটআপে।
তবে কোনো কোনো বাসায় পুরু চেয়ারে বসে কমফোর্ট পান না ফ্যামিলি মেম্বাররা। আবার, কোনো কোনো বাসায় মেহমানের আনাগোনা বেশি থাকে। আত্মীয়স্বজন এবং কাজিনদের সাথে যেভাবে গা এলিয়ে আড্ডা দেয়া যায়, গেস্টদের সামনে কিন্তু আবার একটু ফর্মাল হালচালই বজায় রাখতে চান সবাই। স্লিক এবং স্লিম ডিজাইনের চেয়ার পছন্দ হলে Hummingbird-121, Menader-118 অথবা Uno-108 হবে পারফেক্ট। এই চেয়ারগুলো মিনিমাল ডিজাইনের, ফলে সোজা হয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকলেও পিঠব্যথা হয় না কিংবা ক্লান্তিও আসে না। খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিটা ডিজাইনেই আমাদের চিরচেনা বাঙালি ঘরোয়া ভাব আছে। ঠিক যে ধরনের চেয়ারে বসে টিভি নাটক কিংবা বিখ্যাত উপন্যাসের ক্যারেকটারগুলোকে আমরা কথা বলতে দেখেছি-শুনেছি। পাশাপাশি, ফ্যাব্রিক সফট এবং কুশনিং একদম পুরু আর হালকার মাঝে ব্যালেন্স করা এই চেয়ারগুলোতে।
একই রকম চয়েস অফিসের জন্য হলে বেছে নিন Madrid-123 অথবা Prosody-120’কে। অফিসের ফরমাল সেটআপের সাথে মানানসই, আবার আরাম করে বসার মতো যথেষ্ট স্পেসও আছে। অর্থাৎ, রোজ কাজের মাঝে নিজেকে রিফ্রেশ করার জন্য ছোট্ট একটা ব্রেক নিচ্ছেন কিন্তু বসার সেটআপটাই এমন যে, গা এলিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে দুপুরের ঢুলুনিও আসছে না! আর এই চেয়ারগুলো এতটাই স্টাইলিশ যে, আপনার চারপাশের পরিবেশকে আরও ক্লাসি করে তুলবে আপনাআপনি।
কোন পরিবেশে কেমন লবি চেয়ার?
এর পরেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে রুমে বা লবিতে রাখা হবে, সেখানে ইন্টেরিয়রটা কেমন? বাসা এবং অফিসের ইন্টেরিয়রে তফাৎ তো থাকেই, পাশাপাশি একেক বাসা এবং অফিসে মডার্ন, ভিন্টেজ, মিনিমাল, গর্জিয়াস ইত্যাদি নানা ধরনের থিম অনুযায়ী ইন্টেরিয়র সাজানো হয়। হাতিল-এ সব ধরনের থিমকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেমনঃ গর্জিয়াস কিংবা ক্ল্যাসিক স্টাইলের ইন্টেরিয়কে আরও একধাপ বেশি গাম্ভীর্য এনে দিবে Browning-125 কিংবা Monopoly-103. বাসার প্রধান ব্যক্তিদের এবং অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ভারিক্কি পরিচয় পাওয়া যাবে এ ধরনের ডিজাইন থেকে। আবার ধরুন, আপনি নতুন পরিবার শুরু করেছেন। বাসায় মা-বাবা কিংবা সিনিয়র কেউ থাকেন না। সেক্ষেত্রে অধিকাংশ ইয়াং কাপল কিংবা ব্যাচেলরের মতোই আপনার ইন্টেরিয়রও মিনিমাল হওয়া স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে Scrabble-109 কিংবা Rhetoric-119 সবচেয়ে মানানসই।
তবে অফিস কিংবা পার্সোনাল চেম্বারের চেহারা পালটে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ইউনিক হলো Solitaire-114 আর Asiatic Lily-127! এই চেয়ার দু’টার ডিজাইন একদম প্রফেশনাল, আর্গোনমিক এবং ভীষণ কমফোর্টেবল। সারাদিন কাজের ব্যস্ততা সামলে কফির কাপ হাতে ল্যাপটপ নিয়ে কিছুক্ষণ যদি আরামে বসে কাজ করতে বা কিছু দেখতে চান, তাহলে এই চেয়ার দু’টা আপনাকে কমফোর্ট এবং স্টাইল দু’টাই দিবে।
তাহলে, এবার?
বাসার সবাই মিলে টিভিতে দীর্ঘ কোনো শো দেখা, ছুটির দিনে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব মিলে আড্ডা দেওয়া কিংবা একদম নিরালায় একলা বসে প্রিয় গানের সুরে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা – অবকাশের মহূর্তগুলো একেকজনের কাছে একেক রকম। কিন্তু কমফোর্টের অনুভূতি এবং চাওয়াটা সবারই পরিচিত। আরাম করে বসতে পারার পাশাপাশি রুচিশীল ডিজাইনের স্নিগ্ধতায় যেন আপনার মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়, সে উদ্দেশ্যেই দেশের সবচেয়ে বেশি ডিজাইন ভ্যারাইটি আর বিশ্বমানের ফ্যাব্রিক ও কাঠ দিয়ে তৈরি লবি চেয়ার কালেকশন নিয়ে আপনার জন্য হাতিল সবসময় রেডি!